Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

লিপু রহমান

৭ বছর আগে লিখেছেন

জনতা পাঠাগার

জনতা পাঠাগার

একটি অলাভ জনক সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান

লিপু রহমান

 

ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য,প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রিন্ট মিডিয়ার বদলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইলেকট্রিক মিডিয়া। মানুষ এখন যে কোন তথ্যের ব্যাপারে ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করে। ঠিক এই সময়ে কিছু লক্ষ্যকে সামনে রেখে গড়ে উঠেছে জনতা পাঠাগার। কারণ বই হলো সমস্ত জ্ঞানের ভাণ্ডার। সৃজনশীলতার ভাণ্ডার। বই-ই পারে মানুষকে সমস্ত জালা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে। বই-ই পারে নিঃসঙ্গতাকে দূরে রাখতে। বই-ই পারে সমস্ত নেশার জগত থেকে মুক্তি দিতে। আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে একজন মানুষের পক্ষে সকল বই ক্রয় করে জ্ঞানার্জন করা সম্ভব নয়। তাই তো প্রয়োজন পাঠাগারের। এলাকা ভিত্তিক পাঠাগার।

 

২০১১ সালে ডিসেম্বর  মাসে কয়েকজন যুবক শিবলী সুহান লিপু,মোশারফ হোসেন স্বপন , বাবলু মিয়া,সেলিম হাওলাদার,নাজমুল হক মানিকসহ আরো কয়েক জন মিলে পাঠাগার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ছোট্ট একটি টিনের ঘরের মাধ্যমে ০১ জানুয়ারি,২০১২ সালে ভি- এইড,রোডস্থ পশুহাসপাতাল মোড়ে,অস্থায়ী ভিত্তিতে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাকালিন বই ছিলো ৫০টি। পাঠাগারটির দায়িত্ব দেয়া হয় কবি লিপু রহমান (শিবলী সুহান লিপু) কে। এরপর কবি লিপু রহমান সক্রিয় প্রচেষ্টায় প্রচেষ্টায় পাঠাগারটির পরিবর্তন আনেন। তার সংগৃহীত ৭০০ ( সাতশ) বই তিনি পাঠাগারকে দিয়ে দেন। শুধু তাই নয় পাঠাগারের কার্যালয়টি বড় করা থেকে শুরু করে সকল ফাণিৃচার,প্রতিদিনের পত্রিকার খরচ তিনি বহন করতেন । এর মধ্যে পাঠাগারে একটি অস্থায়ি সমিতি পরিচালনা করা হয়। এই সমিতির সদস্যরা পাঠাগারকে আর্থিত ভাবে কিছুটা সাহায্য করেছিল। এই অবস্থায় কর্মের প্রয়োজনে বেশ কয়েকজন সদস্য অন্যত্র চলে যায়। সেখানে এস যোগ দেয় শহীদুল ইসলাম রাখু,নূর মোহাম্মদ সহ আরো কয়েকজন।

 

বর্তমানে পাঠাগারে ২০/২৫ জন পাঠক যাতয়াত করে। স্থানীয় ও জাতীয় সহ প্রতিদিন ৬টি পত্রিকা রাখা হয়। এছাড়া সাপ্তাহিক,মাসিক ও সাময়িকী রাখা হয়। পাঠাগারের উদ্যোগে অনিয়মিত সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক জনতার স্বপ্ন  প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি সংখ্যা।

 

বর্তমানে পাঠাগারে সাত সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে পরিচালক কবি লিপু রহমান এবং সচিব শহীদুল ইসলাম রাখু। তাদের তত্বাবধানে পাঠাগারের উন্নয়ন এগিয়ে চলছে। অনিয়মিত প্রকাশনাকে নিয়মিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে মাসিক সাহিত্য আসর। পাঠাগারের উদ্যোগে লেখকদের বই প্রকাশ করছে। এছাড়া ছাত্রদের জন্য সাপ্তাহিক নলেজ শেয়ারিং শুরু হয়েছিল। যা বন্ধ হলেও অচিরে আবার চালু করার উদোগ নেয়া হয়েছে। নির্বাহী কমিটি এবং পাঠক সদস্য মিলে মাসিক চাঁদার ভিত্তিতে পাঠাগারের ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে। বর্তমানে পাঠাগারে শিশু শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্য বইসহ বারশত এর উপরে বই রয়েছে।

 

পাঠাগারটি যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গত কয়েক বছরে তার কিছুটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। বেশ কিছু যুবক রাস্তা ঘাটে,মোড়ে চায়ের দোকানে সময় কাটাতো। তারা ‌এখন পাঠাগারে বই পড়ে,পত্রিকা পড়ে সময় কাটায়। সুধীজন যেকোন তথ্যের জন্য এখন পাঠাগারে ছুটে আসেন। অস্থির এই সময়ে মানুষ বই পড়ার মাধ্যমে নিজেকে আবিস্কার করবে,মাদক থেকে,জুয়া থেকে,অশ্লীলতা থেকে একটি সুষ্ঠ ও সৃজনশীল সমাজ উপহার দেয়ায় জনতা পাঠাগারের লক্ষ্য। যা বিগত বছর গুলোতে দেখা গেছে এবং আগামীতে আরো গতিশীল হবে এলাকাবাসী তাই আশা করে।

 

Likes Comments
০ Share

Comments (0)

  • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

    "ইতিমধ্যে ২য় পর্বের লেখা গ্রহন শুরু হয়েছে। লিখতে থাকুন ২য় পর্বের জন্য পছন্দের বিষয় নিয়ে আর ভোট করুন প্রথম পর্বের নির্বাচিত লেখায়।"

    মাননীয় ব্লগ সঞ্চালক,

    একটু সংশোধন প্রয়োজন মনে করছি । উপরের কথাগুলো নিম্নরূপ হবে বলেই বিশ্বাস-

    "ইতিমধ্যে ৩য় পর্বের লেখা গ্রহন শুরু হয়েছে। লিখতে থাকুন ৩য় পর্বের জন্য পছন্দের বিষয় নিয়ে আর ভোট করুন দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচিত লেখায়।"

    - ব্লগ সঞ্চালক

    অনেক ধন্যবাদ। সংশোধন করা হয়েছে।