দুঃসময়ের আগুন লেগেছে তোমার কপালে দু’চোখে অন্ধকার
স্বার্থের কালো থাবায় নিষ্পেষিত তোমার জীবন
বঞ্চনা আর লাঞ্চনার বিষাক্ত কাঁটা তোমার প্রতি পদক্ষেপে
অদৃশ্য হ্যান্ডকাপ পরানো নিষিদ্ধ জেলখানায় বসে
বোবা চোখে বাইরে বেরনোর ব্যর্থ মিনতি।
আর মানবতা !!
পাষাণে মাথা ঠুকে গুমরে কেঁদে যায় বিবেকের দুয়ারে।
তখন তোমার কেউ ছিলনা। ছিল না কোন আশা।
সাজানো আদালতে জীবন জামানত রেখে
আমি এনে দিয়েছিলাম তোমাকে মুক্তির স্বাদ।
কাঁপা কাঁপা হাত বাড়িয়ে তুমি অপলক চোখে
কোনমতে বললে আমাকে “এই হাত ছেড়না আমার।”
তারপর তোমার আঁধার বুকের পাঁজরে উকিঁ দিল
নতুন জীবনের বাঁকা চাঁদ।
সে একিদন পূর্ণতা নিয়ে তারার আগুন ভরা আকাশ
তোমাকে দিল উপহার।
তার নিচে খোলা ময়দানে জীবন নদীর তীরে
তুমি দাঁড়িয়ে আছো।
কষ্টের দু’পাড় ভেঙ্গে ভেঙ্গে সুখের কিনার এগিয়ে আসে
স্বপ্ন বোঝায় নৌকা তোমার বন্দরে নোঙ্গর ফেলে
তবু্ও বললে তুমি, “এই হাত ছেড়না আমার।”
আমি বললাম, “জীবনে কত সাইক্লোন এসেছে গিয়েছে
ফাগুনের রঙ বদল হয়ে শীতের রুক্ষতা মিলেছে
তবুও এই হাত ছাড়িনি তোমার।”
Comments (8)
আয়রে সখি, দুজন মিলে এলে বেলে
পথের মাঝেই হারিয়ে থাকি।
আমার বুকেই জিরিয়ে নিবি,
আমার বুকেই ঘুমিয়ে নিবি নিরিবিলি।
শুন্য শহর সেদিন থেকেই আমার হলো,
অন্তরালের আঁধার চিরে রয়েই গেলো,
তার বাহুতেই গড়ছি তাসের বসত-বাড়ী।
ভাল লেগেছে কবি। হরতালে ফাকা রাস্তা দেইখা শূন্য শহরের কথা মনে হইল নাকি কবি?
আসলেই,কথা ঠিক।
বাহ! সাবলীল সুন্দর একটি লেখা।
অনেক ভালো লাগা রইল প্রিয় কবি।
সুন্দর থাকুন। শুভেচ্ছা সতত।
শুভেচ্ছা সতত।