Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সাইফুল ইসলাম

৬ বছর আগে লিখেছেন

রুকইয়াহ শারইয়াহ এর ধারনা

রুকইয়াহ কি?
রুকইয়াহ অর্থঃ ঝাড়ফুঁক করা, মন্ত্র পড়া, তাবিজ-কবচ, মাদুলি... ইত্যাদি।
আর রুকইয়াহ শারইয়্যাহ (رقية شرعية) মানে শরিয়াত সম্মত রুকইয়াহ, কোরআনের আয়াত অথবা হাদিসে বর্ণিত দোয়া দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা।
তবে রুকইয়া শব্দটি দ্বারা সচরাচর ঝাড়ফুঁক করা বুঝায়, এই ঝাড়ফুঁক সরাসরি মানুষের ওপর হতে পারে, অথবা কোনো পানি বা খাদ্যের ওপর করে সেটা ব্যবহার করা হতে পারে। এক্ষেত্রে রুকইয়ার পানি, অথবা রুকইয়ার গোসল ইত্যাদি পরিভাষা ব্যবহার হয়। আর সবগুলোই সালাফে সালেহিন থেকে প্রমাণিত।
ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি
শরঈ বিধান
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "রুকইয়াতে যদি শিরক না থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।”
বিশুদ্ধ আক্বিদা
উলামায়ে কিরামের মতে রুকইয়া করার পূর্বে এই আক্বিদা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়া উচিত ‘রুকইয়া বা ঝাড়ফুঁকের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই, সব ক্ষমতা আল্লাহ তা’আলার, আল্লাহ চাইলে শিফা হবে, নইলে নয়।’
শিরকি রুকইয়াহ
অনেক পথভ্রষ্ট কবিরাজ নিজেদের যাদুটোনার তাবিজকে রুকইয়া বলে প্রচার করে থাকে, যেগুলোকে বলা হয় রুকইয়াহ শিরকিয়্যাহ।
রুকইয়া প্রকারভেদ
বিভিন্ন ভাবে রুকইয়া করা হয়, যেমনঃ দোয়া বা আয়াত পড়ে ফুঁ দেয়া হয়, মাথায় বা আক্রান্ত স্থানে হাত রেখে পড়া হয়। এছাড়া পানি, তেল, খাদ্য বা অন্য কিছুতে দোয়া/আয়াত পড়ে ফুঁ দিয়ে খাওয়া বা ব্যবহার করা হয়।
রুকইয়ার পূর্বশর্ত
রুকইয়া করে উপকার পাওয়ার জন্য তিনটি জিনিসের প্রয়োজন
নিয়্যাত (কেন রুকইয়া করছেন, সেজন্য নির্দিষ্টভাবে নিয়াত করা)
ইয়াক্বিন (এব্যাপারে ইয়াকিন রাখা যে, আল্লাহর কালামে শিফা আছে)
মেহনত (অনেক কষ্ট হলেও, সুস্থ হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রুকইয়া চালিয়ে যাওয়া)
লক্ষণীয়ঃ রুকইয়া থেকে পুর্ণ ফায়দা পাওয়ার জন্য দৈনন্দিনের ফরজ ইবাদাত অবশ্যই পালন করতে হবে, পাশাপাশি সুন্নাতের প্রতিও যত্নবান হতে হবে। (যেমনঃ প্রতিদিনের নামাজ, মেয়েদের পর্দার বিধান) যথাসম্ভব গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে। ঘরে কোনো প্রাণীর ছবি / ভাস্কর্য রাখা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

সাইফুল ইসলাম

৬ বছর আগে লিখেছেন

জাতীয় দলের কোচ হতে চেয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি

ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা অধিনায়ক গাঙ্গুলি বলেন, তিনি কোচ হতে চেয়েছিলেন। সৌরভ এটা এখন ভালোই জানেন , ‘আপনি যা করতে পারেন, আপনার সেটাই করা উচিত। ফলাফল নিয়ে কখনো ভাবা উচিত না। জীবন আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে, তা আমরা কেউ জানি না। ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়া যাই, তখন আমি দলের সহ-অধিনায়কও হতে পারিনি। শচীন ছিল দলের অধিনায়ক, কিন্তু কয়েক মাস পরই আমি ভারতের অধিনায়ক হয়ে যাই।’
২০০৭ সালে ওয়ানডে ছাড়ার পরের বছর টেস্ট ক্রিকেট থেকেও অবসর নেন সৌরভ। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রশাসক জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর পর সিএবি সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অথচ সৌরভ তখন জাতীয় দলের কোচ হতে মরিয়া ছিলেন! সেটি হতে পারেননি। কেন পারেননি, তার একটা ব্যাখ্যা মনে মনে দাঁড় করিয়েছেন. ‘প্রশাসনে ঢোকার সময় জাতীয় দলের কোচ হতে মরিয়া ছিলাম। ডালমিয়া ডেকে বলেছিলেন ‘‘অন্তত ছয় মাস চেষ্টা করে দেখ না”। তিনি চলে যাওয়ার পর আর কেউ ছিল না। তাই আমি সিএবি সভাপতির দায়িত্ব নিই। অথচ সভাপতি হতে মানুষের কম করে হলেও ২০ বছরের মতো সময় লাগে।’
গ্রেগ চ্যাপেল ভারতের কোচ থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে মনোমালিন্যের ব্যাপারেও খোলাখুলি বলেছেন সৌরভ। ভারতের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অধিনায়ক হওয়ার পরও ২০০৬ সালে চ্যাপেল তাঁকে দল থেকে ছাঁটাই করেছিলেন। কিন্তু পারফরম্যান্সই আবারও দলে ফিরিয়েছিল তাঁকে ফিরিয়ে এনেছিল দলে। এর দুই বছরের মাথাতেই নিজের অবসরের কথা জানিয়ে দেন তিনি, ‘২০০৮ সালে অবসর ঘোষণার সময় শচীন একদিন লাঞ্চে এসে বলল “এমন সিদ্ধান্ত নিলে কেন?” বললাম, আর খেলতে চাই না তাই। কিন্তু সে বলল, তোমাকে সেরা হিসেবে দেখার এটাই দারুণ সময়। গত তিন বছর ধরেই সেরা সময় কাটাচ্ছ। আসলে আমি অবসর নিয়েছিলাম কারণ একপর্যায়ে মনে হয়েছিল, যথেষ্ট হয়েছে। ব্যাপারটা যে প্রচুর... continue reading
Likes Comments
০ Shares

সাইফুল ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

কবি রুমি 'র বই আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি বিক্রিত

কবি ও সুফি দার্শনিক জালাল আদ-দ্বীন মুহাম্মদ রুমি ১২০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। মার্কিন লেখক ব্র্যাড গুচ রুমির একটা জীবনীগ্রন্থ লেখার কাজ শুরুর পর তাঁর জন্মস্থান বর্তমান তাজিকিস্তানের ছোট্ট গ্রাম বক্স থেকে শুরু করে উজবেকিস্তানের সমরখন্দ ও বোখারা, ইরান থেকে শুরু করে সিরিয়া ও তুরস্ক চষে বেড়িয়েছেন। রুমির তরুণ বয়সের পড়াশোনার তীর্থ সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোতেও ঘুরে বেড়িয়েছেন ব্র্যাড। তাঁর শেষ গন্তব্য ছিল তুরস্কের কুনিয়া শহরে। জীবনের শেষভাগের প্রায় ৫০ বছর কাটানোর পর তুরস্কের এই শহরেই মারা যান রুমি। এখানে রুমির মাজারে তাঁর মৃত্যুদিবসে এখনো প্রতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর দরবেশদের এক মহোৎসব বসে রুমির স্মরণে। নানা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে নানা জাতি-ধর্ম-বর্ণের হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন রুমির এই স্মরণোৎসবে।
গজল এবং হামদ-নাত মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার পঙক্তি লেখেন রুমি। প্রায় দুই হাজার রুবাইয়্যাত লিখেছেন যা চার লাইনের বিশেষ রীতির কবিতা। রুমির অনন্য সৃষ্টি বিপুল আকারের ছয় খণ্ডের আধ্যাত্মিক মহাকাব্য মসনবী।
৮০০ বছর পর এখনো রুমির কবিতায়-গজলে সুরারোপ অব্যাহত আছে। রুমির রচনা আধুনিক কবিতা, গান এবং গল্প-উপন্যাস ও চলচ্চিত্রের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে এখনো। ফেসবুকে রুমির নামে একের পর এক পেজ তৈরি হচ্ছে আর প্রতিদিনই সেখানে উঠছে নিত্যনতুন পোস্ট। ইউটিউব ও টুইটারে রুমির নামে প্রতিদিনই কোনো না কোনো পোস্ট হচ্ছে। কিন্তু কেন রুমি এখনো এত বহুল চর্চিত, এমনকি পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতেও?
রুমি আনন্দ ও ভালোবাসার কবি। লেখক ব্র্যাড গুচ বলেন, ‘শামসের সঙ্গে বিচ্ছেদের মোকবিলা, ভালোবাসা, সৃষ্টির উৎস আর মৃত্যু নিয়ে ভাবনা থেকেই তাঁর কবিতা জন্ম নিয়েছে।একবার আমি দেখলাম গাড়ির একটা বাম্পার-স্টিকারে রুমির কবিতার লাইন লেখা।’
অ্যালেন গিন্সবার্গের সঙ্গে সহপ্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নারপোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যাক ক্যারোয়াক স্কুল অব... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    সুন্দর লিখেছেন!

    • - আবু খায়ের আনিছ

      ধন্যবাদ

    - মুহম্মদ ফরহাদ ইমরান

    দারুণ emoticons

    • - আবু খায়ের আনিছ

      ধন্যবাদ

    - মাসুম বাদল

    খুব খুব ভাললাগা জানালাম... 

    emoticonsemoticonsemoticons

    • - আবু খায়ের আনিছ

      ধন্যবাদ

    Load more comments...

সাইফুল ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

চরকী'র ভালোবাসা বাতাসের সাথে...

মাথাটা যখন ঘোরে 
সকলই শূণ্য মনে হয় 
মনে হয়- 
চরকীর ভালোবাসা শুধুই 
শূন্যতা আর বাতাসের সাথে 
দু'চোখে
সর্ষে ফুল দেখি; আর- 
মাথাটা শূণ্যে শুধুই 
চরকীর মতো ঘোরে... 
continue reading
Likes Comments
০ Shares

সাইফুল ইসলাম

৮ বছর আগে লিখেছেন

মাথাটা ঘোরে...

কষ্টেরা ফোঁসে 
সাপ নয় তবু যেন ঠিক সাপ 
মোচড়ায় আর ফোঁসে 
দেখেই অনুভবে কামড় 
আর বিষের জ্বালা 
চারিদিকের দৃশ্য আর ঘটনার
প্রায় সবই এমন 
সাপের মত প্যাঁচালো 
মাথার মধ্যে ঝিম 
মাথাটা ঘোরে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান

    সঞ্ছালকের পোস্ট এ এরকম নিন্মমানের ও ভুল অর্থবোধক প্রচ্ছদ আশা করি না। ছবিটির দিকে তাকিয়ে দেখবেন সঞ্চালক সাহেব। "নক্ষত্র ব্লগ", তার পরে "সমাপ্ত" স্পষ্ট পড়া যাচ্ছে। বাকি লিখাগুলো পরতে আতশ কাঁচ লাগবে। দয়া করে যত্নবান হবেন। 

    • - ব্লগ সঞ্চালক

      আমি আন্তরিকভাবে দুঃক্ষিত। নিজেই প্রচ্ছদটা করার কারণে আপনাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে। আশা করি আগামীতে এমন ভুল হবে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।। 

Load more writings...