-তুই কি ছ্যাকা খাইছোস?
-না মা। আমি ছ্যাকা খাওয়ার পাবলিক না।
-তুই কিসের পাবলিক?
-বলতে পারি না।
-মাথায় উকুন। এখন তোর দাঁড়িতেও হইবো। আমার মাথায় যদি একটা আসে, তাইলে ভূমিকম্প হইবো।
-যে জোরে চিল্লাইতেছো এখনি ভূমিকম্প হওয়ার কথা। হইতেছে না।
-কাটাবি নাকি ক!
-না।
-মেয়ের নাম কি?
-বিয়া শাদি দাও। মেয়ে হোক। তারপর নাম। এখনি নাম কিসের?
-আজকে শেভ না করলে ঘরে ঢুকবি না। তোরে তো সবাই ছ্যাকা দিবোই। তোর মধ্যে আছে কিছু? সবাই প্রেমে ছ্যাকা দিবো। আর শেভ না করলে আমি খুন্তির ছ্যাকা দেবো। মনে থাকে যেনো !
কোন ধরণের ছ্যাকা খেতেই আমার ইচ্ছে হচ্ছে না। দাঁড়ি মোছেও অসহ্য লাগছে। কথা বার্তা না বাড়িয়ে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পরলাম। ইটস আ বিউটিফুল ডে। এমন দিনে পথে পথে কাটিয়ে দেয়া যায় অনেকটা সময়। শেভ রাতে করা যাবে। এর চেয়ে ঘুরে ফিরে নগরীর রাস্তার আয়ু কমানো যাক। রাস্তার আয়ু না কমলে নতুন টেন্ডার হবে না। কর্মচারীদের লাভের বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।
সেলুনের চেয়ারগুলো শান্তির আখড়া একেকটা। বসলেই ঘুমিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়। পুরো ঘুম আসে না। গালে শেভিং ফোমের আরামদায়ক পরশ। সত্যিই, লাইফ ইজ বিউটিফুল।
বিউটিফুল লাইফ কয়েকদিনের মধ্যেই আরো সুন্দর হবে। শীত নেমে যাবে। গায়ে চাদর জড়িয়ে ভাপা পিঠা খাওয়ার সুখের ঠিক বিপরীত রকম কষ্ট হবে অসংখ্য গরীব মানুষের। শীত তাদের জন্যে অভিশাপ। অভিশাপ কিছুটা দূর করতে হবে। কাজে নেমে গেছি। হয়তো আপনাদের বাসার দরজায় একটা টোকা মেরে দেবো। কিছু একটা দিয়ে দেবেন। অন্তত একটুকরো হাসি।
ইতিমধ্যে অবরোধের ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে। ঘড়িতে তখন এগারোটা। ফোন বেজে উঠতেই রিসিভ করে বললাম...
-বলো মা।
-শেভ করছোস?
-না।
-বাইরে গণ্ডগোল দেইখা আজকে ঘরে ঢুকতে দিলাম। তাড়াতাড়ি আয় বাসায়। রাত বাজে কয়টা?
-ওককে!
শেভ করার পর আনইজি লাগে অনেক। তবে আজ খুব ইজি লাগছে। নগরী শান্ত। কে বলে সুখ নেই পৃথিবীতে? সুখ আছে। খুঁজে নিতে হয়।
Comments (9)
শুভেচ্ছা
তোমাতে আমি সবসময় হয়ে থাকি বিলীন
নিঃশব্দে পথ চলা প্রজাপতির ডানার মতন।
উষ্ণ আলিঙ্গনের অভাবে ছটপট করে কাটে রাত
তাই তো বিলীন হয়ে থাকা -
নিঃশব্দে প্রজাপতির ডানার মতন আমার এই পথ চলন।
কবিতায় ভালো লাগা রইল
নীল ভাই আপনারে পেয়ে অনেক ভাল লাগল। কেমন আছেন আপনি? এই ব্লগে প্রথম পোষ্ট এবং আমার জন্য প্রথম মন্তব্য আপনার থেকে। দারুন ব্যাপার। ভাল থাকবেন সবসময়।
কষ্টকে লাঘবের আশায়; তোমার উষ্ণ আলিঙ্গনের আকাখাংকা
সেটাও যদি অক্টেন দেহে জ্বলনীতে সাজিঁয়ে রাখ
তাহলে কি – অতিক্রম করতে পারব আমি
ছটপট করা ভয়ংকর উত্তাল রাত?
আসলেই তাই। কিভাবে পার করবে কবি? পার হতে গেলে যে নিজেই জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে। ভালো লাগলো কবিতা। ধনব্যাদ অরণ্য।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকনেব।
ভাল লাগলো কবিতা।
ভাল থাকুন অরণ্য।
অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।