স্বাধীনতা! সে তো নয়কো স্বাধীনতা-
নতুনত্বে নিত্য ঠাসা নব্য পরাধীনতা।।
ফুলরে বল, “স্বাধীন তুমি?”
বলবে হেলে দুলে!
সময় ভারে ন্যূহ্য আমি
নেইকো সুবাশ ফুলে।
আকাশরে বল, “স্বাধীন তুমি?”
বলবে নেচে গেয়ে-
মহাশুন্যের সপ্তপালে নাভীশ্বাসে চলি
কোথায় পাবো মুক্ত গঙ্গা।।
-স্বাধীনতার আঁখি?
পাখিরে বল, “স্বাধীন তুমি?”
ব্যাস্ত সারস চোখে....
দূর সীমানা প্রান্ত খুঁজে
মুক্ত বিলাস টুটে!!
নাই সীমানা, নাই ঠিকানা-
দিবা-নিশি ভরে
সাইবেরিয়ার শীত ভুলে যাই
বঙ্গ পুরে ঘুরে!!
নদীরে তুমি বল, “স্বাধীন তুমি?”
স্রোতস্বীনি চলছে ধেয়ে
মিলন সঙ্গমে
রুদ্র-আধার কালবৈশাখী
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে।।
তীর ভেঙ্গে যায়, কুল ভেঙ্গে যায়
নগ্ন বাণ জলে
ত্রিলোক, নৃ-লোক,ধাঁধার গোলক
কর্মচাঞ্চল্যে।।
স্বাধীনতার সূক্ষ্য হিসাব
মন্ত্র বাৎসল্য
খগোল, ভূগোল ত্রিসীমানায়-প্রভুর রাজত্ব।।
রাষ্ট্র বল, গ্রহ বল
মানব, দানব, জীব, জড় -সবই অপোক্ত।।
বৃক্ষ, লতা, তরু কহে
সুরলহরীর গান
মর্ত্যলোকে পরাধীনতা-
সত্তা মহাপ্রাণ।।
পরলৌকিক মুক্তি বিলাস
স্বাধীনতার দান
জীবন, যৌবন সব বিলিয়ে
রাখবো তাহার মান।।