চাকরীটা ভালো ছিলনা
ওরা আমার মরালীটি বেচতে চাই,
খুব ভালো ফ্ল্যাটের আবছায়ায়
আমার চেহারা নাকি খুব বেশি মানায়।
ওরা আমার চামড়াটাকে কাজে লাগিয়ে
আমার মিষ্টি ভাষাকে পূঁজি করে
আমাকে বেঁচে দিতে চাই,
তাই ছেড়ে দিলাম- - কারণ
চাকরীটা ভালো ছিল না একদম।
বের হলাম অফিসের ব্যাগ হাতে
গলায় এখনো ওদের দেওয়া চিহ্ন,
হঠাৎ , কোমল হাওয়া ছুঁয়ে গেল
একে একে সব খুললাম।
আমার ব্লেজার, ওদের চিহ্ন, আবার আমার...
এমনকি হাতের ঘড়িটাও বাদ পড়লো না।
আহ! কি অসাধারণ ভালো লাগা
এতো মিষ্টি রোদ আর কোমল হাওয়া
মনে হয় কেউ যেন আদর করছে!
খুব চেনা লাগছে ওকে, মনে হচ্ছে
ও আমাকে ছোট্ট থেকে চেনে
আমার গ্রাম থেকে উঠে এসেছে ও,
আচ্ছা! ও এ পথ পেল কোথায়?
ধীরে ধীরে আমি ওর গভীরে মিশে যাচ্ছি
ও আমাকে আরও আপন করে নিচ্ছে,
কি চিরচেনা এক আলিঙ্গন!
সামনে আবার ব্যস্তময় রাস্তা
ধুলা-ময়লা, হর্ন, সব কিছুর আভাস পাচ্ছি
ছাড়তে ইচ্ছা হচ্ছে না এই কমলতাকে,
এই ধূলার ব্যস্ত শহরে
নোংরামিতে ফাঁদ পেতে বসে থাকে,
পচা সব মানুষের শরীরের গন্ধ!!!
এর মাঝে এই কমলতা
এ পথ ও পেল কোথায়? এ স্বপ্নের রাস্তা?
ওকে ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না একদম।
কিন্তু ছাড়তে যে হবেই
আমি মনোবাসনা ভুলে গেছি
আমি আজ কবি নয়, আমার হুশ আছে,
ইস! যদি কবি হতে পারতাম!
যদি আমাকেও বেহুশ বলত সবাই!
থাক, আর মায়া না বাড়ায়
যেতে যে হবেই!
তবে যাওয়ার বেলায় একটা নাম...
কি নাম দেয় ওর?
কোমলদেবী? না ঠিক মিলছে না
তাহলে একটা বানায়--- নতুন নাম হবে
আচ্ছা থাক, অন্য একদিন, আজ আর না
সময় ডাকছে সামনে,
তবে একটা আফসোস!
ইস! যদি কবি হতে পারতাম!
তবে সারাজীবন ওর বুকে থাকতে পারতাম...!!!