Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ম. গ. রেজওয়ান

৯ বছর আগে

একটি সত্য ঘটনা যা এক গুরুত্বপূর্ণ চিন্তার জন্ম দেয়


এক গরীব স্বামী-স্ত্রী একটি ছোট গ্রামে বাস করতেন। তাদের একমাত্র ছেলে ছাড়া অন্য কোন সন্তান ছিল। তারা তাকে সবচেয়ে সেরা শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলেন। ছেলে গ্রামের কাছের একটি শহর হতে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে। ভাগ্যবশত, সে এক ধনী মেয়েকে বিয়ে করে।

প্রথমদিকে, ছেলে আর তার বউ তার বাবা মায়ের সাথেই গ্রামে থাকতো। শীঘ্রই ছেলের বউ গ্রাম্য পরিবেশে হাপিয়ে ওঠে আর তার
স্বামীকে তার মা- বাবাকে ছেড়ে শহরে থাকতে বলে। কিছুদিন পরেই ছেলে পত্রিকায় বিদেশে একটি চাকুরির বিজ্ঞাপন দেখতে পায়। সে সেই চাকুরিটা পেয়ে যায়, আর তার বউকে নিয়ে বিদেশে চলে যায়। নিয়মিত সে মা-বাবাকে টাকা পাঠাতে থাকে। কিন্তু একসময়,
সে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয় আর তার মা-বাবা যে জীবিত সে কথা ভুলেই যায়। প্রতি বছর সে হাজ্জ করতে থাকে। একবার হাজ্জ
করে ফিরে এসে সে স্বপ্নে দেখল, কে যেন তাকে বলছে , ‘তোমার হাজ্জ কবুল হয় নি।’ একদিন সে তার এই সব ঘটনা এক মুত্তক্বী ‘আলেমের নিকট খুলে বলল। ‘আলেম তাকে তার দেশে ফিরে গিয়ে মা-বাবার সাথে দেখা করতে পরামর্শ দেয়। সে তার দেশে ফিরে গেল, সে তার গ্রামের সীমানায় প্রবেশ করল। কিন্তু সে দেখল, সব কিছুই কেমন যেন বদলে গেছে। সে তার বাড়ি খুজে পেল না। সে এক ছোট ছেলেকে তার বাড়ির অবস্থানের কিছু বর্ণনা দিল। ছোট ছেলেটি তাকে একটি বাড়ির দিকে ইশারা করে বললঃ “এই বাড়িতে এক অন্ধ বৃদ্ধা মহিলা থাকেন যার স্বামী কয়েক মাস আগেই মারা যান। তার একমাত্র ছেলে ছিল যে কিনা বহু বছর আগে বিদেশে চলে যায়, আর ফেরেনি। কত বড় দূর্ভাগ্যবান লোক!”


ছেলে তার বাড়িতে প্রবেশ করে দেখল যে তার মা বিছানায় শুয়ে আছেন। সে নিঃশব্দে প্রবেশ করল যাতে তার মা জেগে না ওঠে। সে শুনলো তার মা কি যেন একা একা চুপি চুপি বলছেন। সে তার আরো কাছে আসলো যাতে তার কথা শুনতে পারে। সে শুনলো তার
মা বলছেন, “হে আল্লাহ! আমি এখন অনেক বৃদ্ধ আর অন্ধ। আমার স্বামী ও মারা গেছেন। এখন আমাকে কবরে নামানোর মত কোন মাহরাম পুরুষ নেই। তাই দয়া করে আমার ছেলেকে আমার শেষ ইচ্ছাটা পূরণের জন্য আমার কাছে পাঠিয়ে দাও।” এখানেই গল্পের শেষ আর এখানেই সেই মা এর দু’আ আল্লাহ কবুল করলেন।


আপনি কি জানেন? একজন মানুষের শরীর মাত্র ৪৫ ডেল (ব্যাথার তীব্রতার একক) সহ্য করতে পারে।


কিন্তু একজন মা সন্তান প্রশবের সময় ৫৭ ডেল পর্যন্ত ব্যাথা সহ্য
করে, যা কিনা শরীরের ২০ টা হাড়
একসাথে ভাঙ্গার সমান ব্যাথা!!


এ তথ্যটা আপনাদের এটা বোঝানোর জন্য বলমাম যে, একজন মা তার সন্তানকে কত ভালবাসেন!! আপনার জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত আপনার মা কে ভালবাসুন। যে মহিলাটি আপনার জন্য প্রতিদিন লড়াই করেন, আপনার জন্য হাজারো ব্যাথা সহ্য করেন শুধু
আপনাকে একটা সুন্দর জীবনের পথ করে দিতে! আপনার মা এর সাথে হাসি মুখে কথা বলুন, তাকে ভালবাসুন!!!

আর আল্লাহ তা’আলা বলেন, “পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করার জন্যআমি মানুষের প্রতি ফরমান জারি করেছি।” [সূরা ল-‘আনকাবূত ৮]

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

(collected)

 

০ Likes ১ Comments ০ Share ৩৭৯ Views

Comments (1)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    খুব খুব ভালো লাগলো, একটা ঝাঁজ আছে কবিতাটায়;

    অনন্য কাব্যের স্পষ্ট উদাহরণ এই কবিতার চেয়ে আর কিছু হতে পারে না।

    - কেতন শেখ

    খুব ভালো লাগলো কবিতা লিটন ভাই। শুভেচ্ছা সতত।