: কিরে তর মায়ে কই?
: জানিনা
: জানস না ক্যান? কই গেছে ক ?
: জানিনা, ভয়ে একটু সরে যায় কালু ।
: হুমুন্দির পুত বইয়া বইয়া কি করস? জানসটা কি?
বলেই করিম মিয়া এক লাথি ঝারে নিজের সন্তানের পাছা বরাবর। কালু লাথি খেয়ে ছিটকে পরে, অবাক হয়না তেমন, হাত দিয়ে ধুলা ঝেরে সে দৌড় দেয় গ্যারেজের দিকে। মার খেয়েও তার তেমন খারাপ লাগে না, এরকম চর লাথি তার বাপ সারাদিনে বেশ কবার দেয়।
কালু জানে মায়ে কই গেছে। বাপরে কয় নাই কিছু। কালু এই তের বছর বয়সে বুঝে গেছে তার মা আর বাপের সম্পর্কটা। সন্ধ্যা হইলে মা যায় গ্যারেজের মালিক রহমত শেখের ঘরে। মা সেখানে কি করে জানে না সে। কিছু একটা করে সেটা বুঝে, রহমত শেখ ওরে দেখলেই নরম চোখে তাকায়, দোকান থেইকা এইটা সেইটা কিনে দেয়। ঘন্টা দুয়েক পর মা আসলে কালুর বাপ মায়েরে কিচ্ছু কয়না, একশ টাকা হাতে পেলেই বাংলা মদ খাইতে চইলা যায়। বাপে কুন সময় ঘরে ফিরে আসে কালু দেখেনা। কিন্তু বোঝে বাপ মানুষটা ভালো না। মায়ে সারাদিন কত কষ্ট করে, এর ঘরে তার ঘরে কাজকাম করে, সেলাই করে আর বাপে খালি মদ খায় আর জুয়া খেলে। এইসব ভাবতে ভাবতে বাপের উপর কালুর রাগ বাড়তে থাকে। ভাবে বড় হইলে মারে নিয়া আলাদা অন্য বস্তিতে থাকবো। বাপের লগে না।
রেহেনার কইদিন ধইরা দেখতাসে হের পুলাডা কেমন জানি বদলাইয়া যাইতাসে। কথা কম কয়। হাসে না বেশী, অন্য পুলাপান দের সঙ্গে খেলতে যায় না। রাতে খাইতে আসে অনেক দেরীতে। রাতে কালু খেতে এলে রেহেনা কালুরে জিজ্ঞেস করে;
: কিরে কি করস তুই? থাকস কই?
: আম্মা আমি কাম লইসি একটা । তুমারে আর কষ্ট করতে দিমুনা।
: কস কি বাজান? রেহেনা অবাক হইয়া নিজের পুলারে দেহে ।
: হ, আম্মা, আমি বস্তীতে কাম করি। মাস শেষ অইলে আমারে ১৫০০ টেহা দিব?
: কস কি?
: কিয়ের কাম করস?
: ওইজে ল্যাংড়া খালেক আছে না? হের লগে কাম করি?
: কস কি তুই?রেহেনা ভয় পায় এবার ।
: হ্যা তো হুনসি ফেন্সী বেঁচে?
: তুই ওইহানে কি কাম করস?
: তুমি বুঝবানা আম্মা, ডরাইও না । আমার কিচ্ছু অইবো না ।
: না বাজান তুই ওই কামে জাইস না । কুনসময় পুলিশ ধরবো ।
: ধুরলে ধরবো। আমি ভয় পাইনা ।
: না না আমি তরে ওই কামে দিমুনা। তুই আর যাইবি না ।
: আইচ্ছা যামুনা কিন্তুক আমারে কউ তুমিও আর রহমত শেখের ঘরে যাইবা না। বস্তীর পুলাপান আমারে খারাপ খারাপ কতা কয়, আমার হুনতে বালা লাগে না মা ।
রেহেনার হাত ধরে কালু বলে; কউ তুমি আর যাইবানা ওই ঘরে। কালুর এই কথা শুনে শীতল হয়ে বসে থাকে রেহেনা।
********************************************
********************************************
[সুপ্রিয় ব্লগার তাহমিদুর রহমান আজ একটি পোস্টের মাধ্যমে গল্প লেখকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন গল্প প্রতিযোগীতার; নিজে কবি মানুষ, এই গল্প লিখে আমি গল্প লেখিয়েদের দলে ভীড়তে চেয়েছি;জানি অর্থহীন প্রচেষ্টা তবু টেরাই দিলাম টাইপ একটা চেষ্টা নিলাম আর কি!! তবে যারা গল্পে আগ্রহী তারা তার পোষ্ট পড়ে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারেন। ধন্যবাদ। ]
Comments (41)
ছবিগুলো তো ফাটাফাটি, কিন্তু ওকে চিনি না, মানে ওনার কোন ছবি এখনো দেখিনি।
দাদা, তিনিতো হিট নায়িকা।
দাদা, আগের সিনেমাই যা দেখাইছে এখনো মনে আছে
দাদা, মনে রাখার মতন কিছু হলে মনে থাকাই স্বাভাবিক