প্রাককথন
সাধারণত বাংলা নববর্ষ আসলে এ জনপদের সচেতনমহল হিসাবে পরিচিত লোকসকল নিজেদের এবং চারপাশের জনগোষ্ঠীর লোকায়ত শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং বিকাশের ভাবনাক্রান্ত হয়ে পড়ে। আমরাও এর বাইরে আসতে না পেরে বহুজাতিক বাংলাদেশে যে ৪৫টি (মতান্তরে ৭৫টি) আদিবাসী জাতিসত্তার লোকসকল বসবাস করে, তাদের রয়েছে বৈচিত্র্যময় ইতিহাস, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বিকাশের ভাবনায় করণীয় নির্ধারণে সচেষ্ট হয়েছি। প্রকৃত সত্য হলো, আমার এবারের নববর্ষের ভাবনা মূলত আদিবাসীদের লোকায়ত শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং বিকাশকে কেন্দ্র করে তাড়িত হয়েছে। কারণ বর্তমানের আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসী থাবায় হারিয়ে যাচ্ছে এসকল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আর তাই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অগ্রসরমান অংশ তাদের সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব রক্ষার সংকটে উদ্বিগ্ন। বস্তুতপক্ষে এক ধরনের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা থেকেই জুম ঈসথেটিকস কাউন্সিল (জাক) রাঙামাটিতে নববর্ষের প্রাক্কালে আয়োজন করে আসছে (যথাসম্ভব ১৯৯৮সাল থেকে) আদিবাসী সংস্কৃতি মেলা। যে পাঁচটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মেলার আয়োজন করে তা হলোÑ
ক. আদিবাসী জাতিসত্তাসমূহের ইতিহাস, ঐতিহ্য বৈচিত্র্যময় কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ বিকাশ ও লালন করা।
খ. আদিবাসী জাতিসত্তাসমূহের বিলীনপ্রায় ঐতিয্যপূর্ণ সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করা।
গ. বিলুপ্তপ্রায় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নানাবিধ উপাদান প্রদর্শনের মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা।
ঘ. সচেতন অংশের সঙ্গে তৃণমূল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সুদৃঢ় জনসংযোগ স্থাপন করা।
ঙ. আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতি তথা আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির সেতু বন্ধন রচনা করা।
ধ্বংসোন্মুখ আদিবাসী সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের ক্ষেত্রে আদিবাসীদের নিজস্ব উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে এবং সরকার, বেসরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কাছে তাদের প্রত্যাশা এবং আমাদের করণীয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে আমি একাধিক বার এই আদিবাসী সংস্কৃতি মেলায় অংশগ্রহণ করেছি। কথা বলেছি, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অগ্রসরমান অংশের সঙ্গে।
এই অভিজ্ঞতার তুলে ধরতে চাই, এবারের... continue reading
সাধারণত বাংলা নববর্ষ আসলে এ জনপদের সচেতনমহল হিসাবে পরিচিত লোকসকল নিজেদের এবং চারপাশের জনগোষ্ঠীর লোকায়ত শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং বিকাশের ভাবনাক্রান্ত হয়ে পড়ে। আমরাও এর বাইরে আসতে না পেরে বহুজাতিক বাংলাদেশে যে ৪৫টি (মতান্তরে ৭৫টি) আদিবাসী জাতিসত্তার লোকসকল বসবাস করে, তাদের রয়েছে বৈচিত্র্যময় ইতিহাস, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বিকাশের ভাবনায় করণীয় নির্ধারণে সচেষ্ট হয়েছি। প্রকৃত সত্য হলো, আমার এবারের নববর্ষের ভাবনা মূলত আদিবাসীদের লোকায়ত শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং বিকাশকে কেন্দ্র করে তাড়িত হয়েছে। কারণ বর্তমানের আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসী থাবায় হারিয়ে যাচ্ছে এসকল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। আর তাই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অগ্রসরমান অংশ তাদের সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব রক্ষার সংকটে উদ্বিগ্ন। বস্তুতপক্ষে এক ধরনের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা থেকেই জুম ঈসথেটিকস কাউন্সিল (জাক) রাঙামাটিতে নববর্ষের প্রাক্কালে আয়োজন করে আসছে (যথাসম্ভব ১৯৯৮সাল থেকে) আদিবাসী সংস্কৃতি মেলা। যে পাঁচটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মেলার আয়োজন করে তা হলোÑ
ক. আদিবাসী জাতিসত্তাসমূহের ইতিহাস, ঐতিহ্য বৈচিত্র্যময় কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ বিকাশ ও লালন করা।
খ. আদিবাসী জাতিসত্তাসমূহের বিলীনপ্রায় ঐতিয্যপূর্ণ সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করা।
গ. বিলুপ্তপ্রায় কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নানাবিধ উপাদান প্রদর্শনের মাধ্যমে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা।
ঘ. সচেতন অংশের সঙ্গে তৃণমূল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সুদৃঢ় জনসংযোগ স্থাপন করা।
ঙ. আদিবাসী সংস্কৃতির সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতি তথা আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির সেতু বন্ধন রচনা করা।
ধ্বংসোন্মুখ আদিবাসী সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও বিকাশের ক্ষেত্রে আদিবাসীদের নিজস্ব উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে এবং সরকার, বেসরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কাছে তাদের প্রত্যাশা এবং আমাদের করণীয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে আমি একাধিক বার এই আদিবাসী সংস্কৃতি মেলায় অংশগ্রহণ করেছি। কথা বলেছি, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অগ্রসরমান অংশের সঙ্গে।
এই অভিজ্ঞতার তুলে ধরতে চাই, এবারের... continue reading