Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আল ইমরান

১০ বছর আগে

আমি ৫২ দেখিনি, দেখিনি ৭১ দেখিনি

মি ৫২ দেখিনি, আমি ৭১ দেখিনি, আমি শুনেছি, পড়েছি সেই কথা, জেনেছি উত্তাল সেই দিনগুলোর দিনপঞ্জি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার কাছে। আমি জেনেছি পাক হানাদার আর দোসর রাজাকারদের সহিংসতার কথা। আমি জেনেছি অত্যাচারিত নিপীড়িত বাংলার মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর উপ্যাখ্যান। আমি জেনেছি ভাষার জন্য জীবন দেয়া বাঙ্গালির পরিচয়। আমি বুঝতে শিখেছি, জাতিয়তা, আমি বুঝতে শিখেছি পতাকা, আমি অনুভব করেছি স্বাধীনতা। আমি অনুভব করেছি বিজয়। 

আমার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে দেখেছি, শক্ত চোয়াল আর মুষ্টিবদ্ধ হাত হয়ে যেত ৭১ এর গল্প বলার সময়। আমিও উদ্দীপ্ত হতাম, মনে মনে ভাবতাম, আরেকটা সুযোগ পেলে আমি হব মুক্তিযোদ্ধা। আমিও দেশের জন্য প্রান রাখব বাজি। আমিও গর্বিত হব এই দেশ মাতৃকার সুযোগ্য সন্তান হিসেবে। দুর্নীতি আর ফ্যাসিবাদী রাজনীতি কে ঘৃণা করতে শিখেছি। সত্য সুন্দর পথের ঠিকানা জেনেছি। পুরোপুরি না হোক, সাধ্যমত সেই পথে চলার চেষ্টা করেছি। আজ বড় কষ্ট হয় এই ভেবে, এই স্বাধীন দেশে একদল ফ্যাসিবাদী পশু আমাকেও বলে রাজাকার, আমার বাবাকেও বলে রাজাকার।

আমি মুসলমান। খুব গর্ব করে বলি। অনেক বেশি ভাগ্য নিয়ে জন্মেছিলাম বলেই হয়ত, একজন মুসলমান এবং মুক্তিযোদ্ধার ঘরে আমার জন্ম। কিন্তু রাজনৈতিক প্রহসন আমাকে আজ নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। একজন বিখ্যাত লোকের উক্তি শুনেছিলাম, পাগলের রাজ্যে যে নিজেকে মানিয়ে নিতে চায়, সে নির্ঘাত একজন পাগল। আজ নিজেকে কেন জানি পাগল মনে হচ্ছে। আজ এই প্রানপ্রিয় দেশে অসাম্প্রদায়িকতার নামে মানুষের অন্তরে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে, মানুষে মানুষে চলছে খুনাখুনি, এক মুসলমান মারছে আরেক মুসলমানকে। নাস্তিকতা ফ্যাশনে পরিনত হচ্ছে। এক ধর্মের বিরুদ্ধে অন্য ধর্মের লোকদের লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে শুধুই রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য। ক্ষমতা এতটাই প্রিয় যে দেশকে সংঘাত এর দিকে, ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতেও কার্পন্য করছে না। 

এই দেশ কি চেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা? এই দেশের তরুন প্রজন্ম আজীবনই কি রাজনৈতিক ফায়দা লোটার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে? শাহাবাগ আন্দোলনের শুরু আমাকে নতুন দিগন্ত দেখিয়েছিল, সেই দিগন্তের সুর্য উঠার আগেই কিভাবে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বাজেয়াপ্ত হয়ে গেল, খুব কষ্ট পেয়েছিলাম তখন। আজও পাচ্ছি প্রতি মুহুর্তে। আর কতকাল ধর্মের নামে, দেশের নামে কাদা ছোড়াছুড়ি আর নোংরামি চলবে। আর এই নষ্টামিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এই দেশ আর ধর্ম। তরুন সমাজ কি কখনও নিজের হৃদয়ের কথা শুনবে না? আজীবন কি তারা রাজনৈতিক কলের পুতুলই হয়ে থাকবে? আমি আশাবাদী। আমি হতাশ হতে চাই না। আমি চাই তরুণরা জেগে উঠুক। সত্যিকারের জেগে উঠা। এই দেশে আবারও প্রতিষ্ঠিত হোক আইনের শাসন। যতদিন এই দেহে থাকবে প্রান, সোনার বাংলা দেখার স্বপ্নেই বেঁচে থাকব আমি।
০ Likes ৮ Comments ০ Share ৩৯২ Views

Comments (8)

  • - রোদেলা

    বাপরে আমিতো বিরাট ভয় পাইলাম।

    ঘুমানোর সময় নির্ঘাত আপনার গল্পটা মনে পড়বে।

    • - গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

      ভয় দিতেতো চাইনি।

      তবে রাতে ঘুমানোর সময় অশরীরী কিছু একটা আসলে বাস্তবিকই সমস্যা!undefined

    - মাসুম বাদল

    সত্যি, বেশ ভালো লেগেছে!

    (অশরীরী বিষয়ে মানুষের আগ্রহটা আসলেই সহজাত ও চিরন্তন) 

    • - গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

      ধন্যবাদ

    - চারু মান্নান

    • - গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

    Load more comments...