মানবতা_আর_বাস্তবতা
আজ ধানমন্ডি ল্যাব এইড থেকে বাসায় আসতেছি, অনেক চেষ্টা করে একটা লেগুনায় ঝুলে উঠে পরলাম, আমার পাশেই লেগুনার হেলপার হিসেবে ছিল ৮ বছরের একটা ছেলে,রাত তখন ৯ টা নাগাত। তার সাথে কথার প্রসঙ্গে জানা গেল তার নাম "অনিক" থাকে কাউরান বাজারের পাশের বস্তিতে, বাবা নাই, মা বাড়ি বাড়ি কাজ করে তার ছোট ২ টা ভাই বোন আছে। সে কোন পড়ালেখার সীমানা ঘেষে নাই, শুধু একটু আকটু অক্ষর চিনে আর কি। সাড়াদিন শেষে তার আয় হয় ৬০০ টাকা যার কছু অংশ সে তার মাকে দেয় আর বাকিটা নিজে রেখে দেয়, তার নিজের কাছে রাখা টাকার ব্যয় এর বর্ননা আমি শুনতে চাই নাই। এই যে একটা শিশু ছেলে কি বা তার বয়স হয়েছে যে সে তার পরিবারের জন্য রোজগার করার জন্য আজ শ্রম ব্যয় করছে? আবার প্রতিদিন সন্ধ্যার পর পর ই দেখা যায় বিমানবন্দর এর পাশে ই কিছু টোকাই ছেলে মেয়ে...দিব্যি বসে ড্যান্ডি নামক নেশায় মগ্ন। এই অসহায় বাচ্চা গুলা কি ই বা বুঝে? আর যারা কিছু টাকা পাবে বলে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে ড্যান্ডির মত বিষ! যোগ নিচ্ছে শিশুশ্রমে। কেনো তাদের কে এই সচেতন সমাজ দেখেও না দেখার ভান করে আগুনে ঠেলে দিচ্ছে? সরকার শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে নানা আইন তুলে ধরতে পারে কিন্তু তার কি কোনো কার্যকারিতা আছে? হ্যা অনেক সামাজিক কিছু প্র্তিষ্ঠান রয়েছে যারা এগিয়ে আসে এই শিশুদের জন্য কিন্তু, আমাদের এই বসবাসের অযোগ্য শহরে লাখ লাখশিশু রয়ছে যারা ঠিক মত একবেলা পেট পুড়েখেতে পায় না। কিছু সমাজ পতি আছে যারা নিজের নামের আগে সমাজসেবক লাগাতে পারলে নিজেকে অনেক বড় মনে করে, কিন্তু তাদের এই অঢেল তাকা পয়সার যদি ১০০ টাকা করে ও একজন কে দেয়া হয় তাহলে মনে হয় আমাদের এই সমাজ জীবনে কোন অভাব আর সহিংসতা থাকত না, কোনো অপরাধ প্রবনতা থাকত না। একটা সুশীল সমাজ,সশীল দেশ পেতাম আমরা, এইখানে তো আছেশুধু কে কাকে মেরে উপরে উঠতে পারবে, কে কার থেকে কত বেশি নিতে পারবে। কিন্তু ভাই মরার পর আমাদের সবার ই ত সমান যায়গা ই লাগবে। তাহলে কেন এই ধনী গরীবের বৈষম্য ? সবাই ভাই ভাই হিসেবে থাকি । #এটা_ই_আমাদের_সমাজের_বাস্তবতা_আর_আমাদের_মানবাতার_হীন_প্রকাশ। আসুন না সবাই মিলে একটু সচেতন হই, বৈষম্যতা না বের করি, গরীব অসহায়দের পাশে দাড়াই। #রাজ্যহীন_রাজপুত্র
Comments (1)
কোন লেখায় ইচ্ছেমত দাড়ি চিহ্ন বসালে যে কিছুটা হোঁচট খেতে হয় পড়তে গিয়ে তা আমাদের জানা, কিন্তু ভদ্র লোকের সু-প্রিয় স্ত্রী যে দাড়ি চিহ্নের ব্যবহার ঘটিয়ে চিঠির যে লংঙ্কা কান্ড ঘটিয়েছেন তা পড়ে অবাক হওয়ার পাশাপাশি হাসতে হল বেশ। ( যদিও হাসতে মানা করেছেন, কিন্তু কথা রাখা হলো না)
চমৎকার রস রচনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ্। শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন।
হা হা হা হা
হি হি হি
বহু পুরাতন একটা লেখা। কৌতুক প্রিয়দের কয়েকবার শোনা হয়েছে। পড়াও হয়েছে। তারপরও নতুন করে আবার পড়লাম। হাসতে মানা তারপরও নিজে হাসলাম........আমার হাসি দেখে পাশের জনও হাসল। তবে এখনকার স্ত্রী’রা কিন্তু পত্র লেখেনা, এসএমএস করে, ফোন দেয়। দাঁড়ি আর কমা’র ধারে কাছেও তারা নেই।
.................ধন্যবাদ।
===============================
(((আলোতে থাকুন, ভালোতে থাকুন)))
:)