Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ফায়েজ মাহ্‌দী

১০ বছর আগে

....এই বুঝি এলো কেউ।

রাত বাড়ছে। গভীর থেকে আরো গভীর হচ্ছে। শীতটাও রাতের সাথে প্রতিযোগিতা করে বাড়ছে। কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারিপাশ। এক মোহনীয় নিস্তব্ধতা সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করে আছে। সেই নিস্তব্ধতা শতগুণে ছুঁয়ে গেছে আমাকেও। আমি একা হয়ে যাচ্ছি। বড় বেশি একা। দীর্ঘশ্বাসের মতো, মৌন পাহাড়ের মতো, বয়ে চলা নদীর মতো বড় বেশি একা আমি।

আমার সাথে সঙ্গী হয়েছে আমার চির-পরিচিত কষ্ট। রাত গভীর হচ্ছে সেই সাথে তীব্র হচ্ছে আমার একাকিত্ব। অপূর্ব লাগছে রাতটাকে। জানালার পাশে গাছের পাতাগুলো হাল্কাভাবে নড়ছে। আমি তাকিয়ে আছি সেদিকে। অজানা কষ্টেরা মনে বড্ড বেশি হানা দিচ্ছে। না পারছি এদের সড়াতে না পারছি নিজে মুক্ত হতে। শুধুই তলিয়ে যাচ্ছি। এভাবে করে কত রাত আর আমি নিজেকে কষ্টের কাছে সমর্পণ করবো জানি না। হয়তো আমি চাইও না।

বেঁচে থাকাটা আমার কাছে তাৎপর্যহীন, কিন্তু মরে যাওয়াটা শোচনীয় নিরর্থকতা। আমি বেঁচে আছি, তবুও বেঁচে নেই। আমি মরে যাইনি, তবুও মরেই আছি। জীবনের অন্তঃসারশূন্যতা প্রচন্ডভাবে টের পাচ্ছি।

আমার সময় বড় বেশি বেড়ে গেছে, এক ঘণ্টা ষাট মিনিট নেই, হাজার হাজার মিনিট হয়ে ওঠেছে। আরো যদি পঞ্চাশ বছর বাঁচি তাহলে ভয় হচ্ছে এতগুলো বছর আমি বয়ে বেড়াবো কীভাবে ! কিন্তু তবুও বয়ে বেড়াতে হবে।

তাই থেমে যাচ্ছি না। চলছি পুরোপুরি একলা চলা থিওরিতে। রাত সত্যিই অনেক গভীর হয়ে আসছে, সেই সাথে আগামীর দিনগুলোও।

আঁধারের অপ্সরা হয়ে এই বুঝি এলো কেউ ! 
কেউ আসবে না জানি। কেউ না। কখনো না।

০ Likes ৪ Comments ০ Share ৭৪৫ Views

Comments (4)

  • - ধ্রুব তারা

    এ্যা এ্যা একি দেখলাম!

    - ফায়েজ মাহ্‌দী

    গ্লানি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই তো ক্ষমা চেয়েছে, যা আমাদের দেশের বড় বড় চোরেরা পারে না। আপনার এই উদ্ভট পোস্টের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আশরাফুল প্রভার সাথে কথা বলাতে কার কী সমস্যা হলো আমি ঠিক বুঝলাম না।

    - নীল সাধু

    Load more comments...