Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

এ আমার বাংলাদেশ- বাংলাদেশ রে

ও মন বলনা আমারে
কোন দেশেতে ছাত্র মরে ভাষার লাগিরে
এ আমার বাংলাদেশ- বাংলাদেশ রে।।

কোন দেশেতে দামাল ছেলে সাজে মুক্তি সেনা,
রক্ত দিয়ে হলো কাদের স্বাধীনতা কেনা ?
                    ও মন বলে দে না ।
পৃথিবীতে এমনি দেশ আর একটিও না ,
                    তার কোথায় ঠিকানা ?
শাপলা ফোটা দীঘির জলে
দোয়েল ডাকা গাছের ডালে-
আমার দু:খের বর্ণমালারে । এ আমার বাংলাদেশ-

কোন দেশেতে জাগে মানুষ শুনে মুক্তির গান,
ঝরে পড়ে ত্রিশ লক্ষ তপ্ত তাজা প্রাণ ।
                     তাঁরা স্মৃতিতে অম্লান।
পৃথিবীতে এমনি দেশের শুনেছো কি নাম ?
                      তার গাইরে গুনগান।
স্মৃতিসৌধ শহীদ মিনার
যুগে যুগে ঠিকানা তার-
আমার শিখা চিরন্তন রে। এ আমার বাংলাদেশ-

০ Likes ১৮ Comments ০ Share ৪৭৫ Views

Comments (18)

  • - ঘাস ফুল

    দীর্ঘ গল্পে রাতুলের ব্যর্থতার কথা বলা হলেও ফুটে উঠেছে খুবই কম। আঁকা আঁকিতে ভালো হওয়া সত্ত্বেও তার ছবি খুব একটা বিক্রি হয় নাই। কিন্তু নকল ছবি আঁকলে অনেক টাকা রোজগার করা যেত। শিল্পী সত্ত্বাকে বিক্রি করে দিয়ে ওই ধরণের নকল ছবি আঁকতে রাজী না হওয়ায় চিত্রশালায় রাতুলের আর কোন ছবি প্রদর্শনীর জন্য স্থান পায় না। এ পর্যন্ত তার দুটো ছবি নামমাত্র মূল্যে বিক্রি হয়েছে। ব্যর্থতা বলতে পুরো গল্পে এটাই খুঁজে পেলাম। তবে বালি কারিগর বালকের উপস্থিতিটা অবশ্য একটা রহস্য সৃষ্টি করেছে। মনে হল সেটা হ্যালুসিনেশন ছিল। হতে পারে বকুল নামের কোন মেয়েকে সে এক সময় ভালোবাসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে কিংবা তাকে কোন ভাবে হারিয়েছে। তাই বালকটিকে কল্পনায় কাছে পেয়ে তার মধ্যে বকুল ফুলের গন্ধ সে আগেই টের পেয়েছিল, যাকে সে পরিচিত গন্ধ বলেছিল।

    যদিও রাতুলের জীবনের ব্যর্থতা ঢালাও ভাবে জানা হল না, তারপরও জীবনের সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে, জীবনে ভালোবাসা অর্থ কড়ি যশ খ্যাতি কিছুই না পেয়ে রাতুল এক সময় আত্ম হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তার আগে সে এক মুহূর্তের জন্য হলেও কারো ভালোবাসা পেতে চায়। পতিতালয়ের শাপলার কাছে সেই ভালোবাসাটুকু সে খুঁজে ছিল। কিন্তু রাতুল নিজেও হয়তো ভাবতে পারে নাই, জীবনের সব কিছু হারিয়েই শাপলারা বেশ্যা হয়েছে। তাদের কাছে দেহ ছাড়া আর কিছুই দেবার নাই। এখানেও ব্যর্থ হয়ে রাতুল যখন মরার জন্য স্লিপিং পিল খুঁজছিল সেখানে আবিষ্কার করে শাপলার চুলের একটা ক্লিপ। কারো কাছে ঋণী থেকে মরতে চায় না বলে শাপলাকে সেটা ফেরত দিতে এসেছিল। কিন্তু এর মধ্যেই শাপলার জীবনে ঘটে গেছে অনেক কাহিনী। যার পুরোটাই ঘটেছে শাপলার মনে। নিজের অজান্তে সেও রাতুলকে ভালোবেসে ফেলেছে, যার বহিঃপ্রকাশ ওই একটা থাপ্পড়। একটা ক্লিপের জন্য শেষ পর্যন্ত রাতুল তার জীবনে অন্তত কিছু পেল, তাও আবার ভালোবাসা। হোক না সেটা একজন পতিতার।  কিন্তু ভালোবাসাটার গায়ে পতিতাবৃত্তির কোন কলঙ্ক ছিল না। শাপলার ওই ভালোবাসাটা ছিল পবিত্র ফুলের মতো। তাই ক্লিপ নামকরণটা যথার্থই হয়েছে।

    কাহিনী বিন্যাস ঠিক আছে। তবে ধারা বর্ণনায় মনে হয় কিছুটা কাটছাঁট করার অবকাশ ছিল। আগেই যেটা বলেছি, রাতুলের ব্যর্থ জীবনের ইতিহাস খুব একটা খুঁজে পাই নাই। যে ব্যক্তি ব্যর্থতার জন্য আত্ম হত্যা করতে চায়, তার ব্যর্থতার ইতিহাস মনে হয় আরও করুন ভাবে ফুটে উঠার কথা ছিল। কিন্তু সেটা পেলাম না কেন জানি না। বেশ্যা পাড়ার চিত্রটা ফুটিয়ে তোলা অত সহজ ছিল না। কিন্তু আপনি বেশ দক্ষতার সহিত সেটা করতে সক্ষম হয়েছেন। কথোপকথনগুলোও মানান সই ছিল। নৌকা বাইচের ঘটনাটা রাতুলকে কিছু সময়ের জন্য অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এর বেশী কিছু নয়। তাই নৌকা বাইচের ওই জাঁকজমকপূর্ণ অংশটা গল্পটার মূল বিষয়বস্তুর সাথে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা মনে হয় ভেবে দেখা যেতে পারে। আমি বলছি না যে সেটা কোনই দরকার নাই, তবে অতো বিস্তারিত দরকার ছিল কী? 

    সব শেষে বলবো বেশ ভালো একটা গল্প পড়লাম। গল্পটা প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচনার দাবী রাখে। ধন্যবাদ মিশু। মাঝ খানে লম্বা একটা বিরতি নিয়েছিলেন। যদিও ইতিমধ্যেই কারণটা বলেছেন, তারপরও আবার আপনাকে ফিরে পেয়ে ভীষণ খুশি হলাম। শুধু ফিরে আসেন নাই, স্বমহিমায়ই ফিরে এসেছেন। অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য। আশা করছি এখন থেকে নিয়মিত পাবো।

    • - মিশু মিলন

      ধন্যবাদ ঘাসফুল। আপনার মন্তব্য সবসময়ই আমার কাছে বিশেষ কিছু। আপনি অত্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়েন এবং পর্যবেক্ষণ করেন। যেটা আমাকে খুব উৎসাহিত করে। আপনি ঠিক ধরতে পেরেছেন, হ্যাঁ বালকের উপস্থিতিটা হ্যালুসিনেশন। রাতুলেরই বালকবেলা। নৌকা বাইচের ব্যাপারটা দিয়েছি এজন্য যে আমার ধারণা আত্মঘাতী হওয়ার আগে মানুষের ভেতরে অস্থিরতা কাজ করে, এলোমেলো চিন্তা করে, অগোছালোভাবে অতীত এসে ভিড় করে। ঐতিয্যের প্রতি আমার দূর্বলতার কারণেই আমি একটু বেশি ডিটেলে গিয়েছি। ব্যর্থতার ডিটেলে আমি ইচ্ছা করেই যাইনি। শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা না পাওয়া ছাড়াও তার আরো কিছু না পাওয়া এবং ব্যর্থতা আছে। যেমন 'রাতুলও বাইচের নৌকার দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে আনলো বালির ঘরের কারিগরদের দিকে। কিন্তু মনটা হয়ে গেল বিক্ষিপ্ত। বাইচের নৌকার বৈঠার ছপ ছপ শব্দ, ঢোল-কাঁসরের শব্দ যেন তার স্মৃতিকে নাড়িয়ে দিয়ে গেল, স্মৃতির ধুলো ধুয়ে দিয়ে গেল নৌকা থেকে আগত উল্লাসের ঢেউ!রাতুলদের গ্রামে নৌকা বাইচ হতো। হয়তো এখনও হয়, সে জানে না।' এই যে একসময় তাদের গ্রামে নৌকাবাইচ হতো, এখন হয় কিনা সে জানে না। অর্থাৎ কোন কারণে সে শিকড়বিহীন। এখানে তার গভীর কষ্ট আছে।

      'তার মনোবেদনার আরো এক গোপন গভীর কারণ হয়তো আছে। কিন্তু তা সে কাউকে বুঝতে দেয় না। সেই ক্ষত সে একাই আগলে রাখে, একা একাই জ্বলে!' এই কারণটা আমিও গোপন রাখতে চেয়েছি। লেখক হিসেবে আমি আপ্লুত যে, পাঠক হিসেবে আপনার কাছে সেটা উন্মোচিত হয়েছে-'হতে পারে বকুল নামের কোন মেয়েকে সে এক সময় ভালোবাসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে কিংবা তাকে কোন ভাবে হারিয়েছে।' 

      বর্ণনায় কাটছাটের বিষয়টা আমি গুরুত্ব সহকারেই ভাববো। অনেক ধন্যবাদ ঘাসফুল আপনার সুগঠিত মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন। সুন্দর থাকুন।

    • Load more relies...
    - পিপীলিকা

    ঘাস ফুলের বিশাল মন্তব্য দেখিয়া আর কিছু লিখিবার সাহস কুলাইল না। একখানা ক্লিপের বদৌলতে শেষ পর্যন্ত রাতুলের ভাগ্যে কিছু জুটিল, বোধ করি পতিতা শাপলার পবিত্র ভালোবাসাখানাই জুটিল। বর্ণনা শৈলী একজন দক্ষ গল্পকারেরই পরিচয় বহন করে। ভাষার মাধুর্যও অনেকখানি ধরিয়া রাখিতে সক্ষম হইয়াছেন বলিয়া মনে হইল। কিঞ্চিৎ দুর্বলতা ঘাস ইতিমধ্যেই তুলিয়া ধরিয়া বলিয়া ওমুখো  আর পা বাড়াইলাম নাম। তবে গল্পখানা আমার বেশ ভালো লাগিয়াছে। ধন্যবাদ গ্রহণ করিবেন মিশু মিলন।  

    • - মিশু মিলন

      আমার ব্লগ আঙিনায় আপনাকে স্বাগতম। আশা করি আপনার সাথে আমার ব্লগযাত্রা শুভ হইবে। গল্প আপনার ভাল লাগিয়াছে জেনে আমিও ভাললাগায় আপ্লুত হইলাম। আপনি নিমন্ত্রণ না করিলেও আমি আপনার ব্লগবাড়িতে যাইবো রস আস্বাদনের লোভে। 

      ভাল থাকিবেন।   

    - মাহাফুজুর রহমান কনক

    অসাধারন। গল্প "ক্লিপ" মুগ্ধপাঠ হলো। নামকরণ, বর্ণনাশৈলী, গল্পের চরিত্র ও চিত্রন দুর্দান্ত।

    শুভকামনা।

    • - মিশু মিলন

      অনেক ধন্যবাদ। 

      ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন।

    Load more comments...