Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মুন জারিন আলম

৯ বছর আগে লিখেছেন

বর্ষার ধারা মাঝে শান্তির ধারা

বরিষ ধারা মাঝে শান্তির ধারায় 
(কবি গুরুর গানের লাইন)

বর্ষা শ্রাবন পার হয়ে
বার্তা আসে আজ জয়ে রয়ে
নবীন কিশলয়ের আগমনে
কার নাম যাও কয়ে
কত কথা আজ জাগে মনে
আকাশে বাতাসে রয়ে সয়ে।।

আজকে আমাদের এখানে তুমুল এক বৃষ্টি হল।এমন বৃষ্টি মনে হল টরন্টো নগরটি পানিতে ভেসে চলে যাবে।প্রচন্ড বিজলীর চমক,তুমুল বর্ষনের শব্দে প্রকৃতি প্রকম্পিত যেন।একেবারে ক্যাটস এন্ড ডগস (বিড়াল কুকুর বৃষ্টি) যাকে বলে। 

আমার স্কুল কলেজ শৈশবের একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল বর্ষার সময়ে বাসার ছাদে এসে বৃষ্টিতে ভেজা।মা নানীদের বক্তব্য ছিল বৃষ্টির পানিতে নাকি আল্লাহর এক নেয়ামত এক রোগ প্রতিরোধ রেমেডীর মত থাকে যার স্পর্শতে সর্দি কাশি, ঠান্ডা জনিত যত অসুষ্থতা সারা বছর তার নাগাল থেকে দুরে থাকে। সত্যি যেটা দেখেছি বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় আমি ছিলাম খুব সুস্থ প্রানশক্তির অধিকারী একটি মেয়ে।আমার অসুখ বিসূখ হতনা বলা চলে।জ্বর সর্দি কাশি কখনও ই হয়নি বলা চলে।

কানাডায় আসার পর গত দশবছর ধরে এ ছিল আমার মূল স্বাস্থ্য সমস্যা।সামান্য কিছুতে গলা ব্যাথা সর্দি কাশি জ্বরে সবসময় ভূগছি।বৃষ্টির পানির ফোটা যদি মাথায় টাচ হয় কয়েকদিন ধরে মাথা ব্যাথা কাশি চলতে থাকে।এইজন্য এখন যদি কখন বৃষ্টির পানি গায়ে লাগে সঙ্গে সঙ্গে বাসায় গরম পানিতে শাওয়ার নিয়ে নেই।

তবে আজ ব্যাতিক্রম করলাম অনেকদিন পরে।তুমুল ঝড় বৃষ্টিতে মেয়ে সহ বাহিরে গিয়ে প্রানভরে ভিজলাম।মেয়ে ছিল ছাতার আড়ালে আর আমি প্রবল বর্ষনে ভূলে গেলাম যেন সব।সেই আমার কলেজ জীবনটকে আজ আবার স্পর্শ করলাম স্মৃতিতে।  

কি যে এক ভাল লাগা অনেক দিন পর।

কোন হাচ্চো সর্দি কাশি এখন ও হলনা ।বেশ লাগছে।এই বোধ সহ অনুভুতির কথা লিখছি এখন। দশবছর আগে যেই স্মৃতি বিজড়িত বর্ষা যেন আজ আমাকে আবার ছুয়ে গেল।যেমন করে ব্লগ গুলি আমার বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতিকে নুতুন চেতনায় আমার প্রানে জাগিয়ে দিল।এখন ব্লগে প্রতিমূহূর্তে ঢুকি বাংলা ভাষার আওয়াজ ,কথা শুনতে।

নক্ষত্র কে ধন্যবাদ জানাই বর্ষা প্রতিযোগিতা আয়োজনের উৎসবটি করায়।আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে দেখছি সবাই চমৎকার চমৎকার বর্ষার  কবিতা, গল্প,প্রবন্ধ প্রতিদিন ই পোষ্ট করছেন।তবে আয়োজকদের একটি কথা বিনয়ের সাথে বলছি আমার লেখাটি যেন প্রতিযোগীতায় শামিল করা না হয়।আমি সব বন্ধুদের পাশে থাকতে চাই এবং এই প্রতিযোগিতাকে সন্মান করতে লিখছি লেখাটি।তবে প্রতিযোগিতায় সংশ্লিষ্ট হতে চাইনা।এই প্রতিযোগিতায় আমার অকুন্ঠ সমর্থন জানাতে আমার এ লেখা।তবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করছিনা দুইটি কারনে।

এক. অনেকের মাঝে আমাকে সার্টিফিকেট দিয়ে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করলে (অর্থাৎ লেখাটি মনোনীত হলে) অস্বস্তিবোধ করি।

দুই আবার লেখা মনোনয়ন না পেলে বা নির্বাচিত না হলে অস্বস্তি হয় দূখ হয়। 

[আসলে অগ্রগামী বা উর্ধের অবস্থান দুঃশ্চিন্তার, পশ্চাদগামী বা নিম্ন অবস্থা অপমানজনক।মধ্যবর্তী অবস্থান টি স্বাচ্ছন্দ্যের ।তাই বলে সুবিধাবাদী মধ্যবর্তী অবস্থান নয় এ হচ্ছে অগ্রগামীদের অনুসরন করা মধ্যবর্তী অবস্থান আমার পছন্দের। ]

তাই আমি প্রতিযোগিতায় নিজেকে সংশ্লিষ্ট করতে চাইনা।তবে সব বন্ধু প্রতিযোগীদের আনন্দ এর সাথে শেষ পর্যন্ত আছি এবং থাকব। পরে বর্ষা সংক্রান্ত কবিতা ,উপন্যাস আর ও দিব আয়োজকদের প্রতি সন্মান প্রদর্শনে তবে নির্বাচনের জন্য নয়।

নক্ষত্র ব্লগের সব বন্ধু ,বর্ষার আয়োজক বন্ধুদের সবার প্রতি আমার হৃদয় থেকে রইল অকুন্ঠ সমর্থন,শ্রদ্ধা ভালবাসা।

সবশেষে বর্ষার এই গানটি সব বন্ধুদের জন্য।

আজিকার এই
বর্ষাধারা
বাদল ঝরা
যুথীবনের
গন্ধে ভরা।।

সবাই ভাল থাকুন।
Likes ১০ Comments
০ Share

Comments (10)

  • - প্রজ্ঞা মৌসুমী

    বাংলাতে স্বাধীনতা সত্যিই কি আসবে এবার? ভরসা হারানোর জালে তবুওতো স্বপ্ন আসে

    • - Azimul Haque

      প্রজন্মের আহ্বান এটাই, তবে সম্পূর্ন এটা নয়। জামাতের তরুন প্রজন্ম-ও কিন্তু আজকেরই প্রজন্ম। 

      নেলসন ম্যান্ডেলার মতো এই দুই প্রজন্মের মধ্যে একটা রিকনসিলিয়েশন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে আজ।