তোমার গ্রীবাদেশে মুক্তো দানার মত ছড়িয়ে আছে
বিন্দু বিন্দু ঘামের জলকণা
কামুক চোখ সেখানে থেমে আছে অনেকক্ষণ হল,
অস্ফুটে তুমি কিছু বলতেই
চোখ এবার তোমার ঠোট স্পর্শ করল আলতো করে
ময়ূরাক্ষী নদী পেরিয়ে
চোখ তোমার গোপন গহীন বুকে এলিয়ে দিয়েছে তার ক্লান্ত শরীর
তুমিও অবুঝ বালিকার মত খামচে খামচে কামনার শিশিরস্নাত
ভোরের শিউলিগুলো তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়লে,
শিউলির গন্ধ এমন মদির গন্ধ!
পেলব স্বর্ণলতা হয়ে দু হাতে জড়িয়ে
ডাহুক পাখীর মত মুখ গুজে
তুমি নিয়েছ লোনা ঘামের গন্ধ;
তোমার নিকষ নাভিমূলে গুজে দেয়া শিমুল
আমি তুলে নিলাম এক ঝটকায়;
তুমি যেন এক অচেনা মানচিত্র
আমি অভিযাত্রী সেখানে
খুঁজে চলেছি বাঁকে বাঁকে মুক্তো চন্দন;
বিবশ শরীর
নোনা জলে শ্যাওলার সাথে শয্যা
অস্থির অনুভবে ঢেউ উঠে ক্ষণে ক্ষণে
অতলান্তিক ঢেউ আমাকে নিয়ে যায় গভীর থেকে গভীরে -
কৃষ্ণচূড়ার নূপুর পায়ে মেঘ হয়ে এসেছিলে তুমি
বৈশাখের খরতাপে পুড়ে যাওয়া
আমি মুগ্ধ মুসাফির
ডাকাত হয়েছি -
Comments (24)
আমার প্রতিবাদের ভাষা যদি কবিতা হয়-
তবে রাজপথ হয়ে উঠুক আমার কবিতার খাতা;
লাল ইটের টুকরোগুলো হয়ে উঠুক প্রতিবাদী কলম,
আঁচড়ে আঁচড়ে লিখে যেতে চাই বুভুক্ষ মানুষের কথা,
শোষিত, বঞ্চিত মানুষের কথা।
এ কবিতা আমার সুপ্ত চেতনার কবিতা।
এই কবিতা কোন বইয়ে ছাপা হবেনা,
এই কবিতার কোন প্রচ্ছদ হবেনা,
এই কবিতার কোন প্রকাশক নেই।
এ শুধুই বুভুক্ষ ও প্রতিবাদী মানুষের পথলিপি।
ক্লাসিক!
কালপুরুষ দা র লেখা আমি দীর্ঘদিন থেকে পড়ি। এটি একেবারেই আপনার অন্যান্য লেখা থেকে ভিন্ন।
লাইকড ইট কালপুরুষ দা
ধন্যবাদ নীল'দা।
আমার ঈর্ষা ক্রমশই বাড়তে থাকে। এই ঈর্ষা বাড়তে থাক...
কবে যে এর ধারের কাছেও যেতে পারবো।। দিনগুনি...
এমন ঈর্ষার আগুনে পুড়তে ভাল লাগে। না পুড়লে সোনা খাঁটি হয়না। :)
কেউ যুদ্ধের ময়দানে রাইফেল হাতে যুদ্ধ করে আবার কেউ কলম হাতে যুদ্ধ করে। কবি সাহিত্যিকরা সেই যোদ্ধা, যারা কলম হাতে যুদ্ধ করেন। বুলেটের যেয়ে তাদের কলমের আঁচড় আরও বেশী শক্তিশালী। একটা বুলেট হয়তো বড় জোড় একজনকে বিদ্ধ করা যায়, কিন্তু একটা কলম দিয়ে একটা পুরো জাতিকে এমনকি পুরো বিশ্বকে বিদ্ধ করা যায়। তাই তো বলা হয় মসি অসির চাইতে শক্তিশালী। কবিতায় উঠে আসে মানবতার কথা, ভালোবাসার ভালো লাগার কথা, যা মানুষকে সহজেই প্রভাবিত করে। প্রতিটা মানুষেরই সমাজের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা থাকে। কবিদেরও আছে। টাকা পয়সা দিয়ে না হলেও কবিরা কলম দিয়ে তাদের দায়বদ্ধতা মিটিয়ে থাকেন বা মেটানো উচিৎ। জাতির ঘুমন্ত বিবেকেক জাগিয়ে তোলার দায়িত্ব কবি সাহিত্যিকদেরই নেয়া উচিৎ। যুদ্ধ ক্ষেত্রে যখন সৈনিক মারা যায়, তারা হন শহীদ, কিন্তু কবি যখন মারা যান তারা হয়ে থাকেন অমর। তাদের লেখনী হয়ে উঠে কালজয়ী। যেখানে প্রতিটি পংক্তিতে পংক্তিতে হয় তো লেখা থাকে প্রতিবাদের কথা, ভালোবাসার কথা। মানবতার কথা লিখে কবিরা অমর হয়ে থাক এই কামনা করছি। অনেক ভালো লাগা একটা কবিতা পড়লাম কালপুরুষ ভাই। মানবতার কথা এতো সুন্দর করে কবিতায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন যে, আমি মুগ্ধ। ধন্যবাদ আপনাকে।