Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

অদ্ভুত সব মৃতদেহ!

পৃথিবীতে অদ্ভুত এমন কিছু আছে যা নিজের চোখে না দেখে বিশ্বাস করা প্রায় অসম্ভব। আবার এমন ও কিছু অদ্ভুত ঘটনা রয়েছে যেগুলো দেখে নিজের চোখকেও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। পৃথিবী জুড়ে অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত প্রানী রয়েছে এবং এদের সম্পর্কে কম বেশী প্রায় মানুষের ধারনাও রয়েছে। একই সাথে বিজ্ঞানের কাছে ধারনা নেই এধরনের প্রানী পৃথিবীতে নেই বললেই চলে।

 

কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে এ পর্যন্ত বেশ কিছু অদ্ভুত মৃতদেহ পাওয়া গেছে পৃথিবীর আনাচে কানাচে, যাদের মধ্যে কিছু কিছু প্রানীর কোন অস্তিত্বই খুজে পাওয়া যায় নি বিশ্বব্যাপী আবার কিছু মৃতদেহের সম্পর্কে পাওয়া তথ্যগুলো একেবারেই অবিশ্বাস্য। এ সকল মৃতদেহের ছবি দেখার পর অনেক তর্ক বিতর্ক, অনেক সমালোচনা হয়ে গেছে কিন্তু রহস্যের কোন কূল-কিনারা খুজে পাওয়া যায় নি।

প্রথম বিস্ময়ঃ-

চোখের সামনে যদি দেখেন অদ্ভুত যুদ্ধ, তবে? এমনই, সাউথ আফ্রিকার ওয়াজুলু নাতাল বিচে ১৯২৪ সালের ২৫শে অক্টোবর এখানকার মানুষেরা এক অদ্ভুত যুদ্ধ দেখতে পেয়েছিল। সমুদ্রের বুকে দুইটি তিমি, পোলারবিয়ারের মত এক অদ্ভুত প্রানীর বিচে প্রানপণে লড়াই করে যাচ্ছে। লড়াই করতে করতে হঠাৎ এক পর্যায়ে অদ্ভুত প্রানীটি লাফিয়ে তীরে এসে পড়ে এবং সেখানেই প্রানীটির মৃত্যু ঘটে। সবচেয়ে বিষ্ময়কর বিষয় হচ্ছে পোলার বিয়ারের মত দেখতে এ প্রানীটির মাথা ছিল হাতির মাথার মত এবং এর অদ্ভুত লেজটি ছিল প্রায় ১০ ফিট লম্বা। প্রানীটি লম্বায় প্রায় ৪৭ ফিট ও ১০ ফিট চওড়া ছিল। স্থানীয় কিছু মানুষ অদ্ভুত এ প্রানীটির ছবি তুলে রেখেছিল। ১৯২৪ সালের ২৭শে ডিসেম্বর লন্ডনের ডেইলি-মেইল পত্রিকায় এ খবরটি ছাপা হয়। 

 দ্বিতীয় বিস্ময়ঃ-

১৯শে অক্টোবর ২০০০ সাল, পাকিস্থানের বেলুচিস্থানে আলি আকবর নামক এক লোককে আটক করা হয় একটি ভিডিও টেপ সহ। এ ভিডিও টেপটিতে দেখা যায় একটি মমি কালোবাজারে বিক্রি করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এবং যার দাম উঠেছে ২০ মিলিয়ন ডলার। আলি আকবরকে অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি প্রসাশনকে আফগান সীমান্তের রেকি নামক এক ব্যাক্তির কাছে নিয়ে যান যেখান থেকে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বেরিয়ে আসে। রেকি জানায় কুয়েটার ভুমিকম্পের পর ইরানের শরিফ শাহ্ নামক এক লোক মমিটিকে পেয়ে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে তার কাছে রেখে দিয়েছিল। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় অনেক গবেষণার পর ২০০০ সালের ২৬শে অক্টোবর ইসলামাবাদের কায়দে আজম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরকেওলজি বিভাগ ঘোষনা করে যে এই মমিটি ৬০০ বিসির এক পারসিয়ান প্রিন্সেসের। মমিটি একটি সোনালী রং এর কফিনে ছিল যার উপরে খোদাই করে লেখা ছিল মৃতদেহটি রোহডুগান নামক প্রিন্সেসের যে ছিল জের্ভাসেস ১ সম্রাটের মেয়ে। মমিটি নিয়ে পারস্যে প্রচুর হইচই শুরু হয় কারন পারস্যেও ইতিহাসের কোথাও এ পর্যন্ত কোন মমি পাওয়া যায় নি। শুধু তাই নয় এ মমিটির মালিকানা নিয়েই ইরান ও পাকিস্থানের মধ্যে ঘটে যায় ভয়ংকর কূটনৈতিক যুদ্ধ।

তৃতীয় বিস্ময়ঃ-

কানাডার নর্থ ওয়েষ্টার্ন ওনটেরিওর বিগট্রোট লেকের পাড়ে ২০১০ সালের ৮ই মে দুজন ভদ্রমহিলা তাদের কুকুর নিয়ে হাটতে বের হয়েছিলেন। হঠাৎ কুকুরটি কি যেন দেখে খুব বিকট আওয়াজে চিৎকার করে ডাকতে শুরু করে। তারা একটু সামনে এগিয়ে সেখানে ভয়ঙ্কর একটি প্রানীর মৃতদেহ দেখতে পায় এবং তাদের মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে কিছু ছবি তুলে ভয়ে খুব দ্রুত তারা সেখান থেকে সরে যায়। এবং সাথে সাথে এ খবরটি ছবি সহ ছড়িয়ে পড়ে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। স্থানীয় পত্রিকাগুলো এ নিয়ে অনেক রিপোর্টও তৈরী করে। কিন্তু হাজারো গবেষনা ও অনুসন্ধানের পরও এ প্রানীটি সম্পর্কে বিশেষ কোন তথ্য বের করতে পারেনি কেউ। এ ভয়ঙ্কর প্রানীটি আসলে কি সে রহস্য রহস্যই রয়ে গেছে। আজও পর্যন্ত কোন কূলকিনারা হয়নি সে রহস্যের।

চতুর্থ বিস্ময়ঃ-

২০০৮ সালের জুলাই মাসে নিউইয়র্কের মনটাউক শহরের সমুদ্রের পাড় দিয়ে হেটে বেড়াচ্ছিল চার যুবক। হঠাৎ তারা একটি বিদঘুটে ও অদ্ভুত প্রানীর মৃতদেহ খেতে পায়। এ খবরটি মিডিয়াতে ব্যাপক ভাবে সাড়া ফেলে দেয় এবং মুহূর্তের মধ্যে নেটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে অদ্ভুত এ প্রানীটির ছবি ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ব্যাপক গবেষণা এবং শেষ পর্যন্ত ২০১১ সালের ১৪ই মার্চ ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ((National Geographic) একটি ডকুমেন্টারী প্রচার করে যেখানে বলা হয় আসলে এ প্রানীটি একটি র‌্যাকুন (Raccoon)।

পঞ্চম বিস্ময়ঃ-  

১৯৩২ সালের অক্টোবরে ফ্রাঙ্ক কার এবং সেসিল মেনি নামক দুই ব্যাক্তি স্বর্নের খনির খোজে সান পেড্রো মাউনটেইন চষে বেড়াচ্ছিল। খনি খুজতে খুজতে হঠাৎ তারা একটি জরাজীর্ন রুম দেখতে পায়। কৌতুহলের বশে তারা রুমটির ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং ভেতরে গিয়ে তারা বেশ অবাক হয়। রুমটির ভেতরে তারা একটি মমি দেখতে পায়। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে মমিটি ছিল মাত্র ৭ ইঞ্চি একটি মানুষের আর মমির মৃতদেহটি এতই নরমাল ছিল যেন মাত্র কিছুক্ষণ আগেই তিনি মারা গেছেন। খবরটি ছড়িয়ে যাবার পর পর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন গবেষক চলে আসেন গবেষনার জন্য, চলে ব্যাপক গবেষনা। অনেক গবেষনার পর ১৯৫০ সালে বিভিন্ন x-ray তে ধরা পড়ে যে মমিটির কলার বোন আর কিছু হাড় ভাঙ্গা ছিল এবং তাই ধারনা করা হয় যে খুবই করুণ ভাবে লোকটির মৃত্যু হয়েছিল।

 ষষ্ঠ বিস্ময়ঃ-

২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে পানামার কেরো আজুল শহরে ঘটে যায় এক আশ্চর্যজনক ঘটনা। একদল কিশোর সে দিন সকালে খেলতে খেলতে এক গুহার ভেতর ঢুকে পড়ে আর সেখানে তাদের এক আজব ধরনের প্রানী তাড়া করে। কিশোর গুলো তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে প্রানীটিকে পিটিয়ে মেরে নিজেদের জান বাচিয়ে পালিয়ে আসে। কিন্তু কৌতুহলবশত আবারো তারা বিকেলে সেখানে যায় এবং প্রানীটির কিছু ছবি তুলে প্রানীটিকে পাশের লেকে ফেলে চলে আসে। পরবর্তীতে টিভি স্টেশনে এ ছবিগুলো গেলে তারা জানান যে ছবিতে দেখা গেছে প্রানীটির দাঁতগুলো ও নাকটি অনেক লম্বা এবং প্রানীটি লম্বা বাহু বিশিষ্ট। চারিদিকে হইচই পড়ে যায় কিন্তু অনেক খোজখোজির পরও এ ধরনের প্রানী আর কোথাও খুজে পাওয়া যায় নি, অমীমাংসিত রয়ে গেছে রহস্য।

সপ্তম বিস্ময়ঃ-

১৯৭৭ সালের ২৫শে এপ্রিল জুইয়ো মারু নামক এক জাপানিজ ট্রলার নিউজিল্যান্ডের ক্রিষ্টচার্চ উপকূলে মাছ ধরছিল। হঠাৎ জালে বড় কিছু আটকে পড়ার আশংকায় জাল উপরে উঠিয়ে আতকে উঠে সবাই। জালে আটকে আছে প্রায় ৩০০ মিটার লম্বা ও ১৮০০ কেজি ওজনের এক অদ্ভুত প্রানীর মৃতদেহ। ভয়ংকর এ প্রানীটির মাথা প্রায় ৫ ফুট লম্বা, বড় ৪টি পাখা ও ৭ ফুট লম্বা লেজ ছিল। প্রানীটি সম্পর্কে হাজারো গবেষণার পরও অমিমাংসিত রয়ে গেছে এর পরিচয়।

 

 তথ্যসুত্রঃ- ইন্টারনেট। 

 

 

 

 

 

 

০ Likes ১১ Comments ০ Share ৫৬১ Views

Comments (11)

  • - চারু মান্নান

    কবিকে মাঘের শুভেচ্ছা,,,,কবিতার গভীরতায় সেচ্ছায় ডুব সাঁতার,,,,

    • - কে,এইচ, মাহা বুব

      আপনার প্রতি ও রইলো সুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । ভাল থাকবেন ।

    - ওয়াহিদ মামুন

    সুন্দর। শ্রদ্ধা জানবেন।

    • - কে,এইচ, মাহা বুব

      মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন ।