Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

mitho khan

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাস



রাজধানী ঢাকার পাশেই টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমাকে উপলক্ষ করে যে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সমাগম ঘটে তা হটাৎ করে হয়নি।

নিবেদিত প্রাণ তাবলীগ অনুসারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় বিশ্ব ইজতেমা আজকের রুপ লাভ করেছে। যতটুকু জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমা সর্ব প্রথম শুরু হয় আজ থেকে ষাট বছর পূর্বে ১৯৪৬ইং সালে কাকরাইল মসজিদে। এরপর ১৯৪৮ইং সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের তৎকালীন হাজী ক্যাম্পে। এরপর ১৯৫৮সালে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে।

তখন এটা কেবল ইজতেমা হিসেবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু প্রতি বছর ইজতেমায় অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৬৬সালে টঙ্গীর পাগার গ্রামের খেলার মাঠে ইজতেমার আয়োজন করা হয়। ঐ বছরই প্রথম শুধু বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগন অংশ গ্রহন করায় বিশ্ব ইজতেমা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

পরবর্তীতে ১৯৬৭ সাল থেকে এ যাবত পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বিশ্ব ইজতেমা নামে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে তুরাগ নদীর উত্তর-পূর্ব তীরে রাজউকের প্রায় ১৬০ একর (এখন প্রায় ১৭৫ একর) বিশাল ভুমির উপরে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

বিগত ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকার উল্লেখিত জায়গায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবার লিখিত অনুমতি প্রদান করেন।

বিভিন্ন পত্রিকা/ পরিসংখ্যানের হিসাবে দুই পর্ব মিলিয়ে প্রায় ষাট থেকে সত্তর লাখ মানুষ এতে অংশ গ্রহন করেন। এবং প্রায় ১০০টিরও বেশী দেশের প্রায় অর্ধ লক্ষ বিদেশি মেহমান এতে অংশ গ্রহন করেন।

তিন দিনের ইজতেমা শেষে আখেরী মুনাজাতে বিশাল জন সমুদ্রে পরিনত হয় ইজতেমা ময়দান! ঐ দিন সরকার কর্তৃক ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষ আখেরি মুনাজাতে শরীক হন। আখেরি মুনাজাতে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত করা হয়।

এই বিশ্ব ইজতেমা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য বেশ কয়েক মাস ধরে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষ পালাক্রমে মাঠ প্রস্তুতের কাজে অংশগ্রহন করে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আল্লাহর অশেষ কুদরতে পুরো ব্যাবস্থাপনা ব্যায় বহুল ও সময় সাপেক্ষ হলেও অত্তন্ত নিখুঁত ভাবে পুরো কাজ সম্পন্ন হয় আলহামদুলিল্লাহ।

প্রতি বছরই ইজতেমা শেষে হাজার হাজার জামাত দেশের অভ্যন্তরে ও সারা বিশ্বব্যাপী দাওয়াতী কাজের আঞ্জাম দেয়ার জন্য বের হন নিজের জান মালের কোরবানির দ্বারা।

আল্লাহ আমাদের সবাকেই এই মোবারক মেহনতের সাথে পরিপূর্ণ ভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।

Likes Comments
০ Share

Comments (4)

  • - গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা

    বেশ্যার ও তবু বিশ্বাস আছে
    ক্ষুধার কাছে লজ্জা বেঁচার লজ্জা আছে
    ভাগ্যের কাছে হেরে যাবার কষ্ট আছে।
    স্বদেশী ভণ্ড ক্ষমতা লোভী রাজনীতিবিদদের
    ক্ষুধার্ত মানুষের ভাগ্য আর
    ধর্ম বিশ্বাস বেঁচার কোন কষ্ট নাই তবু

    - সুমন আহমেদ

    কবিতা পাঠ করতে করতে মনে পড়ল রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ- এর একটি কবিতা:

    হাড়েরও ঘরখানি

    মানুষের প্রিয় প্রিয় মানুষের প্রাণে
    মানুষের হাড়ে রক্তে বানানো ঘর
    এই ঘর আজো আগুনে পোড়ে না কেন?

    ঘুনপোকা কাটে সে-ঘরের মূল-খুঁটি
    আনাচে কানাচে পরগাছা ওঠে বেড়ে,
    সদর মহলে ডাকাত পড়েছে ভর দুপুরের বেলা
    প্রহরীরা কই? কোথায় পাহারাদার?

    ছেনাল সময় উরুত দ্যাখায়ে নাচে
    নপুংশকেরা খুশিতে আত্মহারা ।

    বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে
    রাজনীতিকের ধমনী শিরায় সুবিধাবাদের পাপ
    বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে
    বুদ্ধিজীবীর রক্তে স্নায়ুতে সচেতন অপরাধ
    বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে
    জাতির তরুন রক্তে পুষেছে নির্বীর্যের সাপ-

    উদোম জীবন উল্টে রয়েছে মাঠে কাছিমের মতো।

     

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    একেবারে সব ঝেড়ে দিয়েছেন দেখচি।

    Load more comments...