ঈদ হয়তো একদিন , কিন্তু ঈদের আনন্দ থাকে অনেকদিন। সারা মাস রোজা রাখার সাথে সাথে সবার মধ্যেই ঈদের দিনটি নিয়ে আলাদা কিছু প্রস্তুতি থাকে । কেবল নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করলেই ঈদের আনন্দ শেষ হয়ে যায় না। আনুসাঙ্গিক অনেক কিছুই থাকে – যেমন ঘরের সাজ । মেহমান তো আসবেনই , সেই সাথে নিজেকেও আরও একটু সজীব করে রাখতে গৃহসজ্জা একটা আলাদা আবেদন রাখে। তাছাড়া চারপাশ অগোছালো রেখে ঠিক মতো কাজেও মন বসে না। তারউপর উৎসবের গৃহসজ্জা গতানুগতিক থেকে একটু অন্যরকম হলেই ভাল লাগে। তবে এর জন্য খুব বেশি বাজেট রাখার প্রয়োজন নেই ।
ঘরে পুরানো আসবাব গুলোকেই একটু নতুন করে সাজান ।হাতে সময় থাকলে কাঠের আসবাবে রঙ করিয়ে নিতে পারেন । এত দিন সেগুলো ঘরে যে ডিজাইনে ছিলও সেখান থেকে অন্য কোন জায়গায় সেট করে দেখুন ভাল লাগবে ।
নিত্য দিনের পুরানো পর্দা গুলো যদি ব্যবহার করতেই হয় তাহলে সেগুলো এক সপ্তাহ আগে থেকেই ধুয়ে ফেলুন ।অথবা যদি অন্য আরেক সেট থাকে তবে সেটা ব্যবহার করুন। আর পুরো বাড়ির পর্দা বদলানো না গেলে শুধু বসার ঘরের পর্দা বদলাতে পারেন। সোফার কাভার আর ফ্লোরের টাইলসের সাথে মিল রেখে পর্দা সিলেক্ট করুন। হাল্কা রঙয়ের নেটের পর্দা সব কিছুর সাথেই ভাল মানিয়ে যাবে । বেড রুমে গ্রামীণ চেকের পর্দা লাগানে নিমিষেই প্রকৃতির ছোঁয়া পাবেন ।পর্দা বানানোর ক্ষেত্রে দরজার ডিজাইনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক পাল্লার কাঠের দরজা হলে দুই পাটি করে কম কুচি দিয়ে পর্দা বানান । খুব বেশি ডিজাইনের পর্দা দরজার সাথে ভাল নাও লাগতে পারে ।দরজার পেলমেট যদি কাঠের হয় তখন এর উপর ডিজাইন করে আলগা কাপড় ঝুলিয়ে দিলে অন্যরকম একটা লুক আসবে ।এখন অবশ্য অনেক শৌখিন বাসাতেই স্লাইডিং করা কাঁচের জানলা দরজা থাকে। সে গুলোতে ভারি পর্দা লাগাতে হবে। বাজারে অনেক ধরনের পর্দা পাওয়া যায় – থাইকটন, ওয়েভিং , সিল্ক , কোরিয়ান পর্দা ছাড়াও আপনার পছন্দ মতো কয়েক ধরনের কাপড় কিনে পর্দা বানাতে পারেন।
বসার ঘর সাজাতে এই গরমে আপনি ফ্লোরে রঙিন শতরঞ্জি ব্যবহার করতে পারেন । এতে যেমন ঘরে একটা নান্দনিকতা আসবে সেই সাথে ঘরে শীতলতাও থাকবে ।বসার ঘরের পাসেই যদি খাবারের টেবিল থাকে তবে সেখানে একটু আড়াল রাখতে ঝুলিয়ে দিতে পারেন নান রকম কাপড় আর পুতির তৈরি জয়পুরি ঝাড় । সেগুলোর মাঝে মাঝে বসিয়ে দিন দু’তিনটা ভিন্ন আওয়াজের চাইম। হালকা টুং টাং শব্দে ঘরময় একটা সুরের আমেজ ছড়িয়ে থাকবে।
ঘর সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন ইনডোর প্ল্যান্ট। ঘরের ভিতর নানা রকম পাতা বাহারের গাছ অনায়াসেই রাখা যায় । সেক্ষেত্রে মাটির সুন্দর ডিজাইন করা টবে গাছ গুলো রাখুন। কিছুদিন পর আবার সেগুলোকে বাইরে রেখে দিন । তাতে গাছ গুলো তরতাজা থাকবে ।
ঈদের দিনে মেহমান তো আসবেনই। খাবারের আয়োজন অনেক করলেন এর সাথে খাবার টেবিলটাও সাজিয়ে রাখুন । ডিজাইন করা টিস্যু বক্সে টিস্যু রাখুন ,পাশেই একটা ফলের ঝুড়ি চাইলে রাখতে পারেন ।তাতে ডিজাইন করে কোন ফল বা সবজি কেটে রাখুন। বেসিনে সাবান রাখলে একটা ফ্লোরাল সোপ কেস রাখলে সুন্দর লাগবে ।
সব শেষে অতিথিদের আসার আগেই ঘরে একটু সুগন্ধি ছড়িয়ে দিন। এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করলে যদি কারো আল্যরজির সমস্যা হয় তবে আতর অথবা আগরবাতি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আল্যারজি বাড়বে না কিন্তু সুগন্ধে মন ভরে থাকবে ।অতিথির সাথে সময়টাও আরও বেশি আনন্দে কাটবে ।
Comments (6)
ভালো লাগলো
ধন্যবাদ সরোয়ার জাহান ভাই
প্রথন লেখয়া মনে হচ্ছে, নক্ষত্রে লিখেছেন আরও ভালো লিখেন শুভকামনা।
ধন্যবাদ মাইদুল আলম সিদ্দিকী! অনুপ্রেরণা পেলাম
বেশ, নতুন করে পুরনো পথচলায় স্বাগতম।
ফাতিন ভাল লাগল! ধন্যবাদ গ্রহণ করার জন্য