ভাষান্তর: খসরু নোমান
সংগীত শুধু বিনোদনের অংশই নয়, মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি একে রক্ষায়ও ভূমিকা রাখে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, কম বয়সে সংগীত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরবর্তী জীবনে বক্তব্য শ্রবণ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, বাচনভঙ্গির বিকাশে গানের ভূমিকা রয়েছে। ওই গবেষক দলের প্রধান জানান, মস্তিষ্কের সৃজনশীল অংশের বিকাশের সঙ্গে সংগীত সংশ্লিষ্ট তৎপরতার যোগসূত্র রয়েছে। সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে, সংগীত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মস্তিষ্কের স্থিতিস্থাপকতা শুধু যে কমবয়সীদের ক্ষেত্রেই বাড়ে তাই নয়, বয়স্ক মস্তিষ্কের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। নিউরোসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে পরবর্তী ১০ বছর সংগীত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেখা গেছে, মস্তিষ্কের যে বিশেষ অংশ কথা বলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তার উন্নতি হয়েছে। কথা বলার ক্ষমতা বাড়াতে সংগীতের রয়েছে অনন্য ভূমিকা। তাই গান বা সংগীতকে হেলাফেলা বা শুধু বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা না করাই শ্রেয়। কানাডার বেক্রাস্ট হেলথ সায়েন্সের অন্তর্ভুক্ত রটম্যান রিসার্চ ইনস্টিটিউট সম্প্রতি সংগীত ও মস্তিষ্ক সংশ্লিষ্ট এ গবেষণাটি পরিচালনা করে।
সায়েন্স ডেইলি