Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

চারু মান্নান

১০ বছর আগে

অনুগল্প- বৃষ্টি

মাঝে মাঝে খুব একা লাগে মুহিতের। আবার পরক্ষণেই ভাবে, বাসা অফিস এই ভ্যাপসা গরমের নগর জীবন। তাই হয়তো এমন হয়। মাঝে মাঝে মুহিত, আন মনে কি যেন ভাবে। কম্পিউটারের কি প্যাডে আঙ্গুল রাখতে মন চায় না। মাউজে আগুল লাগাতে খুব বিরক্ত লাগে। লজিষ্টের কাজ,,,,,,,টেবিল এ ফাইল জমতে থাকে।

কোন কিছুতে মনবসাতে পারে না কাজে। কি হয়েছে ওড়? নিজের মনে না না প্রশ্ন আঁকি বুঁকি করে। হটাত আকাশে ফেটে বৃষ্টি পরে। অফিস জানলার গ্রীল ঠেলে,মুহিতের টেবিলে ফাইলগুলো ভেজতে থাকে। তবু জানলা আটকানোর তারা অনুভব করে না মুহিত।
স্যার, স‌্যার আপনার টেবিলতো ভিজে যায়! উৎকন্ঠা নিয়ে বলে উঠে
অফিস পিয়ন বাবুল।

কি রে জানলাটা বন্ধ করতে পারিস না?
বাবুল কাচুমাচু করে জানলাটা বন্ধ করে। আর স্যারের দিক করুন ভাবে তাকিয়ে থাকে, স্যারের কষ্ট অনুভব করে বলে প্রতিয়মান হয়,মুহিতের।

কিরে বাবুল কিছু বলবি? না স্যর কিছু কমু না, তয় টেবিলে কিন্ত অনেক ফাইল জমছে স্যার, বলে বাবুল রুম থেক বেড়িয়ে যায়।

আজ সারা দিন বৃষ্টি। অফিস শেষে, বাস থেকে নেমে রিকশার অপেক্ষা করতে করতে অগত্যা ভিজতে ভিজতে বাসার দিকে রওনা দেয় মুহিত। হেমন্তের বৃষ্টি, যেন আষাঢ় মাসের বৃষ্টি। মুহিতের ভালই লাগে,কাক ভেজে শরীরে, খুব অন্যরকম লাগছে। অনেক দিন বৃষ্টিতে ভেজা হয় না। তাই কৈশরের কত কথাই না মনে পরছে। ভিজেত ভেজতে আনমনা হয়ে চলতে থাকে মুহিত। হটাত পিছন থেকে ডাক শুনতে পায় মুহিত।
পিছন ফিরে, দ্যাখে সীমা সেই আগের অফিসের কলিগ।
এই ভাবে ভিজছ কেন? আস, আমার ছাতার নিচে।
না না থাক,সীমা তুমি যাও, আমি আজ না হয় ভিজে বাড়ী যাই।
বৃষ্টিতে ভিজতে ভালই লাগছে।

কি সীমা মন খারাপ করলে?
মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজবে, দেখবে খুব ভালো লাগবে।

১৪২০@ ১২ কার্তিক, হেমন্তকাল।

০ Likes ১০ Comments ০ Share ৪২২ Views

Comments (10)

  • - কামরুন নাহার ইসলাম

    "চাইলেই মহৎ হওয়া যেতো সহজে,

    তোমায় জিতিয়ে দিলেই মহত্ত্ব আমার বাস্তবতা পুরোটাই গিলে নিতো।

    কিন্তু আমি দেবী হতে চাইনি কখনো, মানুষ হবার পাপেই আমার যত সুখ। "-----   

    তবুও তারে ক্ষমা করে দিও--------

    শুভেচ্ছান্তে নাহার আপা।  

     

    • - আনমনা

       

      ধন্যবাদ আপাজান 

       

    - ঘাস ফুল

    ক্ষমা কিন্তু মহৎ গুণ। আর এটা মানুষের মাঝেই থাকে। অমানুষের মাঝে নয়। এই কবিতায় দেখছি আপনি বাস্তবতার কাছে নত শিকার করে ক্ষমা করতে ভুলে গেছেন। কবিদের কী এতো পাষাণ হলে চলে? কবিরা হবে উদার আর বিনয়ী। অন্যের সুখের জন্য কবিদের নিজের সুখ জলাঞ্জলি দিতে হয়। দেবীদের মধ্যে আবেগ কখনো কাজ করে না। কিন্তু মানুষের মধ্যে করে। ধন্যবাদ আনমনা। 

    • - ঘাস ফুল

      আমি কী বলেছি কেন আপনি ক্ষমা করেন নাই?  

      আমি বলতে চাচ্ছিলাম চাইলে আপনি পারতেন। কিন্তু আপনি তা না করে প্রথমেই শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। তাই বলা আর কী? 

    - আনমনা

     

    কোথাও কি বলা ছিল ক্ষমা করিনি অথবা প্রতিশোধ নিতে চাই? 

    শুধুমাত্র, যে যে হৃদয়ে স্থানের যোগ্যতা হারিয়েছে তাকে মস্তিষ্ক থেকেও মুছে দিয়েছি অর্থাৎ তাকে গ্রিনাও করিনা। ব্যাস এই আর কি? দূরত্ব বাড়ানো, অথবা নিষ্ঠুরতা কে প্রশ্রয় না দিয়ে সরে যাওয়া মানে কিন্তু ক্ষমা না করা নয়। 

    প্রতিশোধের কথা নেই, বিনয় আছে বলেই প্রতিশোধ নয় শুধু প্রশ্রয় না দিয়ে দূরে সরে যাওয়া। 

    Load more comments...