Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আধেক চাঁদ

মেয়েটির পুরো মুখটা কখনো দেখিনি আমি। যে কবার তাকে দেখেছি, শাড়ীর আঁচল অথবা ওড়না দিয়ে, যত্ন করে মুখের অর্ধেকটা ঢেকে রাখতে দেখেছি। প্রথম যেদিন তাকে দেখেছিলাম, সেদিনের কথা আমার ঠিকঠাক মনে আছে। সকাল থেকে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি ছিলো সেদিন, শ্রাবণের শেষ তখন । সারাদিন একটা গল্পের পিছনে ছুটে ছুটে ক্লান্ত হয়ে, শব্দ আর চরিত্রের নিষ্ঠুর অভিসম্পাত নিয়ে, বিকেলে চা এবং তামাকের তেষ্টা মেটাতে বেরিয়েছিলাম। পকেটে তখন বড় আকাল, ভরসা ছিলো চা দোকানি শরিফুল। বাকীর খাতায় হাজার পেরুলও, কি এক অদ্ভুত কারনে শরিফুল কখনো আমার কাছে টাকা চাইতনা। এবং আরো নানান ভাবে শরিফুল আমার প্রতি সদয় হতেন। আমি ভেবে পাইনি কখনো, আমার প্রতি তার এইসব মায়ার কি কারন।

আমি চা খেতে খেতে বৃষ্টি দেখছিলাম। শহরটা গৃহবন্দী করে, বিরামহীন ঝরে পড়ছে গেঁয়ো বৃষ্টি। মনে হচ্ছিল শহরে বড্ড বেমানান এই বৃষ্টি। মেয়েটি তখন ওড়নায় মাথা এবং মুখের অর্ধেকটা ঢেকে দোকানে ঢুকে। আধেকটা মুখ দেখে আমার মনে হয়েছিলো আধেকটা চাঁদ শরতের। শরীফুলের সাথে কথা বলে ফিরে যাবার পথে, যে বৃষ্টি ফোঁটাগুলো ওকে স্পর্শ করছিলো, কি অদ্ভুত ভাবে সে বৃষ্টি ফোঁটাগুলো আলাদা করা যাচ্ছিলো। শরিফুলপরেবলেছিলো, মেয়েটিশরিফুলেরবৌ। দিনকয়েকহলোঢাকাএসেছে।

সেদিন রাত নেমে এলে, গলিটা নিশ্চুপ হলে, আমি একটা কান্ড করে বসেছিলাম। একটা কবিতা লিখেছিলাম। কবিতার নাম? আধেক চাঁদ। তার এক বছর পর আমি কাঠালবাগান ছেড়ে রাজাবাজার চলে আসি। মাঝে মধ্যে শরিফুল ফোনে হাজির হতো, আর আমি স্বশরীরে। টুকটাক যোগাযোগ হতোই আমাদের মধ্য, মানে আমার আর শরীফুলের মধ্যে। মেয়েটির সাথে কখনো কথা হয়নি আমার, এমনকি নামটাও জানা হয়নি, না মেয়েটির কাছে থেকে, না শরীফুলের কাছ থেকে। তবে আমাদের যখন কথা হতো, শরীফুল সুযোগ পেলেই খুশি খুশি গলায় বৌ'র কথা বলতো, আর আমি দেখতাম আধখানা চাঁদ। শেষের দিকে আমাদের, মানে আমার আর শরিফুলের মধ্য তেমন যোগাযোগ হতোনা। বছর খানেক হলো যোগাযোগ একেবারে বন্ধ। কিন্তু, আকাশে আধেক চাঁদ উঠে এখনো। আমারো মেয়েটির কথা মনে পড়ে, কারনে অকারনে।

 

আজ শরীফুল যখন আমাকে ফোন করলো, তখন রাত এগারটা। একটা গল্পের জন্য অনেকদিন ধরে বুভুক্ষ হয়ে আছি আমি, ছলছাতুরি করে একটা গল্পকে পোষ মানানোর চেষ্টা করছিলাম তখন। এখন রাত একটা। চাঁদ আছে আকাশে, আধেকচাঁদ। অল্পকিছু তারাও আছে বহুদূর, জোনাকির মত জ্বলছে। শহরের জানলাগুলোয় খুব দ্রুত আঁধার নামছে। মালবাহী এবং জনবাহী গাড়ীগুলোর আর্তনাদে শহরের তন্দ্রা কেটে যাচ্ছে বারবার। আমি আর শরিফুল হাঁটছি। আমরা যাব শান্তিনগর। ৩১৩,মাভিলা। কয়েকদিন হলো উত্তরের বাতাস রাতের শহরের গা কাঁপাচ্ছে। দিনের বেলা দক্ষিণ আর উত্তরে প্যাচানো বাতাস প্রচুর ধূলো উড়িয়ে ছুটাছুটি করলেও রাতে শুধুই উত্তরী বায়। শেষ রাতে কাঁপন দিয়ে কার্তিক গেল বলে।

শরিফুল উদোম গায়ে, খালি পায়ে, মাথা নীচু করে আমার সাথে হাঁটছে। সে যখন আমাকে ফোন দিয়ে বললো- পিকলুভাই আমারে পুলিশে ধরছে, আপ্নে একটু আইয়েননা। আমি ভেবেছিলাম রাতে হয়তো কোন কাজে বেরিয়েছে, তাই পুলিশ সন্দেহ করে ধরেছে। দেশের অবস্থা ত ভালোনা। কিন্তু অনেক খুঁজে যখন কাকরাইলে পুলিশের টহল ভ্যানটা পেলাম এবং গুটিসূটি মেরে বসে থাকা উদোম শরীফুলের ঠোট কেটে রক্ত ঝরতে দেখলাম, তখন মনে হয়েছে, না ঘটনা অন্যকিছু। পুলিশ অফিসার বেশি কথা বলেননি, আমার অনুরোধও পেলেননি । শুধু সাবধান করে দিয়েছেন শরিফুলকে, ওসব জাগায় যেন আর না যায়। অফিসার ধরেই নিয়েছিলেন আমি জানি শরিফুলকে কেন তারা ধরেছেন।

হাটতে হাটতে শরীফুল যখন বৃত্তান্ত বললো, তখন মেয়েটির আধেক মুখ আমার চোখের সামনে আজকের আকাশের আধেক চাঁদের মত ভেসে উঠল। মেয়েটির, মানে শরীফুলের বৌ'র, যে মেয়েটির নাম আমি জানিনা এবং শরিফুলও যখন তাকে বৌ বৌ বলে ডাকে তখন নাম জানার আর সুযোগ থাকেনা। সে তখন আমার কাছে আধেক চাঁদ। যতবার তাকে দেখেছি, শুধু মুখের বাম পাশটি দেখেছি, তাই মেয়েটির পুরো মুখ কখনো কল্পনা করতে পারিনি। কখনো কখনো শরিফুল, মেয়েটি, এমনকি আমার নিজের অজান্তেও বহুবার মেয়েটির পুরো মুখটা আঁকতে চেয়েছিলাম। যখনই আঁকতে গিয়েছি, আশ্চর্য্য হয়ে দেখলাম মেয়েটির ডান মুখে এক একসময় এক একজন রমনীর মুখের আধেক, যে ক'জন রমনী এই কার্তিকের রাতের মত আমাকে কাঁপিয়ে গিয়েছে কখনো কখনো, কখনো কখনো মাতিয়ে গিয়েছে বেগোর প্রেমে। তাই আধেক মুখের মেয়েটি যে অনেকদিন ধরে আমার আকাশে ফুটে আছে এবং কখনো পূর্ণতা পায়নি, তাকে পূর্ণরুপে দেখার লোভ মনে রয়েছে। তাই আমি শরিফুলের সাথে যাচ্ছি,শান্তিনগর।

শরিফুল যা আমাকে বললো, শুনে আমি আশ্চর্য্য হয়েছি ভীষন রকম। একটা ছেলের সাথে বৌ'র সম্পর্ক শরিফুল অনুমান করতে পেরেছিলো বৌ’কে ঢাকা আনার দিন কয়েক পর। ঝামেলাটা বাধে তারও পরে, যখন শরিফুল ভেবেছিলো তার বৌ'র সাথে আর কারো সম্পর্ক নেই। দুপুরে বাসায় খেতে গিয়ে দেখে দরজায় তালা। শরিফুল বৌ'কে ফোন করলে এবং ফোন বন্ধ দেখলে নিশ্চিত হয়, ঘটনা যা ঘটেছে তা তার জন্য মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার চেয়ে বেশী কিছু। একটা ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর মেয়েটি ফোন করে ক্ষমা এবং মুক্তি প্রার্থনা করলেও শরিফুল চাইছিলো সে ফিরে আসুক। আরো মাস খানেক পর মেয়েটি ফোন করে মিনতি জানালো শরিফুল যেনো তাকে নরক থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। কয়েকদিনের চেষ্টায় যখন শরিফুল প্রায় মেয়েটিকে মুক্ত করে পেলেছিলো তখনই নরকের সৈন্যরা তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সঁপে দেয়। এই শহরে আত্মীয় শূণ্য শরীফুল উপায়ন্ত না দেখে আমাকেই ফোন করে। আমাকে হয়ত আত্মীয়ই ভেবেছে সে, আমার সাথে তার আচরনে এমনই মনে হতো।

 

রাত বাড়ছে। প্রকৃতি ততক্ষণে কুয়াশার চাদর বুনতে শুরু করেছে শহরের শরীরে। বড় রাস্তা থেকে গলিতে ঢুকে শরিফুল আর এগুতে চাইলনা। হাত ইশারায় বাড়িটা দেখিয়ে আমাকে অবাক করে দিয়ে আমার পা"দুটো জড়িয়ে ধরে, আকুতি করে বলে- যেমনে পারেন আমার বৌ'টারে আইনা দেন পিকলুভাই, আমি আপ্নের গোলাম হই থাকুম হারাজীবন। আমি শরিফুলকে বুঝিয়ে এগিয়ে গেলাম। ৩১৩, মাভিলা। বাইরে থেকেই বুঝা যায় আধুনিক বাড়ি। কাঁঠালি রংয়ের বিশাল লোহারগেট। গেট পেরিয়ে তিন তলায় ডানপাশের ফ্ল্যাটে পৌছলেই আধেকমুখো মেয়েটি। আমার ভিতর থরথর কাঁপন, আধেক চাঁদ আজ কতদিন পর পূর্ণতা পাবে, আজ মেয়েটি পূর্ণ ভাবে ফুটবে। এত রাতে ভিতরে প্রবেশ নিষেধ হলেও আমাকে ঢুকতে দিলো দারোয়ান, উপরি পাওয়ার লোভে। আমি এগিয়ে যাচ্ছি, চিন্তা হচ্ছে যদি এখন খদ্দের থাকে মেয়েটির রুমে? এমন রুপবতি মেয়ের কাষ্টমারের ত অভাব হওয়ার কথা না। আমার মাথার মধ্যে মেয়েটির আধখানা মুখ ভাসে আর আধখানা মুখে ভাসে সেই সব রমনীর, যারা আমাকে কাঁপিয়েছে, মাতিয়েছে। অবাক হলাম ভেবে, একটু আগেও শরিফুলের কষ্ট আমাকে বিষন্ন করে রেখেছিলো। সে বিষন্নতা, শরিফুলের জন্য সমবেদনা কোন কিছুই আর আমাকে স্পর্শ করছেনা এখন। আমার বুকের ভিতর কাঁপন, আবেগ জমা হতে থাকে গলার কাছে। আমি কি মেয়েটির প্রেমে পড়ে গেছি? হতে পারে, ইদানিং অকারনে অনেক কিছুর প্রেমে পড়ছি। গতকাল লেখার টেবিলে পড়ে থাকা মৃত প্রজাপতিটির প্রেমে পড়েছিলাম, তারও দিন কয়েক আগে দূঁদেঁ আমলা ফরাস সাহেবের দ্বিতীয় স্ত্রী মাখদুমার প্রেমে পড়েছিলাম। আর এই মেয়েটির? আধেক মুখ যার মানবীর আর আধেক বোধ করি অস্পরীর।

মুখ দিয়ে পানের রস গড়িয়ে পড়া বাড়িওলার অনুমতি নিয়ে, পুরনো খদ্দেরের মত টাকা হাতে দিয়ে আমি এগুতে থাকি দরজাটার দিকে। টেরপাচ্ছি, দরজায় পৌছতে পৌছতে আমি ক্রমশ পুরুষ হয়ে উঠছি, না প্রেমিক? অথচ আমি মেয়েটিকে শরিফুলের কাছে ফিরিয়ে দিতে এসেছি। যে মেয়েটিকে শরিফুল পাগলের মত ভালবাসে, শরিফুলের ভাষায়- এই বৌ ছাড়া আর জীবন আন্ধার হই যাইব। শরিফুলকে মেরে তাড়ালেও আমি চাইলেই পতিতার দালাল,যাকে শ্রদ্ধা করে এ পেশার লোকজন বাড়িওয়ালা বলে, তার কাছ থেকে মেয়েটিকে নিয়ে যেতে পারি। আমার কথা না শুনলেও এরা যাদের কথা শুনে তাদের সাথে আমার বেশ জানা শুনা আছে। তাহলে কেন আমি মেয়টির রুমে যাচ্ছি? কেন আমার কাছে মনে হচ্ছে মেয়েটির রুমে যাবার পথটায় কেউ ফুল বিছিয়ে রেখেছে, ঐ পথ ধরে আমি আকাশের কাছে গিয়ে দাঁড়াবো, তারপর চাঁদ দেখবো, সপ্তমীর আকাশে পূর্ণচাঁদ।

আমার বুকের ভিতর ঝড় তুলে দিয়ে মেয়েটি যখন দরজা খুলে দিলো, আমি ঝড়ে উড়ে গেলাম। প্রথমবার মেয়েটির পুরোমুখ দেখে আমি বিস্মিত! এতটা স্নিগ্ধ হয় মানবী? এতটা কোমল? হয় এতটা? জলের মত টলটলে মানবী..। প্রথমেই নামটা জানার প্রবল ইচ্ছে হলেও জানতে চাইনি। আমি তখনো ঘোরগ্রস্থ পথিকের মত ঝড়ে এপথ ওপথ করছি। ক্রমে আমার চোখ লোভী হয়ে উঠছে, আমি দেখছি, যেনো সহস্র রজনী অপেক্ষার পর অপার্থিব ফুলটা ফুটলো। কবির ভাষায়- কে বলে শারদ শশী সে মুখের তুলা, পদ নখে পড়ে আছে তার কতগুলা। মনে আছে বাইরে শরিফুল উদোম গায়ে বসে আছে বৌ'র জন্য। অথচ আমি ভাবছি এত তাড়ার ত কিছু নেই। ঝড় থামলে, মেয়েটি সুবাস ছড়াতে ছড়াতে কাছে এসে আমাকে বললো- পিকলুভাই আপ্নে এখানে? শরিফুল পাঠাইছে? মুক্তির আনন্দ তার চোখে মুখে, কন্ঠে উত্তেজনা টের পাচ্ছিলাম, কিন্তু আমি তখন গভীর গভীরে ডুবে যাচ্ছি, বলতে গেলে হুট করে গল্পে ঢুকে গেছি, একটা গল্পের জন্য আমি বুভুক্ষ এটা আগেই বলেছি। মেয়েটির প্রশ্ন আর বাইরে বসে থাকা শরিফুল তখন বাস্তবের অংশ, যেখানে আমি এখন নেই। তাই মেয়েটির প্রশ্নে উত্তরও আমার দেয়া হলোনা। পাকা খদ্দেরের মত মেয়েটিকে বলতেই, অল্প সময়ের মধ্যে টেবিলে কেরুএন্ডকোং এর ব্র্যান্ডির বোতল, কিসমিস আর বরফ চলে এলো। ততক্ষণে কাঁদের ব্যাগ থেকে কাগজ কলম বের হয়ে গেছে আমার। কৌতুহল ও সহস্র প্রশ্ন নিয়ে তাকিয়ে থাকা মেয়েটির দৃষ্টি আমি নির্দিধায় উপেক্ষা করে গেলাম। খানিক বাদে মেয়েটির আচরন পাল্টে গেলো, দৃষ্টিতে নির্লিপ্ততা দেখে বুঝে নিয়েছি এদ্দিনে এই কাজের সাথে সে বেশ মানিয়ে নিয়েছে। আমাকে স্রেফ খদ্দের ভেবেই আমাকে দেখে যে আশা তার মধ্য জম্মেছিলো তা সে মুহর্তেই ঝেড়ে ফেললো। এগিয়ে গিয়ে আয়নার সামনে বসলো, আমাকে একবার জিগ্যেস করলো অধররঞ্জনী দিবে কিনা, আমি গল্পে মনোযোগী বলে কিছু বলিনি। আড় চোখে দেখছি নিজেকে সঁপে দেবার জন্য কি যত্ন করে নিজেকে তৈরী করছে মেয়েটি। ততক্ষণে আমি গল্পে ঢুকে গেছি, অথবা আমার পুরুষ বা প্রেমিক হবার লোভ, গল্পের চুতোয় আমার পাপবোধ চাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করছে?

গ্লাসে ছোট ছোট চুমুকে দিতে দিতে আমি আলপথ ধরে গল্পের ভিতর ঢুকে পড়ি। খানিক পর গল্প আর বশে থাকলনা। গল্প আমার থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিলো। আমি কিছুতেই গল্পের উপর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারছিনা। গল্প আমাকে টেনে এনে বসিয়ে দেয় শান্তিগর অন্ধকার গলির মধ্যে। উদোম গায়ে, খালি পায়ে, আমি অধীর হয়ে বসে আছি। আমার ঠোট কেটে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। শরীফুল সাহেব৩১৩, মা ভিলার তিন তলার ডান পাশের ফ্ল্যাটে গেছেন। আমার বৌ এক প্রতারকের প্রেমে পড়ে এখন লম্পট পুরুষদের কামবাসনা মিটাচ্ছে। শরিফুল সাহেব অতি সজ্জন ব্যাক্তি, তিনি আমার বৌ'কে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবেন। গলির বৈদ্যুতিক পিলারের কাছে আমি জুবুথুবু হয়ে বসে আছি। আমি কাঁপছি, রাত বাড়ছে। প্রকৃতি কুয়াশার চাদর বুণা শেষ করে শহরের গায়ে মেলে দিয়েছে, একটু পর রোদ এসে শুকিয়ে দিলে পরের রাতের জন্য সেটা তুলে রাখবে। অথচ শরিফুল সাহেব অনেক্ষণ হয় ফিরছেননা। আমি উঁকি দিয়ে দেখি, তিন তলার ফ্ল্যাটটিতে তখনো আলো জ্বলছে।

০ Likes ১৬ Comments ০ Share ৭১৩ Views

Comments (16)

  • - মাসুম বাদল

    বেশ ভালো লিখেছেন।

    শুভকামনা, আমিনুল ভাই !!! 

    • - রুদ্র আমিন

      ধন্যবাদ বাদল ভাই।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    দেশের জন্য কেউ ভাবছেনা সবাই যার যার স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত।

    • - রুদ্র আমিন

      ঠিক তাই, কেমন আছেন ভাই ?

    - লুব্ধক রয়

    শুভেচ্ছা নিন। সুন্দর লিখেছেন।

    • - রুদ্র আমিন

      গ্রহণ করেছি ভাই।

    Load more comments...