Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

লিপু রহমান

৭ বছর আগে লিখেছেন

পাওনাদার

আনোয়ার উদ্দিন অনেক চড়াই উৎরাই পার করে শহরে সদ্য প্রতিষ্ঠিত একটি কলেজে খেলার টিচার হিসেবে যোগদান করে। একসময় সে খুব ভালো খেলোয়ার ছিলো। মহকুমা পেড়িয়ে জেলা,বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত খেলেছে। খেলায় যা আয় করেছে তা জুয়া এবং নেশায় শেষ করে দিয়েছে। এখন সেরকম অভ্যাস আর নেই। তবে মাঝে মাঝে শহরের গন্য মান্য ব্যক্তিদের সাথে একটু লাল পানি খেতে বসে। কলেজে তার খুব একটা কাজ নেই। প্রিন্সিপালের সাথে দহরম মহরম সম্পর্ক। কলেজে এসে আনোয়ার উদ্দিন প্রিন্সিপাল সাহেবের কাছে বসে। এই সম্পর্কের জোড়ে সে ছেলেকে আই. এ পাশ করিয়েছে কিন্তু বিএ পাশ করাতে পারলো না। ততদিনে প্রিন্সিপালের মসয় শেষ যায়। কলেজে দুইজন কর্মচারী নিয়েগ করা হবে। প্রিন্সিপাল এই দায়িত্ব আনোয়ার উদ্দিনের কাছে দেন। আনোয়ার উদ্দিনগ্রামের একজন আইএ পাশ ছেলেকে ঠিক করেন। বিনিময়ে কলেজের ফান্ডে ত্রিশ হাজার টাকা দিবে। আনোয়ার উদ্দিন সেই টকা হাতিয়ে নেন। প্রিন্সিপাল এ কথা জানতেন না। যখন জানাজানি হয়ে যায় তখন নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রিন্সিপাল কলেজ কমিটি এবং টিচারদের নিয়ে মিটিং-এ আনোয়ার উদ্দিনের জালিয়াতের কথা প্রকাশ করে দেন। তিনি দোষ  স্বীকার করে নেন,যার টাকা তাকে ফেরত দেয়ার অঙ্গীকার করেন।

আজ দিবেন কাল দিবেন কাল দিবেন করে আনোয়ার উদ্দিন সেই ছেলেকে অনেক দিন নাকে দড়ি লাগিয়ে ঘোড়ান। প্রতিবারেই এতো মিষ্টি করে কথা বলেন যে,পাওনাদার জোর গলায় কিছু বলতে পারে না।

আনোয়ার উদ্দিনের মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছে। গায়ে হলুদের দিন বেশ কয়েকজন ছেলে নিয়ে পাওনাদার হাজির। আনোয়ার উদ্দিন তাদের এত বোঝানোর চেষ্টা করে যে,মেয়ের বিয়ের পর তার টাকা পরিশোধ করে দিবে। কিন্তু পাওনাদার কিছুতেই রাজি নয়। এই হট্টগোল অন্দর মহলে গিয়ে পৌছায় বাতাসের গতিতে। হলুদ বাটা বন্ধ হয়ে যায়।

 

Likes Comments
০ Share

Comments (0)

  • - এ.টি. নূর শেখ লিটা

    শুভকামনা+ভোট রইল emoticons

    - দীপঙ্কর বেরা

    বাংলাদেশ দেখলাম । ভোট 

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      ধন্যবাদ দাদা