একটি কবিতা লেখার জন্যে
ক্ষুধার্ত বুক নিয়ে হেটে ছিলাম প্রাচুর্যে ভরা তোদের জল্লাদ নগরীতে
যেখানে আমার বোন লাঞ্চিত হয় তোদের কামুক সভ্যতায় ।
আবর্জনায় আসক্ত আমার ভাই আশ্রিত হয় আধুনিক ডাস্টবিনে ।
স্রষ্টাকে মিথ্যুক আখ্যা দিয়ে ঘোষণা হয় ঐতিহাসিক ভণ্ডবিধান।
পতিতার ঘর্ম বিন্দু দিয়ে আবিস্কৃত হয় সোসাইটির বিলাসী পারফিউম ।
লেখকের বৃদ্ধাঙ্গুলি কেটে লেখাহয় ক্ষমতার তোষামোদ নামা ।
হায় এ ক্ষুধার্ত বুক ঘেন্যা গেলা উপলব্ধি ব্যতীত কিছুই পায়নি ।
একটি কবিতা লেখার জন্যে
পঙ্গুত্বকে ভুলে দৌড়ে গিয়েছিলাম কালোকাচের মুখোশ পড়া উলঙ্গ গাড়ির পিছু
যেখানে আমার বিরাঙ্গনা জাতীয় পতাকাটি বন্দি ছিলো ।
সহস্রকোটি কালো পাহাড় গিলে নিঃসৃত কালো ধোয়ায়
যেখানে আমার জন্মভূমি মানচিত্রের আকাশ প্রতিবন্ধী হয়েছিলো ।
যেখানে ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকা আমার শিক্ষিত সার্টিফিকেট
ইমপোর্ট কৃত বিদেশী চাকায় পিষ্ট হয়েছিলো।
এ নগরীতে সত্য বললেই মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যায়
মিথ্যা বিহীন কবিতা লিখলেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় ।
হায় এ নগরি আমাকে কবিতা দেয়নি
দিয়েছেতো শুধুই পঙ্গুত্ব ।
তবুও একটি কবিতা লেখার জন্যে
এসেছি এ জল্লাদ নগরীতে।
Comments (3)
ধন্যবাদ
জয় বাংলা ৷ রক্তিম স্বদেশী কবির তুলির আচড় পড়ুক বারংবার ৷
ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন
দারুণ লিখেছেন। ভাল না লেগে উপায় কি!
শুভকামনা........
ধন্যবাদ গল্পকার