Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ইনজামুল হক

৯ বছর আগে লিখেছেন

অদৃশ্য মায়াজাল (প্রতিযোগিতা, ক্যাটাগরি-৩, পর্ব-৪)

আমরা প্রত্যেকে একটা জালের ভিতর আটকে গেছি। সবাই কোন না কোন অদৃশ্য বন্ধনের মধ্যে পড়ে আছি। কারো কাছে হয়তো সেটা উপলব্ধির বিষয়, কারো কাছে সব ঠিক ঠাক। জীবনের প্রত্যেকটা দিন কেটে যাচ্ছে এই বন্ধনের ভিতর দিয়ে। কেউ কেউ এই জালের স্পর্শকাতরে এতটাই প্ররোচিত যে বাইরে বের হয়ে আসতে পারে না। আবার অনেকেই এটাকে তাদের জীবন বলে আখ্যায়িত করে দিব্যি পার করে দিচ্ছে সময়ের চাকাটা। হতে পারে এই জালের আভাস কোন জাতি বা সমাজের নিয়ম, হতে পারে ধর্মের নিয়ম নীতি। আবার হতে পারে আমাদের তৈরি করা উচু-নিচু শ্রেনি বিন্যাস।
আমি প্রথমে সমাজের নিয়মের কথা বলি। তাহলে আগেকার সমাজের কথা দিয়েই শুরু করা যাক। আগেকার সমাজে তারাই আধিপত্য দেখাতো যাদের অর্থ সম্পত্তি ছিল। যাদেরকে আমরা গাঁয়ের মোড়ল বা মাতব্বর বলি। তখন তারাই সমাজের নিয়ম করে দিত। তারা যেটা বলত তা সে অন্যায় হলেও সবাইকে মেনে নিতে হতো। একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, তখন কোন মাতব্বরের ছেলে যদি কোন গরীবের মেয়েকে খারাপ কথা, আমি আরও সহজ বাংলায় বললে যদি ইজ্জত লুটত তবে মাতব্বর বিচারে বলত মেয়েটার দোষ। কেন সে তার গতর ঢেকে রাখেনি? সমস্ত দোষ গিয়ে পরত মেয়েটার উপর আর বাবা সেটা মুখ বুঝে সহ্য করে নিত (নিতে হতো)। এমনকি সবাইকে তা মেনে নিতে হতো। কারণ এটাই নিয়মের অংশ। তারা মাতব্বর এর বিরুদ্ধে কথা বলতে পারত না।
এখন আসি আমাদের সুশীল সমাজে। এখানকার সমাজ চালান আমাদের বিখ্যাত সমাজ সেবকরা। যারা আরও স্পষ্ট ভাবে রাজনীতিবিদ বলে পরিচিত। আর আমরা তাদের নেতা বলি! যখন তারা ক্ষমতায় থাকে তারা সমাজের অধিপতি আর তারাই নিয়ম গুলো তৈরি করে। খারাপ কোন কিছুর প্রতিবাদ করা যাবে না।... continue reading
Likes ১২ Comments
০ Shares

ইনজামুল হক

৯ বছর আগে লিখেছেন

ইস! যদি কবি হতাম

 
 
চাকরীটা ভালো ছিলনা
ওরা আমার মরালীটি বেচতে চাই,
খুব ভালো ফ্ল্যাটের আবছায়ায়
আমার চেহারা নাকি খুব বেশি মানায়।
ওরা আমার চামড়াটাকে কাজে লাগিয়ে
আমার মিষ্টি ভাষাকে পূঁজি করে
আমাকে বেঁচে দিতে চাই,
তাই ছেড়ে দিলাম- - কারণ
চাকরীটা ভালো ছিল না একদম।
 
বের হলাম অফিসের ব্যাগ হাতে
গলায় এখনো ওদের দেওয়া চিহ্ন,
হঠাৎ , কোমল হাওয়া ছুঁয়ে গেল
একে একে সব খুললাম।
আমার ব্লেজার, ওদের চিহ্ন, আবার আমার...
এমনকি হাতের ঘড়িটাও বাদ পড়লো না।
আহ! কি অসাধারণ ভালো লাগা
এতো মিষ্টি রোদ আর কোমল হাওয়া
মনে হয় কেউ যেন আদর করছে!
খুব চেনা লাগছে ওকে, মনে হচ্ছে
ও আমাকে ছোট্ট থেকে চেনে
আমার গ্রাম থেকে উঠে এসেছে ও,
আচ্ছা! ও এ পথ পেল কোথায়?
ধীরে ধীরে আমি ওর গভীরে মিশে যাচ্ছি
ও আমাকে আরও আপন করে নিচ্ছে,
কি চিরচেনা এক আলিঙ্গন!
 
সামনে আবার ব্যস্তময় রাস্তা
ধুলা-ময়লা, হর্ন, সব কিছুর আভাস পাচ্ছি
ছাড়তে ইচ্ছা হচ্ছে না এই কমলতাকে,
এই ধূলার ব্যস্ত শহরে
নোংরামিতে ফাঁদ পেতে বসে থাকে,
পচা সব মানুষের শরীরের গন্ধ!!!
এর মাঝে এই কমলতা
এ পথ ও পেল কোথায়? এ স্বপ্নের রাস্তা?
ওকে ছাড়তে ইচ্ছে হচ্ছে না একদম।
 
কিন্তু ছাড়তে যে হবেই
আমি মনোবাসনা ভুলে গেছি
আমি আজ কবি নয়, আমার হুশ আছে,
ইস! যদি কবি হতে পারতাম!
যদি আমাকেও বেহুশ বলত সবাই!
থাক, আর মায়া না বাড়ায়
যেতে যে হবেই!
 
তবে যাওয়ার বেলায় একটা নাম...
কি নাম দেয় ওর?
কোমলদেবী? না ঠিক... continue reading
Likes Comments
০ Shares