ছাত্র জীবন থেকেই আমরা হন্য হয়ে চাকুরী খুঁজে বেড়াই। খুব কম মানুষ-ই আছেন যারা সঠিক যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক চাকুরী পেয়েছেন। আর বেশির ভাব মানুষই চাকুরী নামক সোনার হরিনের পেছনে ছুটেছেন।কিন্তু তা অধরাই রয়ে গেছে। কেন আপনি চাকুরী পেছনে ছুটে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন? একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন এমন অনেক সফল উদ্যোক্তা আছেন তারা চাকুরীর পেছনে না ছুটে শুরু করেছেন ব্যবসা। নিজে হয়েছেন স্বাভলম্বী এবং অন্য অনেক অসহায় মানুষের হয়েছেন সহায়। এমন উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। স্কায়ার গ্রুপের মালিক সদ্যপ্রয়াত স্যার স্যামসন এইচ চৌধুরী একটি ঔষধের দোকানে বসে বসে চিন্তা করেছিলেন কীভাবে এ ঔষধ তৈরী করা যায়। ব্যস শুরু হয়ে যায় ঔষধ তৈরীর ফর্মুলা। আজ সেই ঔষধের দোকান থেকে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি। ব্যবসা ক্ষেত্রে আইকন তৈরী করেছে স্কয়ার গ্রুপ। কাজেই আপনাকে শুরু করতে হবে। স্বপ্ন দেখতে হবে। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে কাজে লাগাতে হবে। নেমে পড়তে হবে ব্যবসায়। শুরুতে অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে, কিন্তু আপনাকে হাল ধরে রাখতে হবে। ঝুঁকি নেওয়ার মনমানসিকতা থাকতে হবে। আর ব্যবসা মানেই তো ঝুঁকি। এই ঝুঁকি নেওয়ার ভয়ে যদি পিছিয়ে যান, তবে আপনি নিজেই নিজের গলায় ব্যর্থতার মালা পড়িয়েছেন? ভেবে দেখুন সময় এখন আপনার। সময় এখন তরুণ উদ্যোক্তার...
নিচের টিপসগুলো অক্ষরে অক্ষের মেনে চলার চেষ্টা করুন। সফলতা আপনা হতেই ধরা দিবে-
১/আবেগ এবং প্রচন্ড মানুষিক শক্তি :
একজন উদ্যোক্তাকে তার কাজের প্রতি প্রচন্ড আবেগী এবং মানুষিক ভাবে দৃঢ় থাকতে হয়। এ সম্পর্কে এ্যলিকো ড্যানগোট এর একটি চমৎকার মন্তব্য আছে-“ আবেগ তাই যা আমাকে সামনে নিয়ে যায়। কাজের প্রতি আমার আবেগই আমাকে রাত ২টায় বিছানায় এবং ভোর ৬টায় ঘুম থেকে কাজের দিকে মনোনিবেশ করতে তাড়িত করে”।
২/দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন :
একজন সফল উদ্যোক্তা দায়িত্ব এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভালোবাসে। কোন ভুল হলে সে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় এবং সহকর্মীর উপর দোষ চাপাতে পছন্দ করে না। এ প্রসঙ্গে স্টিভ জবসের একটি উক্তি আছে-“ কখনও নতুন কাজ শুরু করেছ, ভুল হতেই পারে। সবচেয়ে ভালো ভুল কাটিয়ে উঠতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া এবং কাজের প্রতি মনোনিবেশ করা”।
৩/নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা :
নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থাশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সে বিশ্বাস অজর্ন করতে হবে যে সব বাধাঁ অতিক্রম করে আপনিই আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাবেন। বিশ্বাসের অভাব হলে কোন কিছুই সফল ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না।
৪/অধ্যবসায় :
কাজের প্রতি অটল থাকা, ধারাবহিক কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হওয়া, কাজে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করাই একজন সফল উদ্যোক্তার লক্ষ্য। সফল হতে গেলে অধ্যবসায়ের কোন বিকল্প নেই।
৫/লক্ষ্য স্থির করা :
একজন সফল উদ্যোক্তা তার লক্ষ্যের প্রতি স্থির থাকেন এবং লক্ষ্য মাথায় রেখে সুনির্দিষ্ঠ কিছু কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। লক্ষ্যবিহীন কোন কাজেই সফলতা আসে না।
৬/ধৈর্যশীল হওয়া :
প্রতিটি কোম্পানিকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একজন সফল উদ্যোক্তা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্যশীল থাকে এবং খুব শান্ত স্বভাবে পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৭/ঝুঁকি নেয়ার মানুষিকতা :
জে পাওয়েল গেটি এর এমন একটি উক্তি আছে যে -“ আপানাকে অবশ্যই আপনার নিজস্ব এবং লোনের অর্থ দিয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। ঝুঁকি ব্যবসায়কে চালিয়ে নেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়”।
৮/কৌশলী হওয়া :
আজকের এই প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে ব্যবসায়ে ভালো করতে হলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়। কোন সময় কিভাবে ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করতে হয়। কখন কি পন্য বাজারে চাহিদা তৈরি করে, অন্য কোম্পানি থেকে কিভাবে আলাদা হওয়া যায় এসব বিষয়ে কৌশলী হতে হয়।
৯/ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন :
একজন সফল উদ্যোক্তা তার ব্যক্তিগত অবস্থানের প্রতি অনেক বেশী সর্তক থাকেন। এ সম্পর্কে ওয়ারেন বাফেটের একটি উক্তি আছে-“ সুনাম অর্জন করতে হয়তো বিশ বছর লাগে কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটই যথেষ্ঠ তা ক্ষুন্ন করার জন্য। কেউ যদি এভাবে চিন্তা করে তবে সে আলাদা কিছু করবে”।
ভানুন, নিজের মনকে স্থির করুন। কি ভাবে শুরু করবেন তার একটা প্ল্যান তৈরী করুন। সেই প্ল্যান মাফিক কাজে মনেনিবেশ করুন। চার পাশেরর অসংখ্য মানুষ কত বড় বড় অসাধ্য সাধন করছে আর আপনি একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন না? নিজের ভেতরের মানুষটাকে জাগিয়ে তুলুন। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য রইলো আগাম অভিবাদন।
(পরবর্তী পোষ্টে থাকবে কী ব্যবসা কী ভাবে শুরু করা যায়)
বদরুল ইসলাম
ট্রেইনার, প্লাটিনাম গ্রুপ
নিচের টিপসগুলো অক্ষরে অক্ষের মেনে চলার চেষ্টা করুন। সফলতা আপনা হতেই ধরা দিবে-
১/আবেগ এবং প্রচন্ড মানুষিক শক্তি :
একজন উদ্যোক্তাকে তার কাজের প্রতি প্রচন্ড আবেগী এবং মানুষিক ভাবে দৃঢ় থাকতে হয়। এ সম্পর্কে এ্যলিকো ড্যানগোট এর একটি চমৎকার মন্তব্য আছে-“ আবেগ তাই যা আমাকে সামনে নিয়ে যায়। কাজের প্রতি আমার আবেগই আমাকে রাত ২টায় বিছানায় এবং ভোর ৬টায় ঘুম থেকে কাজের দিকে মনোনিবেশ করতে তাড়িত করে”।
২/দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন :
একজন সফল উদ্যোক্তা দায়িত্ব এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভালোবাসে। কোন ভুল হলে সে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় এবং সহকর্মীর উপর দোষ চাপাতে পছন্দ করে না। এ প্রসঙ্গে স্টিভ জবসের একটি উক্তি আছে-“ কখনও নতুন কাজ শুরু করেছ, ভুল হতেই পারে। সবচেয়ে ভালো ভুল কাটিয়ে উঠতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া এবং কাজের প্রতি মনোনিবেশ করা”।
৩/নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা :
নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থাশীল হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সে বিশ্বাস অজর্ন করতে হবে যে সব বাধাঁ অতিক্রম করে আপনিই আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাবেন। বিশ্বাসের অভাব হলে কোন কিছুই সফল ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় না।
৪/অধ্যবসায় :
কাজের প্রতি অটল থাকা, ধারাবহিক কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান হওয়া, কাজে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করাই একজন সফল উদ্যোক্তার লক্ষ্য। সফল হতে গেলে অধ্যবসায়ের কোন বিকল্প নেই।
৫/লক্ষ্য স্থির করা :
একজন সফল উদ্যোক্তা তার লক্ষ্যের প্রতি স্থির থাকেন এবং লক্ষ্য মাথায় রেখে সুনির্দিষ্ঠ কিছু কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। লক্ষ্যবিহীন কোন কাজেই সফলতা আসে না।
৬/ধৈর্যশীল হওয়া :
প্রতিটি কোম্পানিকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একজন সফল উদ্যোক্তা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্যশীল থাকে এবং খুব শান্ত স্বভাবে পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৭/ঝুঁকি নেয়ার মানুষিকতা :
জে পাওয়েল গেটি এর এমন একটি উক্তি আছে যে -“ আপানাকে অবশ্যই আপনার নিজস্ব এবং লোনের অর্থ দিয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। ঝুঁকি ব্যবসায়কে চালিয়ে নেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়”।
৮/কৌশলী হওয়া :
আজকের এই প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে ব্যবসায়ে ভালো করতে হলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হয়। কোন সময় কিভাবে ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করতে হয়। কখন কি পন্য বাজারে চাহিদা তৈরি করে, অন্য কোম্পানি থেকে কিভাবে আলাদা হওয়া যায় এসব বিষয়ে কৌশলী হতে হয়।
৯/ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন :
একজন সফল উদ্যোক্তা তার ব্যক্তিগত অবস্থানের প্রতি অনেক বেশী সর্তক থাকেন। এ সম্পর্কে ওয়ারেন বাফেটের একটি উক্তি আছে-“ সুনাম অর্জন করতে হয়তো বিশ বছর লাগে কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটই যথেষ্ঠ তা ক্ষুন্ন করার জন্য। কেউ যদি এভাবে চিন্তা করে তবে সে আলাদা কিছু করবে”।
ভানুন, নিজের মনকে স্থির করুন। কি ভাবে শুরু করবেন তার একটা প্ল্যান তৈরী করুন। সেই প্ল্যান মাফিক কাজে মনেনিবেশ করুন। চার পাশেরর অসংখ্য মানুষ কত বড় বড় অসাধ্য সাধন করছে আর আপনি একটা ব্যবসা দাঁড় করাতে পারবেন না? নিজের ভেতরের মানুষটাকে জাগিয়ে তুলুন। তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য রইলো আগাম অভিবাদন।
(পরবর্তী পোষ্টে থাকবে কী ব্যবসা কী ভাবে শুরু করা যায়)
বদরুল ইসলাম
ট্রেইনার, প্লাটিনাম গ্রুপ
Comments (3)
কতবার যে আমায় অপ্রসন্ন করছো ,
কি সুকৌশলেই না তুমি মেলে ধরো
নিজের সুখানুভূতি !
ভাল লাগল আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
এতটুকু প্রশ্রয় কখনও দেইনি’তো তোমায় !
তোমার ভজন ,তোমার ভক্তি
উহ্ !কি নিখুঁত পীড়া’য় নিস্প্রভ হয়ে যাই আমি ।
মেকি’র ছন্দে ছন্দে বারে বারে নেচে ওঠো তুমি
মনোলোভা হরিণী যদি মুখ লুকায় তোমার লোমশ বুকে !
না পুরুষ ,না —–
ভাবনা আর শব্দের তেজে দীপ্তমান এক কবিতা । শুভ কামনা
কবিতা পড়ার জণ্য অনেক ধন্যবাদ অপু ভাই ।মন্তব্যে অনুপ্রানিত হলাম ।
এতটুকু প্রশ্রয় কখনও দেইনি’তো তোমায় !
তোমার ভজন ,তোমার ভক্তি
উহ্ !কি নিখুঁত পীড়া’য় নিস্প্রভ হয়ে যাই আমি ।
মেকি’র ছন্দে ছন্দে বারে বারে নেচে ওঠো তুমি
মনোলোভা হরিণী যদি মুখ লুকায় তোমার লোমশ বুকে !
না পুরুষ ,না —–
আত্ম-অনুভূতিতে আজও শুদ্ধতার পিদিম জ্বলে ।
চমতকার কবিতা। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই ।