প্রিয়া,
জানি না তুমি আমাকে ভালোবাস কি না? ভালোবাসা কি তাও হয়তো বুঝতে পারতাম না, তোমাকে না দেখলে। বারবার শুধু তোমার অপরূপ বদন খানি, চোখের সুপ্ত পর্দায় পর্দাপন করে অন-রের নিরঙ্কুশ মনকে আলোড়িত করছে। ধ্বনিতে প্রতিধ্বনিতে তোমাকে স্মরণ করছে। সৃষ্টি করছে সুখের স্পন্দন, যা আমাকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে কথাগুলো, ভাল লাগছেনা কোন কিছু। রাতে ঘুমাতে পারছিনা, ঘুমাতে গেলে তোমার ঐ নরম ঠোট আমার ওষ্ঠকে চুম্বন করে। জেগে থাকলে মাথায় ঘুর-পাক খায় তোমার কথা, শুনতে ভুলে যাই মায়ের ডাক। পড়তে ভুলে যাই বই, পুঁথি, কাহিনী কল্পলতা। হৃদয় গহীনে ভেসে ওঠে কয়েকটি কথা, অচেনাসুর। জানি না একে তুমি কি বলে সম্বোধন করবে! এর নাম যদি ভালোবাসা হয়ে থাকে, তবে বলব - আমি তোমাকে ভালোবাসি।
চিঠিটা পড়ে আত্ম-হারা হয়ে যায় অপরা। সে কোনদিন ভাবেনি এভাবে কেউ তাকে ভালোবাসবে। চিঠিটা পেয়েই-
একরাশ কল্পনার রাজ্যে বিরাজ করল অপরা। এইতো সেদিন সে নদীর পাড়ে সেজে-গুজে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে গান গাইতেছিল। আর চাচা বাদশাকে সাহায্য করতেছিল। বাদশা তার আপন চাচা। দুই চাচার মধ্যে বাদশাই ছিল ছোট। মেজো চাচা ঢাকায় থাকে। ঢাকার সে স'ায়ী বাসিন্দা হয়ে গেছে, তা অনেক দিন আগের কথা। কি এক পারিবারিক সমস্যা