মানুষের জীবনে দুর্ঘটনা মানেই এক কষ্টকর অধ্যায়। বিশেষত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে তো কথাই নেই। প্রতিবছর গোটা বিশ্বে বিপুল সংখ্যক মানুষ এই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। উন্নত দেশগুলোতে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তেমনি অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আরও বেশি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। একদিকে অনুন্নত সড়ক ব্যবস্থাপনা, অন্যদিকে ত্রুটিযুক্ত যানবাহনের কারণে প্রায়শই আমরা পত্রিকার পাতা উল্টালেই সড়ক দুর্ঘটনার খবর দেখতে পাই। তবে বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য দায়ি আমাদের অসচেতনতা। একটু সচেতন হয়ে গাড়ি চালালেই কিন্তু সহজে এড়িয়ে যাওয়া যায় অনেক বড় দুর্ঘটনা। মৃত্যু কারোই কাম্য নয়।
তবে কিছু কিছু দুর্ঘটনা আবার শেষমেষ আমাদের হাসির খোরাক যোগায়। যেমন ধরুন, আপনার বাড়ির শিশু বাচ্চাটি প্রথম প্রথম সাইকেল চালানো শিখতে গেলে অনেক হাস্যকর দুর্ঘটনার জন্ম দেয়। অথবা পাড়ার সবচেয়ে বখাটে ছেলেটির দাদাগিরি করতে গিয়ে ধরাশায়ী হয়ে যাওয়া। এসবই হয়তো দুর্ঘটনা, কিন্তু এই দুর্ঘটনাগুলোর অন্তরালে লুকিয়ে আছে সহজ স্বাভাবিক হাস্যরস, যা আমরা আমাদের চারপাশে একটু তাকালেই দেখতে পাই।
পাঠক, আমাদের এই ব্যস্ত জীবনে একটু খেয়াল করে দেখুন তো কবে প্রাণ খুলে হেসেছেন। ক্যারিয়ার-অর্থ উপার্জন-সংসার-বন্ধু-আত্মীয় স্বজন ইত্যাদির ভিড়ে নিজেকে খুঁজে পাওয়াই মুশকিল এখন। সারাক্ষণ আমাদের থাকতে হয় ব্যস্ততার মাঝে। দিন শেষে যখন রাতের অন্ধকার নামে তখন অবচেতন মন হয়তো একটু শান্তির নিঃশ্বাস খোঁজে কিন্তু প্রত্যাহিক জীবনের নানামুখী সংঘর্ষ আর দুর্ঘটনায় ক্লান্ত শরীর কোন ফাঁকে যে ঘুমিয়ে যায় তা অনেক সময় টেরই পাওয়া যায় না। তাই আজ অন্তত কাজের ফাঁকে সময় করে এই চার মিনিটের মজার ভিডিওটি দেখে নিন এবং দিনের বাকি অংশের জন্য নিজেকে চার্জ করে নিন। মনে রাখবেন, আপনি যত হাসবেন তত আপনার চারপাশ থেকে সমস্যা কমে যাবে।