আচমকা পিঠের ওপর রডের বাড়ি পড়তেই ব্যথায় ককিয়ে ওঠে কাশেম! আকস্মিক এই মারে অনেকটা হতভম্ব হয়ে গেছে সে! সামাদ দারোগা পা তুলে লাথি মারতে যাবে ঠিক সে সময়ে পাটা দু’হাতে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে-
স্যার আর মাইরেন না! আর বমু না, এইবারের লাহান মাফ কইরা দেন। পুলা মাইয়া না খাইয়া আছে। এই বেলাডা বেচতে দেন কাইল থাইকা আর আহুম না।
সামাদ দারোগা খেঁকিয়ে বলে এইবেলা বইতে চাইলে চুপচাপ কথা না বাড়াইয়া পঞ্চাশ টাকা পকেটে ভইরা দে।
স্যার এহনও বেচতাম পারি নাই; সন্ধ্যায় যাওনের আগে দিয়া যামু নে, এই বেলার মতো দয়া করেন স্যার।
আইচ্ছা বলে সামাদ দারোগা সজোড়ে এক লাথি হাঁকায় আর তাতেই ঝাঁকা কয়েক হাত দূরে ছিটকে পড়ে। যেতে যেতে বলে- সন্ধ্যার মধ্যে যদি না দেস তাইলে হউর বাড়ি পাঠাইয়া দিমু মনে রাখিস!
কাশেমের দুচোখ জলে ভরে উঠে। চোখ মুছতে মুছতে ঝাঁকাটা কুড়িয়ে এনে তাতে ছড়ানো ছিটানো জিনিস গুলো তুলে আনার ফাঁকে একবার আকাশের দিকে দৃষ্টি মেলে তাকায়। সে দৃষ্টি যে প্রভুকে খুঁজে বেড়ায় তা ওকে ঘিরে থাকা উৎসুক জনতার বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয় না।
ঠিক তখনি দূর হতে ভেসে আসে মুয়াজ্জিনের সুললিত কণ্ঠে আজানের ধ্বনি- আল্লাহ আকবার, আল্লাহ আকবার। আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ! …
Comments (10)
স্বাধীনতা এলো বটে.
নিয়ে গেল লাখো জীবন, লাখ মানবতা
ধন্যবাদ আপনাকে
কবিতায় ভালোলাগা...
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
শুভেচ্ছা আপনাকেও
আর স্বাধীনতা
সেওতো বন্দি আজও
অন্ধ গলির বন্দি খাঁচায়।
ভাল লাগলো কবিতা। ধন্যবাদ।