ঢাকা : বেইজিং এয়ারপোর্টে নামতেই ভক্তদের ভিড়ে চিঁড়ে চ্যাপ্টা হওয়ার অবস্থা লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র, কাকা কিংবা ডি মারিয়াদের। বিমানবন্দর থেকে নামতেই তাদের দিকে ধেয়ে এল কয়েকশ’ ভক্ত। কারও আব্দার সেলফি। আবার কেউ বাড়িয়ে ধরলেন অটোগ্রাফের খাতাটা।
শনিবার বেইজিং অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে লাতিনের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচেই মুখোমুখি বার্সেলোনার দুই বন্ধু মেসি-নেইমার। হোক আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ, তবে ‘সুপারক্লাসিকো ডি লাস আমেরিকাস’ নিয়ে রীতিমতো সিরিয়াস দুই দল।
এই ম্যাচ নিয়ে চীনের রাজধানীতেও শুরু হয়েছে ফুটবল উৎসব। বিশ্বকাপের পরে দুই ব্যর্থ দেশের দুই নতুন কোচের কাছে অগ্নিপরীক্ষাও বটে। ব্রাজিল কোচ দুঙ্গার সামনে জয়ের স্বপ্ন। কোচ হওয়ার পর দুঙ্গা ব্রাজিল দল নিয়ে খেলেছেন। জিতেছেনও। আর্জেন্টিনা কোচ তাতা মার্টিনোরও একটা ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ সব সময়ই আলাদা।
এই ম্যাচের গুরুত্ব আরও বেশি অন্য একটা কারণে। ব্রাজিল দলে প্রত্যাবর্তনের দিকে তাকিয়ে কাকা। ৩২ বছর বয়সী তারকা বেইজিং পৌঁছেই বলেছেন, ‘২০১০ বিশ্বকাপের চেয়ে আমি এখন শারীরিক, টেকনিক্যালি এবং ট্যাকটিক্যালি ভালো অবস্থায় আছি। আমি এখানে এসেছি জাতীয় দলে পাকাপাকি ভাবে ফিরতে। সাও পাওলোয় মৌসুমটায় ভালোই খেলেছি।’
কাকার মতো নতুন পরীক্ষায় নামছেন মেসি এবং নেইমারও। চোটের জন্য বিশ্বকাপের শেষ অংশে খেলতে পারেননি। বেইজিংয়ে যেন সেই আক্ষেপ পুষিয়ে নেওয়ার পালা নেইমারের। আবার অন্যদিকে, ২০০৮ সালে মেসি এই মাঠেই জিতেছিলেন অলিম্পিক ফুটবলের সোনা। ছয় বছর পর সেই মাঠেই তার যেন নতুন পরীক্ষা।
বিশ্বকাপের মতোই আবেগ এই ম্যাচকে ঘিরে। সেই আবেগে ভেসে চীন ঘুরতে আসা বিদেশিদের ভিড় তিয়েন আনমেন স্কোয়ারে। সকলেই খুঁজছেন তারকাদের দেখার টিকিট। যা রীতিমত দুষ্প্রাপ্য।
লাতিন আমেরিকার ‘সুপার ডার্বি’তে থাকছে আরও অনেক বিশ্ববন্দিত মুখ। ব্রাজিল দলে রয়েছেন রবিনহো, উইলিয়ান, অস্কাররা। আর্জেন্টিনায় গঞ্জালো হিগুয়াইন, ডি মারিয়া এবং মাচেরানোরা।
পিছনে ফিরে তাকাতে কেউ রাজি নন। ফাইনালে উঠেও বিশ্বকাপ ছুঁতে না পারার আফসোস তাড়া করছে মেসি ও ডি মারিয়াদের। ব্রাজিলকে হারিয়ে সে আফসোস কিছুটা হলে পুরণ করতে চান তারা। আর ব্রাজিলের লক্ষ্য আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার লজ্জা মোছন।
Comments (0)
আরও কিছু কথা যোগ করে দেই - একজন লেখকের লেখা বা একজন কবির কবিতা লেখার মধ্য দিয়ে কখনও জীবন সার্থক হয় আবার জীবনে সার্থকতা আসে না। যিনি লেখক, যিনি কবি তিনি কোন কিছু লাভ বা লোকসানের কথা চিন্তা না করে লিখে যান। শুধু লিখে যান বলেই তিনি একজন কবি বা লেখক।
এখন দেখছি নিজের পোষ্টে নিজেই আলোচনা, সমালোচনা করা উচিত -যেহেতু নিজেকে ব্লগের একজন অ-লেখক হিসাবে জানি। আসুন সকলে মিলে আমার সমালোচনা করুন।
পরবর্তিতে আরও লিখার ইচ্ছা আছে যে, আমি বা আমার মত অনেকেই নানান কারণে একজন কবি বা লেখক হতে পারি নি। পৃথিবীর চলার পথে কোন চিহ্ন রেখে যেতে পারি নি, তবে পৃথিবী পরে পদ চিহ্ন রেখে যাওয়ার রাস্তাটা সব সময়ই খোলা।
বাস্তব কথা
মেঘ যদি লেখক হয় তবে সারা আকাশ হচ্ছে পাঠক। বিশাল আকাশের মাঝে মেঘ যেমন ভাসে, বিশাল পাঠক সাগরে তেমন ভেসে বেড়ায় লেখক।
বেশ চমৎকার
শুভ কামনা রইলো
চমতকার লিখেছেন রব্বানী চৌধুরী ভাই। কবি অথবা লেখক হওয়াটা-ই জীবনের একমাত্র স্বার্থকতা না, এটাও ঠিক।