Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

তামান্না তাবাসসুম

৮ বছর আগে লিখেছেন

আমার সবাই আদর্শ ছাত্র!

আমরা বাঙালিরা আর যা-ই হই-না-হই সবাই আর্দশ ছাত্র। স্যারের কথার বাইরে জীবনে আমরা এক পা-ও এগোই না। কাসে যার রেজাল্ট যেমনি হোক না কেন, জীবন চলাতে আমরা সবাই স্যারের দেখানো পথেই চলি। তা সে অফিসের বড় সাহেব বা পাড়ার ছিঁচকে চোর যে-ই হোক না কেন। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? চলেন তবে প্রমাণ সমেত উপস্থাপন করি: বের হতে-না-হতেই সামনে পড়ল ‘টো টো মকবুল’।
-কিরে তুই সারা দিন আড্ডা, ঘোরাঘুরি আর অন্ন ধ্বংস ছাড়া জীবনে কি কিছুই করবি না? মানলাম তিনবার অঙ্কে ফেল মারছিস, অন্য কিছু তো চেষ্টা করবি, নাকি?
-কস কী মমিন ! স্যারই তো কইছিল যে, ‘তর দ্বারা কিচ্ছু হইব না’। আমি কি উনার ভবিষ্যৎবাণী বৃথা যাইতে দিতে পারি, ক?
বহু দিন পর গ্রামের চায়ের দোকানে দেখা গেল এককালের ভালো ছাত্র জামিল সাহেবকে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর থেকে তিনি আর কোনো যোগাযোগ রাখেননি পুরনো বন্ধুদের সাথে। কেন এমন স্বার্থপরের মতো কাজ করেছিলেন প্রশ্ন ছুড়তেই কবি নীরব হয়ে গেলেন। তাকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে তার সাবেক বন্ধু চায়ের দোকানদার বলে উঠল, ‘হের কোনো দোষ নাই। ছোটোকালে স্যারই তো কইত, ভালোমতো লেখাপড়া কর, নাইলে এখন যারা তোগো দোস্ত; তারা যখন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হইব, তখন তগোরে চিনবই না। তরা ওগোরে তখন স্যার স্যার করবি।’
-মানলাম। উনি নাইলে যোগাযোগ করে নাই কিন্তু আপনাদের দিক থেকেও তো রাখতে পারতেন।
-ইয়ে মানে, আসলে আমাগো মাথায়ও স্যারের ওই কথাগুলাই ঘুর ঘুর করত, তাই আর সাহসে কুলায় নাই।
এরই মধ্যে চায়ের দোকানে হাজির ছাত্রনেতা শামসু ভাই। অপনেন্ট পার্টি থেকে শুরু করে অবাধ্য জুনিয়র, বাকির টাকা চাইলে দোকানদার যে কাউকে পেটাতে তিনি সিদ্ধহস্ত। ‘মাইরের ওপরে ওষুধ নাই’ স্কুলের স্যারের সেই ডায়ালগই এখন তার পথ... continue reading
Likes Comments
০ Shares

তামান্না তাবাসসুম

৮ বছর আগে লিখেছেন

চিকি মাংকি

-এই চিকিমাংকি...।মামা তোকে তো চেনার ই উপায়নাই (পিঠ চাপকে)
- এত্তদিন পর ! শালি এখনও এই নাম এ ডাকলি...
-এভাবে কাউ ভুলে যায়? যা হোক, এই পিচ্চি কে?
-চুপ ও ক্লাস  9এ পড়ে, আমার gf,  আমাকে দেখিএ মেয়েটাকে বলে, আমার কলেজের দোস্ত  
এদিকে মেয়ে টা রাগ এ ফুসতে  থাকে।তুমি নাবলেছ তুমি মেয়েদের সাথে কথা বল না, তাহলে এ কে? তোমার  গায়ে হাত দিল কেন? বলাই হাটা আরম্ভ।
সিজানও বেবি বেবি বলে পিছু হাটা শুরু করে।পিছন ফিরে বলে, দোস্ত মান্দ করিস না, এলাকায় গেলে তোর বাসায় ঢূ মারব ।  
আমি থ মেরে দাড়িএ থাকি...
কিন্তু দাড়িয়ে থাকলে চলবে না। বাসায় গিয়ে সব গোছগাছ করতে হবে। কাল রওনা দেবো চিটাগাং। মালিহার বিয়ে।
বাসে চড়ে পড়লাম। জানালার পাশের সিটটা পেয়ে গেলাম। চোখের সামনে ভেসে উঠছে কলেজের সেই স্বপ্নের মতো দিনগুলো। আমি, ইলা, মালিহা আর রিয়া ছিলাম ভিন্ন দেহ, এক প্রাণ। সবাই লক্ষ্মী মেয়ে হিসেবে চিনলেও ভেতরে ছিলাম শয়তানের হোল কিউব।
কলেজ শুরুর দিন থেকেই আমরা কাসের ছেলেমেয়েদের অদ্ভুত সব নাম দেয়া শুরু করি। এই যেমন ডেডবডি, ধামড়াভাই, ডাইনি বুড়ি, ডিম্ববতী, দস্যু সরদার, হেডেক, স্যালাইন, কমন ফেইস, চিকি মাংকি ইত্যাদি। কিন্তু আমরা চারজন ছাড়া বাইরের কেউ এটা জানতো না।
মালিহা সব সময় নিজেকে নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগতো। ওর মুখে অনেক তিলের মতো দাগ ছিল। এ জন্য ইলা ওকে ফুটিফাটা বানু বলে ডাকতো।
আমার কাজ ছিল ওকে সান্তনা দেয়া আর রিয়ার কাজ ওর জন্য লেজার সার্জারির পেপার কাটিং সংগ্রহ করা।
একবার মালিহা একটা বিষয় নিয়ে আমাদের সঙ্গে ঝগড়া লেগে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। তখন ওর একটা নোটের দরকার পড়ে।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (6)

  • - সোহেল আহমেদ পরান

    বাস্তব প্রেক্ষাপটে সুন্দর লেখা 

তামান্না তাবাসসুম

৮ বছর আগে লিখেছেন

প্রেম

ভাগ্যিস তুই আছিস তাই
রোবটিক লাইফ চাঁদ খোঁজে
মিষ্টি কথায়, ব্যস্ত দিনের ক্লান্তি দূর
ঘুরে ফিরে আয়না দেখা
মুঠোফোনে ফিসফাস।
আছিস বলেই কখনো আবার
ধুত্তুরি ছাই ভাললাগেনা
পান থেকে চুন খসলেই মনোমালিন্য
খানিক পরেই রঙ্গে ঢঙ্গে মান ভাঙ্গানো
দেরি করে আসলি কেন
আজই শেষ, আর কথা নেই
তারপরে ঘুম পলাতক
চোখ ছলছল
আরেকবার সাধলে ফেরার আশা।
তবুও তুই আছিস বলেই
বিশেষ দিন আরও একটু বিশেষ
মিলেশিশে স্বপ্ন বোনা
খাখা রোদ্রে রিক্সা ভ্রমণ
অম্ল মধূর যাপিত জীবন...।

continue reading
Likes Comments
০ Shares