নেপালে অধিক ভূমিকম্পের কারন :
নেপালে অধিক ভূমিকম্পের কারনসমূহ ও বিশেষজ্ঞদের মতামত:
ঐদিন নেপালের ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৯ মাইল নীচে শিলার একটি খণ্ড সরে যায়। তখন কাঠমুন্ডু উপত্যকায় ভূপৃষ্ঠের নীচে শক্তিশালী তরঙ্গের বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয়।এখানে সৃষ্টি হওয়া এক একটি অভিঘাত ২০টিরও বেশি রমাণবিক
অস্ত্রের বিস্ফোরণের চেয়ে বেশি।
ভূতাত্ত্বিক ভাষায়, নেপালের এই কম্পনটি একই অঞ্চলে ৮১ বছর পরপর সংঘটিত হচ্ছে। এর আগে ১৯৩৪ সালে এরকম ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল।
নেপালের ন্যাশনাল সোসাইটি ফর আর্থকোয়েক টেকনোলজির দেয়া এক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৭৫ বছর পর পর নেপালে একটি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
নেপালের ভূমিকম্পের পেছনের প্রধান কারণ হল, নেপালের দক্ষিণ সীমানা বরাবর ফল্ট লাইনের নিয়মিত চলাচল। প্রায় ৪০ মিলিয়ন থেকে ৫০ মিলিয়ন বছর আগে থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের সাথে ইউরেশিয়া প্লেট এর সাথে সংঘৃষ্ট, নেপালের দক্ষিণ সীমানা। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-পদার্থবিদ
ল্যাং এস চ্যান এর মতে, “ভারত ও ইউরেশিয়ার মধ্যে সংঘর্ষ ভূতত্ত্বের একটি প্রদর্শনী”। তথাকথিত ভারত প্লেট প্রতি বছর উত্তর এশিয়ার দিকে ২ ইঞ্চি বা ৫ সেন্টিমিটার পরিমাণে সরে যাচ্ছে। ল্যাং বলেছেন, “ভূতাত্ত্বিকভাবে তা খুবই দ্রুত”।
তিনি আরও বলেছেন, “প্লেট একে অপরকে ধাক্কা দেয়ার ফলে ঘর্ষণের
সৃষ্টি হয়, যা ভূত্বকে ফাটলের সৃষ্টি করে।” ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট তাপ
পারমাণবিক অস্ত্র বিস্ফোরণের তুলনায় বেশি। “শনিবারের ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে প্লেট প্রায় ২ মিটার বা ৬.৫ ফুট এগিয়ে যায়”- বলে মন্তব্য করেছেন, হংকং এর চীনাবিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হংফেং ইয়াং।
শনিবারের ভূমিকম্পে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়,
ভূমিকম্পটি তুলনামূলকভাবে অগভীর ছিল। এই ধরণের ভূমিকম্প আরও ক্ষতি করতে পারে এবং ভূপৃষ্ঠের নীচের গভীরতা ঠিক করার লক্ষ্যে
আরও ছোট ছোট কম্পনের সম্ভাবনা রয়েছে।
একটি ভূমিকম্পের পর প্লেটগুলো এবং ঘড়ি পুনরায় রিসেট করা শুরু হয়। ডঃ চ্যান বলেছেন, “ফুটন্ত পানির পাত্র থেকে ঢাকনা সরিয়ে নিলে পানিগুলো নিজ অবস্থানে চলে যায়, আবার ঢাকনা দেয়ার পর... continue reading
Comments (0)
সুন্দর লিখেছেন
ধন্যবাদ :)
কবিতা কে অভিনন্দন জানাই
কবিতার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা
অন্যরকম প্রকাশ।
ভালো লাগলো...
ধন্যবাদ দাদা