Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আজ ২৩ সেপ্টেম্বর দিন-রাত সমান!!!

আজ ২৩ সেপ্টেম্বর আমাদের গোলার্ধে 'জল বিষুবদিন রাতের দৈর্ঘ্য সমান!
বিষুব হলো বছরের এমন একটি সময়, যখন দিন রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়। বছরের দুটি দিনে এরকম হয়ে থাকে। দিনগুলোতে সূর্য বিষুবরেখা বরাবর অবস্থান করে। গুলো হলো- জলবিষুব বা শারদীয় বিষুব। যা হয়ে থাকে ২৩ সেপ্টেম্বর। অপরটি হলো মহাবিষুব বা বসন্ত বিষুব। ২১ মার্চ বসন্ত বিষুব হয়।

আমাদের গোলার্ধে আজ 'জল বিষুব।' সূর্য উত্তর আর দক্ষিন অয়নান্তের মাঝামাঝি- ঠিক বিষুব রেখা বরাবর ফলে আজ পৃথবীর সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান

কাল থেকেই সূর্য দক্ষিন থেকে দক্ষিনতর হতে থাকবে, আমরাও উত্তরা বাতাসে শীত থেকে শীতার্ত হব আর ধীরে ধীরে বাড়-বাড়ন্ত হতে থাকবে আমাদের রাত গুলি অভিমানে ঝিমিয়ে থাকা শীতের কাপড়গুলি আর কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের উঞ্চ স্পর্শ পেতে যাচ্ছে

২০ মার্চ সূর্য তার দক্ষিণ গোলার্ধের অবস্থান শেষ করে উত্তর গোলার্ধের দিকে যাত্রাকালে বাংলাদেশে রাতের শেষের দিকে বিষুবরেখার ওপর অবস্থান নেয়। তাই পরদিন অর্থাৎ ২১ মার্চ পৃথিবীর উভয় গোলার্ধের দিন রাতের দৈর্ঘ্য সমান হয়। এর নাম বাসন্তিক বিষুবন। অনেকে আবার একে 'মহাবিষুবও' বলে থাকেন। এরপর পৃথিবী তার কক্ষপথে সূর্যকে পরিক্রমণ করতে থাকার কারণে সূর্য ধীরে ধীরে উত্তর গোলার্ধে সরে যায় এবং কর্কটক্রান্তি রেখা পর্যন্ত পৌঁছে আবার দক্ষিণে যাত্রা শুরু করে।

যখন দক্ষিণ গোলার্ধে প্রচণ্ড গরম তখন উত্তর গোলার্ধে প্রচণ্ড শীত। তারপর সূর্য উত্তরে সরে গিয়ে উত্তর গোলার্ধের শেষবিন্দুতে 'উত্তর অয়নান্তে' পৌঁছায়। সবশেষে আবার দক্ষিণ গোলার্ধে যাওয়ার পথে 'হৈমন্তিক বিষুবনে' পৃথিবীর বিষুবরেখার ওপর আবার অবস্থান নেয়।

বছরে সূর্যের গতিপথে চারটি বিশেষ মুহূর্ত অতিক্রম করতে দেখা যায়। এগুলো হলো - ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ অয়নান্ত, ২১ মার্চ বাসন্তিক বিষুবন, ২১ জুন উত্তর অয়নান্ত ২৩ সেপ্টেম্বর হৈমন্তিক বিষুবন। এগুলো সৌরপরিক্রমার স্বাভাবিক ঘটনা। পৃথিবী তার নিজ অক্ষে সাড়ে ২৩ ডিগ্রি কাত হয়ে ঘুরছে বলেই এমনটা হচ্ছে। ইংরেজিতে এই 'বিষুবন'কে বলা হয় ইকুইনক্স (equinox)

বাসন্তিক বিষুবনের পর সূর্য যখন উত্তর গোলার্ধে দেখা যাবে তখন দক্ষিণ মেরুতে দীর্ঘ ছয় মাসের জন্য নেমে আসবে রাত। সূর্যের অবস্থান বিষুবরেখা এর সাড়ে ২৩ ডিগ্রি উত্তর দক্ষিণ বিন্দু পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকায় পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে সূর্যকে কখনো অস্ত যেতে দেখা যায় না। শুধু দিগন্ত বরাবর ঘুরতে দেখা যায়। সূর্যের এই বিভিন্ন অবস্থানের কারণে একই সময়ে একেক মহাদেশে ভিন্ন ঋতু অনুভূত হয়। সূর্য যতই উত্তর দিকে অগ্রসর হবে ততই আমাদের এখানে বেশি গরম অনুভূত হবে। আর দক্ষিণ গোলার্ধে বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া আশপাশের দেশগুলোয় শীত অনুভূত হবে।

মহাকাশে (Celestial sphere) পৃথিবীর অক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে অঙ্কিত মহাবৃত্তের নাম বিষুববৃত্ত (Equator) আর মহাকাশে পৃথিবীর চারপাশে সূর্যের আপাত বার্ষিক গতিপথকে বলা হয় 'রবিমার্গ' বা রাশিচক্র (Ecliptic) দুটি মহাবৃত্ত একই সমতলে অবস্থান করে না। তারা পরস্পরকে দুটি বিন্দুতে ছেদ করে এবং উভয়ের মধ্যে ২৩ দশমিক ২৭০ কোণ রচিত হয়। এই ছেদবিন্দু দুটির নাম যথাক্রমে মহাবিষুব বিন্দু (vernal equinox or first point of Aries) এবং জলবিষুব বিন্দু (autumnal equinox or first point of Libra) পৃথিবীর মেরুঅক্ষ ক্রান্তিতলের অক্ষের সঙ্গে ২৩ দশমিক ২৭০ হেলে থাকে বলেই বিষুববৃত্ত ক্রান্তিবৃত্ত পরস্পরকে ছেদ করে। আর কারণেই পৃথিবীতে ঋতুর পরিবর্তন হয়। সাধারণভাবে ২১ মার্চ সূর্য ক্রান্তিবৃত্ত বিষুববৃত্তের মধ্যে ছেদবিন্দুকে অতিক্রম করে যায়। আর তাই ২১ মার্চ পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত সমান হয়। কারণ সময় সূর্য বিষুববৃত্তে অবস্থান করে। এরপর থেকেই উত্তর গোলার্ধে দিন বাড়তে থাকে আর রাত ছোট হতে থাকে। ২১ জুন উত্তর গোলার্ধে আমরা পাই দীর্ঘতম দিন আর হ্রস্বতম রাত।

সূর্য সময় কর্কট ক্রান্তিবৃত্তে অবস্থান করে। ক্রান্তিবৃত্তে সূর্যের এই প্রান্তিক অবস্থান বিন্দুকে বলা হয় উত্তর অয়নান্ত (summer solstice) দক্ষিণ গোলার্ধে

১ Likes ১০ Comments ০ Share ১৬৩৫ Views