Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সুরথ সরকার অর্ঘ্য

৯ বছর আগে লিখেছেন

পতিতা এবং আধুনিক আমরা

আগে পতিতারা একচাটিয়া ব্যাবসা করত এখন আধুনিক মেয়েরা পতিতাবৃতকে নিজেদের মধ্য নিয়ে এসেছে”- সঞ্জীব চট্টপাধ্যায়ের এই কথাটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিজেই সত্যতার প্রমান দিয়ে চলেছে। আজকাল এই কথাটা ধ্রুবতারার মত প্রমান দিয়ে চলেছে সমাজের কাছে ।
আমরা মানুষ ,আমরা সঙ্গবদ্ধ ভাবে একটা সমাজে বসবাস করি। আমাদের মধ্য তৈরি হয় সামাজিকতা। মানুষ কখন সমাজ থেকে বাইরে এসে বাচতে পারেনা। তাই মানতে হয় আমাদের সামাজিক মিয়ম কাননু। এই সমাজে থকে ,এই সমাজে বাস করে,কত অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছি আমরা । যেমন ধরুন পতিতা ,অনেকে এদের পতিতা না বলে সেক্স ওয়ার্কার বলে । আসলে যেটি লাউ সেটিই কদু। ওদের ও নিজেদের মত একটি সমাজ আছে। মদ্দাকথা পতিতারাও একটি সমাজে সঙ্গবদ্ধ ভাবে বাস করে। আমাদের চোখে যে সমাজটা অন্ধকারের অতল গভীরে। যে গভীরতা মাপার ক্ষমতা আমার আজও হনি। কিন্ত আমরা যারা আধুনিক সমাজে বসবাস করি। নিজেদের বহাল তবিলতে আধুনিক বলে দাবী করি । কতটুকু আলোয় আলোকিত হতে পেরেছি আমরা। আমাদের আধুনিকা মেয়েদের কথায় যদি আসি তাহলে প্রথমে বলতে হয় ধিক এই আধুনিকতার। সমাজের উঁচু তালায় বসে তোমরা যে কাজ করে চলেছে সেটা অনেকটা অমার্জনীয়। আমরা পতিতা বলে যাদের ঘৃনার চোখে দেখছি । আমরা কি কখন একটু ভেবেছি কেন আজ তারা পতিতাবৃতের কবলে ধুকে ধুকে জীবন কাটাছে। এই প্রশ্নের জানি কোন উত্তর মিলবেনা। অনেক কষ্টে অনেক অভিমানে অনেক অনুরাগে আজ তারা পতিতা হয়ে দিন কাটাছে। কিন্তু যাদের শিক্ষা আছে, সমাজে উচু আসন আছে ,অর্থ ও প্রাচুর্য আছে তারা কেন সেক্স ওয়ার্কার হচ্ছে। তারা কেন পতিতাবৃতকে নিজের মধ্য লালন পালন করছে। তারা কেন অবলিলায় একাধিক পুরুষগামী হচ্ছে। সমাজের চোখে যেটা খারাপ সমাজের চোখে যেটা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

সুরথ সরকার অর্ঘ্য

৯ বছর আগে লিখেছেন

ডায়েরি

রুপা নামে যে মেয়েকে আমি চিনতাম সে হারিয়ে গেছে। শুনেছি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আসলে যারা সত্যিকার হারিয়ে যেতে চায় তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে হ্যাঁ মেয়েটা অনেক সুন্দর ছিল, শান্ত ছিল। যেমন শান্ত নদীর একটি সুন্দর রূপ আছে ঠিক মেয়েটির মাঝেও সেই রূপ ছিল। না না রূপ বললে হয়তো ভুল হবে লাবণ্য ছিল। হ্যাঁ রুপাকে আমার ভাল লাগত। তবে জানিনা এই ভালোলাগাকে প্রেম চলা যায় কিনা।তবে অনেকেই আমাকে বলতো আমাই নাকি প্রেমে পরেছি। কিন্তু সত্যি কি আমাই কারো প্রেমে পরেছিলাম। জানিনা, কিংবা বুঝিনা কিছুই। তবে আমি যদি আমাকে দেখি তাহলে আমি নিজেও দেখেছি আমার ভেতরে ও বাইরে একজন অদৃশ্য ভাবে আমার চারিদিকে বাস করতো। শুধু বাইরে নয় আমার ভেতরে তার বসবাস ছিল। হ্যাঁ এর নাম যদি প্রেম বলে তাহলে আমি প্রেমিক। এবং আমার সত্তা তে যে নারী বাস করতো সে রুপা।
অনিক কথাগুল তার ডাইরির পাতাতে লিখে চলেছে। অনিক জানে মানুষের কাছে মিথ্যা বলা যায় কিন্তু এই একটি জিনিষ যার কাছে কখনো মিথ্যা বলতে হয় না। তাই অনিক তার জীবনের কিছু সত্য কথা লিখে রাখে। অনিক বেশ চাপা স্বভাবের ছেলে। তার ভেতরের কথা যেমন বাইরের মানুষ জানে না। ঠিক তেমনি বাইরের কোথাও তাকে তেমন স্পর্শ করে না। সে জানে কোন দিন সে আর মনের কথাগুল কাউকে বলতে পারবে না। রুপা হ্যাঁ রুপা অবশ্য অনিকের চেয়ে অনেক এগিয়ে। রুপার বেড়ে ওঠা এই নিভৃত পল্লীতে নয়। তাই রুপা এই গ্রামের সাধারন মেয়েদের মত নয়। সেও বলা যায় অনেক এগিয়ে কোন কোন কাজে সে ছেলেদের চেয়েও অনেক এগিয়ে।সেই রুপা অনিককে সুযোগ করে দিয়েছে তার মনের কথাগুল জানানোর জন্য। কিন্তু গ্রামের... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - বাপ্পী আহমেদ

    জেনে ভালো লাগলো। ভ্রমণে বের হওয়ার জন্য এগুলো জেনে রাখলাম। কাজে লাগবে অনেক।

    - রব্বানী চৌধুরী

    ভ্রমণের জন্য তথ্য গুলি প্রয়োজনীয়। 

     

    প্রথম পোষ্টটির জন্য অভিনন্দন, নিয়মিত লিখবেন। শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন।    

    - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    প্রয়োজনীয় পোস্ট দিয়েছেন। আসা করি সবার কাজে লাগবে।

সুরথ সরকার অর্ঘ্য

৯ বছর আগে লিখেছেন

রাতের ইতিকথা

প্রতিটি রাতেই আমি মারা যাই 
তক্ষকের বিষের জ্বালায়
আমার শরীরের প্রতিটি রক্তের কণায় 
ক্ষেমটা নাচন ওঠে। নৃত্যের ছন্দে ছন্দে 
আমার অন্তরের গভীর খাচায় পুষে রাখা 
কালো ভ্রমরের প্রান গুলিয়ে ওঠে
রক্ত বমি করে, ছটফট করে 
তারপর 
তারপর এক সময় নিরাসত্য জীবনের যবনিকা পাত ।
ভোরের আলো যখন আমার দুয়ারে দাড়ায় 
তখন আমার মাথার সিঁথি থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় 
ঝরতে থাকে অবিরাম রক্তের স্রোতধারা 
কালো মলিন রক্ত। যা কখন দেখিনি 
আমার মুখ থেকে লালা ঝরে। আমার শরীরের 
কাপন থেমে যায় মুহূর্তে । আবার গুণ গুণ করে গান করে 
ক্ষনজন্মা কোন কালো ভ্রমরের সন্তান 
হানা দেয়। তাথৈ তাথৈ ছন্দ নেচে ওঠে 
খিল খিল করে হাসতে থাকে। 
আমার ঘরের দক্ষিন জানালার পাশে বসে
ডাকতে থাকে বৌ কথা কও 
ওঠ বৌ ,ওঠ বৌ
জেগে ওঠি। হতরে দেখি আমার হাত আছে কিনা 
আমার পা ছে কিনা। 
আমার হাত সারা দেয়, মুখ কথা কয়
বুকেরে মাঝক্ষানে হাত রেখে টেরপাই 
আমার জীবন নদীর স্রোত । 
আমি আয়নার সামনে দাড়াই 
যখন নিজেকে দেখে আমার নিজের চোখ
তখন লতার মত নুয়ে পরে আমার শরীর
আমার লজ্জাগুল ভেঙচি কাটে 
লাজে আড়ষ্ট হই আমি। 
আমি দেখি
আমার সিঁথির সিঁদুরে লাল হয়ে আছে ললাট
আর তখন অনুভব করি
মৃত্য ভ্রমরের চোখ থেকে গড়িয়ে আসা অশ্রু ।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

সুরথ সরকার অর্ঘ্য

৯ বছর আগে লিখেছেন

একটি স্বপ্ন একটি মৃত্যু

বাতাসে ভেসে আসচ্ছে মুয়াজিনের আজানের। ভোরের আলো অন্ধকারের চাদর ভেদ করে দক্ষিনের জানালা দিয়ে ঘরের এক কোনে এসে ঠিকরে পড়েছে। ঘুম জাগানিয়া পাখিরা প্রহর শেষে ক্লান্তির ডানায় ভর করে ছুটে চলেছে খাবারের সন্ধানে। সূর্যের আলো উকি দিয়ে পৃথিবীতে আসার বহু আগেই ঘুম ভেঙ্গে যায় সাবিনার। সকালে ঘুম ভেঙ্গে উঠে সাবিনা চুলায় রান্না বসিয়ে দিয়ে পানি আনার জন্য ছুটে যায় করিম শেখের বাড়ি। গ্রামে খাবার পানির একমাত্র ভরসা করিম শেখের টিউবওয়েল। সকালে খাবার পানি জোগাড় মানে এক প্রকার যুদ্ধ। কারন এই গ্রামের প্রায় সকলেই কাজ করে গার্মেন্টসে তাই সবাই ভোর হতে না হতে ছুটে যায় পানি আনতে। গ্রামের অন্য মেয়ের মত এ ওর নিয়ে রসালো গল্পে মেতে ওঠে না সাবিনা। এর অবশ্য একটা কারন আছে। সাবিনা খুব ছোট্ট বেলাতে তার মাকে হারিয়েছে।আর বাবা সে না থাকলেও যেমন থাকলেও অথৈবচ। বেচারি কিছুদিন বেঁচে ছিলেন দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করে এক সময় তার জীবনের তার ছিঁড়ে গেল। কিন্তু মা বাবা যখন এই পৃথিবী থেকে চলে গেলেন তখন সাবিনার কাছাএ রেখে গেছে দুই ভাই বোন। সাবিনা আর দুই ভাই বোন নিয়ে বহু কষ্টে জীবন কাটে। কিন্তু কখনও সাহস হারায় না সাবিনা। এই ব্যাবহারটা পেয়েছে তার মায়ের কাছ থেকে। সাবিনার মা বেঁচে থাকতে সাবিনা কিছুদিন ইস্কুলে গিয়েছিল। সাবিনা লেখাপড়াতে বেশ ভাল ছিল তাই সাবিনার মা তার মেয়েকে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে তার স্বপ্নের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন তার মা মারা গেল সঙ্গে সঙ্গে তার জীবনের লয় গেল পাল্টে। ইস্কুলের গণ্ডি ছেড়ে সাবিনা এখন কাজ নিয়েছে একটি গার্মেন্টসে। যে স্বপ্ন দেখতে দেখতে তার মা চলে গেছেন তার রেখে যাওয়া স্বপ্নগুলোকে বাচিয়ে রাখতে এখন... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - গাজী নিষাদ

    খুব চমৎকার প্রস্তাবনা। আমি অবশ্যই সহমত পোষণ করছি এবং সেই সাথে আশা করছি ব্লগ কতৃপক্ষ  এবং সহ ব্লগার বন্ধুরাও এই ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেবেন। আমি মাসুম ভাইকে এত চমৎকার একটি লিখার মাধ্যমে বর্ষাকে মননে প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    • - মাসুম বাদল

      অশেষ ধন্যবাদ, নিষাদ ভাই, আপনার উদ্যমী সহমতের জন্য!!!

      অনেক অনেক শুভকামনা!!!

    • Load more relies...
    - লুৎফুর রহমান পাশা

    বাদল ভাই প্রস্থাবনার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরছি আমরা এ বিষয় নিয়ে  আলোচনা করবো। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আবারো একটি সুন্দর প্রতিযোগীতার আয়োজন সম্ভব হবে।

    • - মাসুম বাদল

      পাশা ভাই!

      আপনার আন্তরিকতার গভীরতার প্রমাণ

      এর আগেও পেয়েছি অনেক।

       

      অনেক অনেক শুভকামনা।

      আশাকরি আমরা খুব শীঘ্রই প্রস্তুতি আড্ডায় বসতে পারবো।

    - মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান

    বর্ষা ! আর প্রতিযোগিতা !!

    ধন্যবাদ আপনার প্রস্তাবনার জন্য। সাধারনত কোন প্রস্তাবনার আগে আমি কিছুটা ধারনা পাই। ভালো লাগসে ব্লগারদের উদ্যোগ দেখে। আমার পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। নক্ষত্র ল্যব থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে ইনশাল্লাহ।

    কার্যালয় এ আমন্ত্রন থাকলো। পরিপূর্ণ পরিকল্পনা জানানোর জন্য অনুরুধ থাকলো। emoticons

    • - মাসুম বাদল

      সালাম ও শুভকামনা, প্রিয় আরিফ ভাই!!!

       

      অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই আপনার এই সমর্থনের জন্য।

      খুব শীঘ্রই ইনশা আল্লাহ আমরা প্রস্তুতি আড্ডায় বসতে পারবো।

       

      অফুরন্ত শুভকামনা রইলো, ভাই!!! emoticonsemoticons

    Load more comments...

সুরথ সরকার অর্ঘ্য

৯ বছর আগে লিখেছেন

সপ্ন

এক
একটু আগে বৃষ্টি হয়েছে। আকাশের বুকে অবিরাম মেঘের ওড়া উড়ি। মাঝেমাঝে মেঘের আস্ফলন ভেদ করে সূর্যের উঁকি। দূর্বা ঘাসের উপর জমে থাকা  ইলসি গুরি বৃষ্টির ফোঁটা সূর্যের কিরণে জ্বলজ্বল করছে। দূর থেকে ঘাসের দিকে চাইলে মনে হয় অজস্র মুক্তা ছরিয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চারিপাশে। চোখের মধ্য একটি মহনিয়তা এসে ভর করে। আবার সূর্যকে পেটে পুরে আকাশের বুকে জমা হয় মেঘের দল। রূপসীর চিকন কালো চুলেরে মতোই মেঘ দেখা দেয় আকাশের বুকে। মনে হয় ঘুম ভেঙ্গে কোন এক রূপসী তার চিকন কালো চুল ছরিয়ে বসে আছে ।তারই সাথে উড়ে আসে দমকা হাওয়ার দল। এই ভাবে মেঘ সূর্য আর দমকা হাওয়ার খেলা চলছে বেশ কিছুদিন।এমন অলসতার দিনে অনেক মানুষই বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে। গ্রামের মেয়ে বউগুল এক চিলতে অবসরে সেলাই নিয়ে বসে। হাতের সেলাইয়ে মনের কথা গুল জুরে দেয়।সকাল হতে না হতে যারা মাঠে গিয়ে পরত তারাও আজকাল দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে। কিন্তু এত কিছুর  মাঝেও ঠিক সকালে মাঠে গিয়ে পড়ে আলম।
 
 আলম জানে তার দিকেই চেয়ে আছে অনেকগুল মুখ। সে না থাকলে তার পরিবার কবেই বানের পানির মত ভেসে যেত। ভাসতে ভাসতে ঠিক কোন নদীতে গিয়ে মিশত তা ঠিক তার জানা নেই। আলম সবে উনিশে পা রেখেছে।ওর চেহারার মধ্য একটি বিশেষ গুণ আছে।অনেক দিনের পর বৃষ্টি পেয়ে গাছগুল যেমন আরও সবুজ লকলকে হয়ে বেড়ে ওঠে। ঠিক তেমনি তার কালো দেহে যৌবনের উচ্ছল মাদকতা বেশ স্পষ্ট।চোখ দুটো গভীর মায়ায় ভরা।তার যে গুনটার জন্য সবার কাছে বেশ সমাদৃত সে হল তার মহনীয় হাসি। তার এই হাসি যেন সবাইকে কাছে টেনে নিতে পারে খুব সহজে।তিন ভাই বোনের  মধ্য আলম ছিল দ্বিতীয়। আলমের বড় এক বোন... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    হুম। চমৎকার। বহুদিন পরে ব্লগে এসে প্রথম আপনার লেখাটাই চোখে পড়লো এবং পড়লাম। 

    • - প্রলয় সাহা

      ধন্যবাদ দিদি । আর আমাকে তুমি করে বললে খুশি হবো । 

    - মোকসেদুল ইসলাম

    স্পন্দনের সাথে সন্ধি করে , 
    ঠিকই থাকব ঘরটিতে জেগে । 
    হয়তো একেই ছায়া সাথী বলে ।।

     

    হয়তো বা। শুভ কামনা কবি

    • - প্রলয় সাহা

      ধন্যবাদ দাদাভাই । 

Load more writings...