-কই যাচ কদম?
- মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি আজ জাগ্রত।মিছিল হবে। আমিও মিছিলে যাব।
- তুই কি পক্ষের শক্তি?
-তাইত মনে হয়।
-যাওয়ার আগে একটা ব্যাপার বুজিয়ে যা।
-বলেন চাচাজি।
-আমি যুদ্ধের ইতিহাস clearly জানিনা।
-কি বলেন চাচাজী ? আপনি দেখেও জানেননা?
-জানের ভয়ে পালায় বেড়ায়চি। এখন তুই যেহেতু পক্ষের শক্তি , তুই বল। তুই নিচ্ছয় আমার চেয়ে বেশি জানিস। তোর কাছে শুনি।
- চাচাজি , মুক্তিযুদ্ধ মানে, জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ মানে জিয়া যুদ্ধ করছে শেখ মুজিব এর নির্দেশে, মুক্তিযুদ্ধ মানে গোলাম আজম রাজাকার,
মুক্তিযুদ্ধ মানে, তোমার আমার সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ মানে ৯ মাস, মুক্তিযুদ্ধ মানে ৭ ,২৫ আর ২৬ শে মার্চ। মুক্তিযুদ্ধ মানে ১৪ আর ১৬ই ডিসেম্বর।
-একটু নিঃশাস নে।
- আমার সময় নাই, যা বলতে হবে তা তাড়াতাড়ি।
- আচ্ছা !!
- আমি যদি জানতে চাই কদম, পড়ে পড়ে কি ভাবে জানবো?
-চাচাজী পত্রিকা পরেন। অমিত যা জানি পত্রিকা পড়ে , পড়েই জানি।
-তুই আমাকে একটা ইতিহাস এর বই বল যেটা দিয়ে আমি শুরু করতে পারি।পত্রিকা তো আর একজনের মতামত তার নিজের মত করে।
কদম মাথা চুলকায়। কারণ কদম যা জানে তা পেপার পড়ে , বক্তিতা শুনে অথবা টক্ শো দেখে।রিসার্চ করার কদম এর সময় নেই। ফ্যাক্ট জানার প্রয়োজন নেই,
এত বিশ্লষণের তার বুদ্ধিও নেই। বুদ্ধি বা প্রগ্জ্ঞা নেই বলেতো আর কদম চুপ করে বসে থাকতে পারেনা। তাকেও বলতে হবে, তাই সেই অল্প জেনেই চেতনাময়ী।
চাচাজী চিন্তিত , কারণ একই প্রবলেম মকসুদ এরও। ও নাকি ধর্মের সৈনিকে ।ইসলাম প্রতিষ্টা করে ফেলতে হবে। ওকে বলছেন কোনো এক কিবলা বাবা, ইসলাম এর জন্য শহীদ হুয়ার শ্রেষ্ট বছর গুলো চলে যাচ্ছে, তাই সেও লাফায়।সেও যা জানে তা পেপার পরে, ইউটিউব এ ওয়াজ শুনে। চান্স পাইলে নামাজ পরে, আবার চান্স পাইলেঘুষ খায়। চান্স পাইলে সরকার এর কর ফাঁকি দেয় , বৌরে বোরকা পড়ায় আর চান্স পাইলে বেগানা রমনীর দিকে মনোযোগ দিয়ে তাকিযে থাকে আর মনে মনে শহীদের স্বপ্ন দেখে।দুনিয়ায় বসেই সে বেহেশতের সু খবর পায় আর দুনিয়ায় বসেই সে অন্যের কবর এর আজাব দেখে !!! সিল্সিলাহেয়...।
চাচাজীর আফসোস হয় , পেপার কিভাবে একটা জাতির অনেক শিক্ষিত ছেলে কে নিয়ন্ত্রণ করে , আরেক জনের ব্যক্তিগত বিশ্লেষনে কে কেন ক্রস রেফারেন্সিং না করে সত্য বলে সবাই আমল করে? উইকিপেডিয়া কিভাবে রেফারেন্স হয় ? পেপার দ্বারা নিয়ন্ত্রীত জাতীর জীবন আর কেমন হবে !!!