Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

দীপংকর চন্দ

৯ বছর আগে লিখেছেন

দেশখ্যাত শোলাকিয়া ময়দান

মানুষের ইচ্ছেমাফিক কিছু কিছু ঘটনা হয়তো ঘটে, কিন্তু অনেক ঘটনাই ঘটে তার হিসেবের বাইরে!
হিসেবের খাতায় যে অঙ্কটা কষে রওনা হয়েছিলাম আমরা, শেষ পর্যন্ত সেই অঙ্কটায় খুঁজে পাওয়া গেল গরমিল! যাত্রাপথের বিড়ম্বনায় অনেক দেরি হলো কিশোরগঞ্জ পৌঁছতে।
ছোটখাটো কাজ যা ছিল হাতে, সেরে নিতে নিতে চরাচরে নেমে এল অন্ধকার! সেই অন্ধকার গাঢ় থেকে গাঢ়তর হলো ক্রমে ক্রমে! ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও কিশোরগঞ্জেই করতে হলো রাত কাটাবার আয়োজন!
পরদিন যখন পথে নামলাম আবার, সকাল প্রায় দশটা তখন! ঈদের আনন্দের রেশ ফুরায়নি তখনো; তখনো কর্মচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে ওঠেনি কিশোরগঞ্জ সদর। রিকশা নিলাম আমরা। এগোলাম ঈশা খান রোড ধরে। মানসী সিনেমা হলো, নিউ মার্কেট পেছনে ফেলে স্টেশন রোড পৌঁছলাম। শহিদি মসজিদ পার হবার পর ঈদগাহ সড়ক। এই সড়ক ধরে কিছুক্ষণ চলার পর স্তম্ভাকৃতি তোরণের নীরব সম্ভাষণ!
পবিত্র কোরআনের বাণী খচিত সেই তোরণ অতিক্রম করলেই ঈদ জামাতের জন্য দেশখ্যাত শোলাকিয়া ময়দান!
বিখ্যাত এই ঈদগাহ ময়দানের অবস্থান কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে, বর্তমানে মৃতপ্রায় নরসুন্দা নদীর অববাহিকায়। এলাকাটিকে মানুষ শোলাকিয়া নামেই চেনে।
ঐতিহাসিক তথ্যমতে, মোগল আমলে এই পরগনার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। মোগল প্রশাসকরা সেই সূত্রে এর নাম দিয়েছিলেন ‘সোয়ালাখিয়া’।
পরবর্তী সময়ে এই সোয়ালাখিয়াই মানুষের মুখে মুখে পরিবর্তিত হয় শোলাকিয়ায়।
কিন্তু শোলাকিয়া নামকরণের জনপ্রিয় তথ্যটি ভিন্ন, জানালেন হায়াত উল্লাহ মেহেদী। ময়দানের পশ্চিম পাশেই বাড়ি তার।
জনপ্রিয় সেই তথ্যটি কি? ময়দানের ভেতরে প্রবেশ করতে করতে জানতে চাইলাম আমরা।
মেহেদী জানালেন, বারো ভূঁইয়ার অন্যতম দেওয়ান ঈশা খাঁর বংশের একটি শাখা এখনো বসবাসরত এই কিশোরগঞ্জে। ১৮২৭ সালে ঈশা খাঁর বংশের সেই শাখার ১২তম পুরুষ দেওয়ান আজিম দাঁদ খান এবং দেওয়ান রেহমান দাঁদ খান... continue reading
Likes Comments
০ Shares