তুমি আসবে বলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছি বাগানে। আগাছা জমে-জমে কষ্টের পাহাড় হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে বকুল ফুল গাছের ছোট্ট বাচ্চাটি। জানো, খুব খারাপ লাগছে সে-থেকে। কষ্ট গড়া-গড়ি খাচ্ছে আবেগের বিছানায়। কিন্তু জেনে অবাক হবে বকুল গাছ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে গেছে। এক ফোটা বৃষ্টি ঝরে পরেনি তার শরীর বেয়ে, সে তার মনকে পাথরের চাইতেও শক্ত করে ফেলেছে। আচ্ছা বলতো আমি বৃক্ষ হতে পারবো কবে? কবে আমার মনে ফুটবে পাথরের বীজ! তুমি বুঝলে তো আমি কোন বকুল ফুলের কথা বলছি? মনে আছে ওই দিনগুলোর কথা, তুমি আমাকে দিলে একটি গোলাপ। আমিও তুলে নিলাম হাতে, গোলাপের কাঁটা জোঁকের মত চুষে নিল আমার রক্ত; আরেকটু সতেজ থাকবে বলে। আমি তোমাকে বলেছিলাম, আমাকে তুমি গোলাপ দিও না; দিও বকুল ফুল। ভেবে-চিন্তেই বলেছিলাম কথাটা; অকালে সব ফুল পাওয়া যায় না তাই। সত্যি বলতে ওটা ছিল তোমার ভালোবাসার আকারবিহীন পরীক্ষা। হয় হার না হয় জিত। তুমি কি করলে! আমাকে উপহার দিলে বকুল ফুল গাছ আর বলেছিলে, কাল আসলে ফুল ফুটবে আমাদের ভালোবাসার টবে। যত্ন করো প্রিয়তমা, রেখ তোমার বিছার পাশে। যতদিন আমি তোমার হচ্ছিনা ততদিন সে আমার হয়ে তোমার পাশেই থাকবে। ঠিক ছিল, আজও আছে। যাওয়ার আগে বলেছিলে, যদি গাছটি বাচ্চা দেয় তাও যত্ন করবে, ভেবে নিবে দত্তক হিসেবে সে আমাদের হয় পুত্র না হয় কন্যা। আমি পারলাম না তোমার কথাটা রাখতে, খুব একা হয়ে গেলাম আবার। আমাদের বিবাহ বার্ষিকী দুই বছর ঘুরে তিন-এ না যেতে, তুমি নিজেই চলে গেলে দূরে, বহুদূরে। একবারের জন্যেও দীর্ঘশ্বাস ছুঁড়ে দিলেনা আমার বুকে, দোষটা তোমার ছিলনা; ছিল গভীর ঘুম খাওয়া আমার চোখগুলোর। রক্তজবা ফুলটাও একটু-একটু করে পরাজয় মেনে নিল...
continue reading
Comments (0)
valo laglo