-হ্যালো।
-বলো নীলু।
-কতবার বলব নীলু ডাকবে না।
-বলো নীলিমা।
-কি করছো?
-শুয়ে আছি।
-নীল পাঞ্জাবীটা পরে রবীন্দ্রসরোবরে চলে এসো। হারি আপ।
-নীল পাঞ্জাবী পরা যাবে না। সরি।
-কেন?
-কাকে পায়খানা করেছে। ধোঁয়া হয়নি।
-ইয়াক! খাচ্চর।
-ঠিক বলেছো। কখন কোথায় কি করতে হবে বোঝেনা।
-আমি তোমাকে বলেছি।
-আমার মেসে বাথরুম আছে। তবে বাথরুমের দরজার সিটকানি ভাঙা। মেসের ম্যানেজার এটা ঠিক করছে না।
-বকবক করছো ক্যানো?
-আর করব না।
-জলদি আসো।
-খালি গায়ে আসলে সমস্যা হয়ে যাবে।
-খালি গায়ে আসতে বলেছে কে? শার্ট পরে আসো।
-বুকের বোতাম ছিঁড়ে গেছে।
-লাগিয়ে দেবো। আসো।
-আসছি।
নীলিমা ফোন রেখে অনেকক্ষণ হাসলো। এই ছেলেটার সাথে কথা বললেই নীলিমার হাসি পায়। হাসতে হাসতে নীলিমা আয়নার সামনে বসে। রুদ্র কাজল খুব পছন্দ করে। কাজল দিতে হবে। হাসলে কাজল দেয়া যাবে না। আগে হাসি বন্ধ হোক। পরে কাজল দেয়া যাবে। তার আগে শাড়িটা পরে নেয়া ভালো। নীল শাড়ি। নীল পাঞ্জাবীর সাথে নীল শাড়ি। নীলিমা জানে রুদ্র নীল পাঞ্জাবী পরেই আসবে।
আকাশ মেঘলা। বৃষ্টি হতে পারে। হোক। ভিজবে। রুদ্রর টনসিলে সমস্যা। তবু ভিজবে। ভালোবাসার প্রথম বৃষ্টিতে ভিজলে অসুখ হয় না। নিয়ম নেই। ভিজতে ভিজতে একটা কথা রুদ্রকে বলতে হবে। তার মুখে নীলু ডাক শুনতে নীলিমার খুব ভালো লাগে। গাধাটা বুঝবে কি না সন্দেহ আছে। না বুঝুক। না বুঝলে নীলিমা রাগ করবে। নাহ্ রাগ না। অভিমান করবে। হয়তো কাঁদবে। রুদ্র কি বুঝবে? বোঝার কথা। চোখের জল কখনো লুকায় না। তারপরও না বুঝলে গাধাটার খবর আছে আজ। খুনোখুনি হবে। খুনোখুনির পর ভালোবাসা। তার আগে না।
Comments (4)
বেশ সুন্দর লিখেছেন কবি রোদেলা
আমি এই কবিতাটি আগেই পড়েছিলাম। মনে আছে আমার
ভালো থাকবেন। ভালুবাসা রইলো
আমি কবিতা কম বুঝি, তবে কথা গুলো ভাল লেগেছে।
আমিও কবিতা বুঝিনা,শুধু কথামালা বুঝি।
জীবন মুখী কবিতা। শুভ কামনা কবি।
ধন্যবাদ পাশা ভাই