একটি প্রাইভেট কোম্পানির মালিক দেওয়ান কামরুল হাসান রথি আর তার পিয়ন জব্বারের বাক্যালাপ।
রথিঃ জানিস জব্বার পৃথিবীটা না চারকোনা, দেখতে অনেকটা বক্সের মতন।
জব্বারঃ ঠিক বলেছেন স্যার, আমাগো ঘরে একটা টিনের ট্রাংক আছে ঠিক ঐটার মতন চারকোনা।
রথিঃ এইতো তুই ধরতে পেরেছিস। তোর মাথায় অনেক বুদ্ধি। এর জন্য তো তোকে আমি এতো পছন্দ করি।
জব্বারঃ হেঁ হেঁ স্যার। আপনি তো আমাদের মা বাপ, আপনি তো আমাদের ভরসা।
রথিঃ জানিস জব্বার আমি সবসময় থেকে একটু প্রতিবাদি। তোর ভাবী আমার কাছে এতো কিছু আবদার করে আমার পকেটে টাকা থাকা সত্ত্বেও আমি বলি নো নো। এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
জব্বারঃ হক কথা কইছেন স্যার। মাইয়া মানুষ হইলো এমন। চাইলেই দিতে হইবো নাকি। আমিও নো নো স্যার।
রথিঃ ভেরি ভেরি গুড।
জব্বারঃ হেঁ হেঁ স্যার ।
রথিঃ তোকে দিয়েই হবে, যা সামনের মাস থেকে তোর বেতন ৫০০ টাকা বাড়িয়ে দিলাম।
জব্বারঃ আনন্দের আতিশয্যে, হাত চুলকাইতে চুলকাইতে হেঁ হেঁ স্যার। আপনিতো আমাদের সব স্যার।
রথিঃ জব্বার জানিস একবার শশুর বাড়ি থেকে আমাকে ব্যাবসার জন্য ২০ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল। আমি সরাসরি নো বলে দিয়েছি।
জব্বারঃ নো নো স্যার।
কসাইয়া জব্বারের পিছনে একটা লাথি, আরে মান্দা** পো আমি চাইছি ৫০ লাখ দিছে আর দিছে ২০ লাখ এই টাকা দিয়া কি আমি ব্যাবসা করতে পারতাম। ৫০ লাখ দিছে দেখেই না এখন তোরা আমার এখানে চাকরী করতে পারছিস।
জব্বারঃ জব্বারঃ হেঁ হেঁ স্যার ।
তৈল অতি বিপদজনক জাতীয় একটি পদার্থ যেখানে মারিবেন বুজিয়া শুনিয়া মারিবেন।
Comments (4)
ভাল লাগা জানালাম। শুভকামনা।