ভার্সিটিতে সেমিস্টারভিত্তিক পড়াশুনায় সময় যেন রকেটের গতিতে ছুটে চলে। প্রতিটি সেমিস্টারে চার চারটি মাস এত দ্রুত শেষ হয়ে পরীক্ষার তারিখ চলে আসে যে নাভিশ্বাস উঠে যায়।
তুপা সেই ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে। সারা দিনের রান্না চড়িয়ে দিয়ে বাচ্চাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য এবং হাজবেন্ডকে অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরী করিয়ে নিজে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়। মতিঝিল থেকে সকাল আটটার আগেই বেরুতে না পারলে আজিমপুর জামিলা খাতুন গার্লস স্কুলে এসেম্বলীর আগে পৌঁছুনো যায় না। গণিতের সহকারী শিক্ষিকা ও। প্রথম ক্লাসটাই ওর। তাই কোনভাবেই মিস করা যায় না। সারাদিনের কর্মব্যস্ত দিনের শেষ হয় বিকেল ৪টায়। সেখান থেকে তড়িঘড়ি ছুটতে হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটির সান্ধ্যকালীন এম এড ক্লাস করার জন্য। সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে রাত ন’টা সোয়া ন’টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। পর পর তিনটা ক্লাস। এম এড এর বিষয়গুলো যেরকম নতুনত্বের তেমনি সেগুলোর কোন নির্দিষ্ট বই সাজেস্ট করা নেই। যে কারণে ক্লাসে খুব মনযোগী হয়ে লেকচার শুনতে হয়। এবং সেই সাথে নোটসও টুকে নিতে হয়। সারাদিনের ক্লান্তির পরে রাতের ক্লাসে মনযোগ দেয়া কষ্টকর হয়ে যায়। তবু চেষ্টা করে সবকিছু লিখে নেয়ার। কিন্তু একই সাথে শোনা এবং লেখায় লেকচার বুঝতে কষ্ট হয় অথবা কিছু পয়েন্ট মিস হয়েই যায়।
এই সমস্যা নিরসনে কয়েকদিন মোবাইল ফোনে লেকচার রেকর্ড করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তা বাসায় নিয়ে গিয়ে দেখেছে অনেক কথাই পরিস্কার শুনা যায় না।
ছুটির দিন বাসায় বসে তুপা ফেসবুকে বান্ধবীর সাথে চ্যাটিং করছিলো। আর ফাঁকে ফাঁকে হোম পেজ দেখছিলো। হোম পেজে একটা বিজ্ঞপ্তি চোখে পরলো। একটা কলম, হাত ঘড়ি আর সানগ্লাস।
ছবিগুলোর উপরে বড় করে লেখা স্পাই ভিডিও ক্যামেরা।
তুপা একটু... continue reading
তুপা সেই ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে। সারা দিনের রান্না চড়িয়ে দিয়ে বাচ্চাকে স্কুলে যাওয়ার জন্য এবং হাজবেন্ডকে অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরী করিয়ে নিজে স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হয়। মতিঝিল থেকে সকাল আটটার আগেই বেরুতে না পারলে আজিমপুর জামিলা খাতুন গার্লস স্কুলে এসেম্বলীর আগে পৌঁছুনো যায় না। গণিতের সহকারী শিক্ষিকা ও। প্রথম ক্লাসটাই ওর। তাই কোনভাবেই মিস করা যায় না। সারাদিনের কর্মব্যস্ত দিনের শেষ হয় বিকেল ৪টায়। সেখান থেকে তড়িঘড়ি ছুটতে হয় ঢাকা ইউনিভার্সিটির সান্ধ্যকালীন এম এড ক্লাস করার জন্য। সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে রাত ন’টা সোয়া ন’টা পর্যন্ত ক্লাস হয়। পর পর তিনটা ক্লাস। এম এড এর বিষয়গুলো যেরকম নতুনত্বের তেমনি সেগুলোর কোন নির্দিষ্ট বই সাজেস্ট করা নেই। যে কারণে ক্লাসে খুব মনযোগী হয়ে লেকচার শুনতে হয়। এবং সেই সাথে নোটসও টুকে নিতে হয়। সারাদিনের ক্লান্তির পরে রাতের ক্লাসে মনযোগ দেয়া কষ্টকর হয়ে যায়। তবু চেষ্টা করে সবকিছু লিখে নেয়ার। কিন্তু একই সাথে শোনা এবং লেখায় লেকচার বুঝতে কষ্ট হয় অথবা কিছু পয়েন্ট মিস হয়েই যায়।
এই সমস্যা নিরসনে কয়েকদিন মোবাইল ফোনে লেকচার রেকর্ড করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তা বাসায় নিয়ে গিয়ে দেখেছে অনেক কথাই পরিস্কার শুনা যায় না।
ছুটির দিন বাসায় বসে তুপা ফেসবুকে বান্ধবীর সাথে চ্যাটিং করছিলো। আর ফাঁকে ফাঁকে হোম পেজ দেখছিলো। হোম পেজে একটা বিজ্ঞপ্তি চোখে পরলো। একটা কলম, হাত ঘড়ি আর সানগ্লাস।
ছবিগুলোর উপরে বড় করে লেখা স্পাই ভিডিও ক্যামেরা।
তুপা একটু... continue reading