Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

কবীর কবীর

৮ বছর আগে লিখেছেন

শোক ডায়রী

তুমি আসবে বলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছি বাগানে। আগাছা জমে-জমে কষ্টের পাহাড় হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে বকুল ফুল গাছের ছোট্ট বাচ্চাটি। জানো, খুব খারাপ লাগছে সে-থেকে। কষ্ট গড়া-গড়ি খাচ্ছে আবেগের বিছানায়। কিন্তু জেনে অবাক হবে বকুল গাছ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে গেছে। এক ফোটা বৃষ্টি ঝরে পরেনি তার শরীর বেয়ে, সে তার মনকে পাথরের চাইতেও শক্ত করে ফেলেছে। আচ্ছা বলতো আমি বৃক্ষ হতে পারবো কবে? কবে আমার মনে ফুটবে পাথরের বীজ! তুমি বুঝলে তো আমি কোন বকুল ফুলের কথা বলছি? মনে আছে ওই দিনগুলোর কথা, তুমি আমাকে দিলে একটি গোলাপ। আমিও তুলে নিলাম হাতে, গোলাপের কাঁটা জোঁকের মত চুষে নিল আমার রক্ত; আরেকটু সতেজ থাকবে বলে। আমি তোমাকে বলেছিলাম, আমাকে তুমি গোলাপ দিও না; দিও বকুল ফুল। ভেবে-চিন্তেই বলেছিলাম কথাটা; অকালে সব ফুল পাওয়া যায় না তাই। সত্যি বলতে ওটা ছিল তোমার ভালোবাসার আকারবিহীন পরীক্ষা। হয় হার না হয় জিত। তুমি কি করলে! আমাকে উপহার দিলে বকুল ফুল গাছ আর বলেছিলে, কাল আসলে ফুল ফুটবে আমাদের ভালোবাসার টবে। যত্ন করো প্রিয়তমা, রেখ তোমার বিছার পাশে। যতদিন আমি তোমার হচ্ছিনা ততদিন সে আমার হয়ে তোমার পাশেই থাকবে। ঠিক ছিল, আজও আছে। যাওয়ার আগে বলেছিলে, যদি গাছটি বাচ্চা দেয় তাও যত্ন করবে, ভেবে নিবে দত্তক হিসেবে সে আমাদের হয় পুত্র না হয় কন্যা। আমি পারলাম না তোমার কথাটা রাখতে, খুব একা হয়ে গেলাম আবার। আমাদের বিবাহ বার্ষিকী দুই বছর ঘুরে তিন-এ না যেতে, তুমি নিজেই চলে গেলে দূরে, বহুদূরে। একবারের জন্যেও দীর্ঘশ্বাস ছুঁড়ে দিলেনা আমার বুকে, দোষটা তোমার ছিলনা; ছিল গভীর ঘুম খাওয়া আমার চোখগুলোর। রক্তজবা ফুলটাও একটু-একটু করে পরাজয় মেনে নিল... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - পিয়ালী দত্ত

    valo laglo

কবীর কবীর

৮ বছর আগে লিখেছেন

চাওয়া-পাওয়া

এক রাশ ফুল ছিল,
রৌদে শুকিয়ে গেলো..

একটা অতৃপ্ত আত্মা ছিল,
খাঁচা ভেঙ্গে উড়ে গেলো..
কিছু গোপন কথা ছিল,
তাঁরা ভাষাহীন পথ বেছে নিল..
দুটো নয়ন খুব আপন ছিল,
অসীম সাগরে ডুব দিল..
খাতায় মাঝে মাঝে কবিতা লেখা হতো,
এখন কলমের কালি শেষ হয়ে গেল..
ছোট্ট একটা কুঁড়েঘর ছিল,
সেই ঘরখানা বন্যায় বিনীল হয়ে গেলো..
অনেক কিছু চাওয়ার ছিল,
তারা কি আজ নাপাওয়া কে বেছে নিল..
হ্যাঁ একসময় সবি ছিল,
আজ সব কিছু দেয়ালের জীর্ণ ছবি হয়ে রইল... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - পিয়ালী দত্ত

    darun

    • - নকল পুরুষ

      ধন্যবাদ আপনাকে আপু। 

কবীর কবীর

৮ বছর আগে লিখেছেন

আঁধারের চিত্রকর

আমি আঁধারে জোনাক দেখবো
মিটিমিটি আলো দিয়ে,
আঁকবো তোমার ছবি
দু'নয়নের নজরে পরে যাবে তুমি
আমায় ডেকে বলবে,
এই ভাবে চেয়ে আছো কেনো?
আমার লজ্জা লাগেনা বুঝি।

মুচকি হেসে আবার শুরু চিত্রকলা
রং তুলি দিয়ে নয়
মন তুলি দিয়ে ছবিখান গড়া;
জোনাকগুলো বড্ড বেশী অস্থির
তোমায় আঁকতে তুলি ছোঁয়াতে
জোনাকরা ছুটে যায় দিগ্বিদিক।
মনে হচ্ছে তুমি হাসতে হাসতে
বিলীন হয়ে গেলে আঁধারে,
তোমার একবিন্দুও অস্তিত্ব নেই
পরে রয়েছে কয়েক ফোঁটা রং
যা উড়ে-উড়ে ঘুরে বেরাচ্ছে।

তোমায় যতটুকু এঁকেছি আঁধারে
তা আর কেউ পারবে না,
তুমি যে শুধুই আমার
তোমার ছবিখান মনের বাহার
ভেবোনা পাগল কিংবা মাতাল
তোমার জন্যে নাহয় আমি
আঁধারের চিত্রকর হলাম।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - প্রলয় সাহা

    ওরা বলে - 
    দেখো দেখো নীচে কী সবুজ
    রৌদ্র আলোকিত হাসি আর উচ্ছ্বাসemoticons

    - Sadat Chowdhury

    সুন্দর

কবীর কবীর

৮ বছর আগে লিখেছেন

শেখ মুজিবুর রহমান

শেখ মুজিবুর রহমান (মার্চ ১৭, ১৯২০ - আগস্ট ১৫, ১৯৭৫) বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা যিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বিবেচিত। তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিতআওয়ামী লীগের সভাপতি, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জনসাধারণের কাছে তিনি "শেখ মুজিব" এবং "শেখ সাহেব" হিসাবে বেশি পরিচিত এবং তার উপাধি 'বঙ্গবন্ধু'। তার কন্যা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।   ১৯৪৭-এ ভারত বিভাগ পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতির প্রাথমিক পর্যায়ে শেখ মুজিব ছিলেন ছাত্রনেতা। ক্রমে তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃত্বের উচ্চপদে আসীন হয়েছিলেন। তার বড় গুণ ছিল তুখোড় বক্তৃতা প্রদানের ক্ষমতা। সমাজতন্ত্রের পক্ষসমর্থনকারী একজন অধিবক্তা হিসেবে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তনের জনগোষ্ঠীর প্রতি সকল ধরণের বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। জনগণের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি একসময় ছয় দফা স্বায়ত্ত্বশাসন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন যাকে পশ্চিম পাকিস্তানে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী পরিকল্পনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। ছয় দফা দাবীর মধ্যে প্রধান ছিল বর্ধিত প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসন যার কারণে তিনি আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের অন্যতম বিরোধী পক্ষে পরিণত হন।১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের সাথে যোগসাজশ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বিচার শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তিনি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় অর্জন করে। তথাপি তাকে সরকার গঠনের সুযোগ দেয়া হয় নি।   পাকিস্তানের নতুন সরকার গঠন বিষয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ জুলফিকার আলী ভুট্টোর সাথে শেখ মুজিবে আলোচনা বিফলে যাওয়ার পর ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মার্চ ২৫ মধ্যরাত্রে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকা শহরে গণহত্যা পরিচালনা করে। একই রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং... continue reading
Likes Comments
০ Shares

কবীর কবীর

৮ বছর আগে লিখেছেন

মধ্যবয়সী নারী

তুমি মুক্ত হতে চাও ভালোবাসার টানে,
উড়ে বেড়াতে ইচ্ছে হয়
হাজার যুবকের মনে।
পরখ করে দেখো-
ভালোবাসা কাকে বলে?
ভালোবাসা তোমার মুক্তাঙ্গন
তোমার হৃদয়ে জেগে আছে যৌবন;
বছর চল্লিশে পা দিয়েও-
তুমি রূপবতী, কেশবতী।
তুমি ভালোবাসার জগতে
এক নতুন অপ্সরী। continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - পিয়ালী দত্ত

    valo

    • - প্রলয় সাহা

      তাই বলি ভালবাসা পোষো,কান্না পোষো,বিষন্নতা পোষো, 
      খুব শখ হলে দু একটি পোষা প্রাণী, 
      তবু মানুষ পুষো না কোনদিন, 
      খুব ভূল করে হলেও মানুষ পুষো না কোনদিন। 

      দারুণ লিখেছেন। 

    • Load more relies...
    - মুদ্রা

    ধন্যবাদ :)

    - সুমন সাহা

    খুব ভালো লাগলো লেখা প্রিয়।

    অসাধারণ। অসাধারণ।

    শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।emoticons

    • - মুদ্রা

      ধন্যবাদ :)

Load more writings...