আমি শিখেছিলাম ‘মানুষ মানুষের জন্য’ অথচ এই বাক্যটি সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়েছে অন্তত খড়খুটোড় জীবনে ।
আমার মা যখন খাদ্যনালীর ক্যান্সারে ভুগছিল হাসপাতালের বিছানায়, তখন আমি ঈশ্বর-প্রেমী কোনো মানব-মানবী পাইনি আমাকে একটু সান্তনা দেবার জন্য ।
আমার যে চাচা চালের আড়ৎ এর মালিক, তিনিতো আমার মায়ের হাতের ভাত ছাড়া অন্য কারো হাতে ভাত-ই খায়নি । আমার মায়ের সাথে রঙ্গে ঢঙে মেতে থাকত তিনি, অথচ আজ তাঁর হাসপাতালে যাওয়ার জন্য এতটুকু সময় নেই ,সে মহা ব্যস্ত হয়ে গেছে ।
আর আমি ! আমি শিক্ষক । আমাকে সবাই সম্মান করে । ওই সম্মান বেঁচেই আছি । কিন্তু আমার মা ! আমার মা কি আমার সম্মানের চেয়ে কম ?
আমার যে বন্ধুটি কলেজ না পড়ে আমাকে আঙুল দেখিয়ে বিদেশ চলে গিয়েছিল সে তাঁর মা কে শহরের আলিশান ফ্ল্যাটে রেখেছে । একজন ব্যক্তিগত ডাক্তার রেখেছে । সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করে একজন সেবিকা ।
আমার মায়ের ছল ছল চোখের ভাষা বলছে ইমু- বাবা ! আমি তোকে অন্ধকার থেকে আলোতে এনেছি । পরের বাড়ি কাজ করে পড়ালেখা শিখিয়েছি । তর জন্যই জীবনের পুরুটা সময় ব্যয় করেছি । অথচ আজ তুই আমাকে সামান্য হাসপাতাল থেকে নিতে পারছিস না !
আমি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কাছে গিয়েছি কিন্তু হতাশ । সেদিন ঈশ্বরের সভায় সিদ্ধান্তের কোনো রদবদল হয়নি । ঈশ্বর হাসিমুখে তাঁর খেলা খেলে গেছেন ।
Comments (6)
সুন্দর অনুভতির কথা
শুভ কামনা দাদা