এই সেন্টারটি কাতারের রাজধানী দোহা শহরের কেন্দ্র স্থলে অবস্থিত, কর্ণিশ (প্রধান অফিস পাড়া) এবং সুক ওয়াকিফ নামক ঐতিহ্যবাহী শপিং সেন্টারের মাঝখানে অবস্থিত।স্থানীয়দের কাছে এটি “ফানার”- নামে পরিচিত। “ফানার” শব্দের অর্থ বাতি ঘর (লাইট হাউজ)। কাতারের ঐতিহ্য সমুদ্রের সাথে সম্পর্কিত। তেল ও গ্যাসের খনি আবিস্কারের আগে এদের প্রধান জীবিকা ছিল মাছধরা ও সমুদ্রে থেকে মুক্তা আহোরন করে তা’ বাজারজাত করা। বর্তমানে দেশটিতে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় মজুদ আছে। এই প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে দেশটির অর্থনীতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বর্তমানে মাথাপিছু আয়ের হিসেবে কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলির একটি।
ইসলামিক কালচারাল সেন্টারটি পেচানো মিনার, ইসলামিক স্থাপত্যশৈলী এবং কারুকার্যখচিত ইমারতটি দেখার মত!! এই লম্বা মিনারটি বহুদূর থেকে দেখা যায়। ইসলামিক সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ইসলামিক সংস্কৃতি ও ধর্মকে আরব এবং নন আরবদের কাছে তুলে ধরা। সেন্টারটি কাতার সরকারের মিশন, এখানে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। যেমনঃ- স্থির চিত্র, ভিডিও চিত্র, বিভিন্ন প্রদর্শনী, আরবি ভাষা শিক্ষা ইত্যাদি।
এখানে যুমা-র নামাজ হয়। খুৎবা বলা হয় ইংরেজিতে, নন আরবদের বোঝার সুবিধার্থে। অমুসলিমরা ইচ্ছা প্রকাশ করলে, তাদেরকেও খুৎবা শোনার ব্যবস্থা করা হয়। এখানে বিনা মূল্যে ইসলামি বই বিলি করা হয়। সেই বইগুলো ৬/৭টি ভাষায় প্রকাশিত হয়। আমরা বাংলাদেশী জেনে আমাদের দু’টো বাংলা বই দেওয়া হলো।
ভেতরে ঢুকে দেখলাম, ইসলামের বিভিন্ন নির্দেশনামা দেয়াল জুরে পোষ্টার টাঙানো আছে, রক্ষিত আছে একটি হাতে লেখা কোরআন শরীফের ফটোকপি যার মূল গ্রন্থটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সংরক্ষিত আছে।
ইসলামিক কালচারাল সেন্টার
ভেতরে রক্ষিত মডেল
সুন্দর মিনারটি
বাইরের দেয়ালের কারুকাজ
হাতে লেখা কোরআন শরীফের ফটোকপি যার মূল গ্রন্থটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সংরক্ষিত আছে
দেয়ালের পোষ্টার
ইস্তাম্বুলের সুলেমানী মসজিদের ছবি
ইসলামি শিল্পকর্ম
**************************
Comments (14)
গল্পটি বড় হলেও আগাগোড়া পড়লাম। প্রতিযোগিতার জন্য উপযুক্ত গল্প। ধন্যবাদ, ভাই খন্দকার আযহা সুলতান।
দাদা, সালাম এবং ধন্যবাদ.....
ম্যালা বড় গল্প!
পড়বো সময় করে...
ধন্যবাদ
আসার জন্য ধন্যবাদ.....
ধন্যবাদ
ভাই, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ....