নিস্তব্ধ হয়ে আসছে রাত্রির বুক
সব বন্ধ দরজা জানালা ও বারান্দার-
দড়িতে ঝোলানো কাপড়ের সহ বসবাসে
হিম শীতল হয়ে আসছে পৌষের রাত...
যদিও তাকে জাগতে হয়েছে দীঘ্ রজনী
যদিও আনেক রাত পযন্ত তার বুকের উপর
ঘুরে বেড়িয়েছে ট্রেন ট্রাক ও বাস।
কি এক সম্মোহনর মত উষ্ঞতায়
এক বালিকা জড়িয়ে ধরছে শীতের আগমন;
যার রন্ধে রন্ধে পশমি বস্ত্রের মৃদু আরাম।
প্রেমিকার মসৃন চিবুকের মতো
মৃদু কোমল পশমি কম্বলের নীচে
ক্রমশ নিঃস্তব্ধ হয়ে আসছে রাত।
সমস্ত সেন্ট্রি পুলিশ ও রাতের দোকানদার
তাদের যান্ত্রিক হাত ও পা সমুহ
গুটিয়ে এনেছে জন্ম স্মৃতির মত সন্নিকটে।
হামাগুড়ি দিয়ে শিশু ফুটপাতে কিংবা
উষ্ঞ কোন নরম বিছানায় আঙিনায়
ধরতে ছুটছে এক রকম জ্যোৎস্নার ফুল।
প্রবল আলিঙ্গনে ঘুমিয়ে পড়েছে
কাঁথা-বালিশ, তোষক-বিছানা ও
মশারির নিশ্ছিদ্র প্রতিরোধ দেয়ালে।
সারারাত জুঁ্ ফুল, মাধবি আর
হাস্নাহেনার তুমুল ঘ্রাণে
জোয়ারের মত ফুলে ফুলে উঠছে
রুপসির রক্তজবা নিদ্রাহত-
শরীরের মত এক তন্বী নদী।
কোথাও ভেঙ্গে চলেছে কিনার
কোথাওবা ফসলের ক্ষেত
আবার কোথাও-
পরাজিত এক মানুষ দবতার রথ।
তবু দীঘ্ রাত জেগে কোথাও
জ্বলে চলেছে কৃষ্ঞচুড়া স্বপ্ন মশাল।
দীঘ্ শীতনিদ্রার আড়মোড় ভেঙ্গে
জেগে ওঠে এক স্নিগ্ধ সকাল..
জলের বুক থেকে, নারীর রুপ থেকে ঘুম
কুয়াশার মতো করে
উড়ে উড়ে চলে যায় মেঘলা কোনো আকাশে।
একটি একটি করে মানুষ
তাদের ক্রমশ পথচলায়
ভাঙিয়ে দিচ্ছে শান্ত পৃথিবীর ঘুম।
দীঘ্ শীতকাল জুড়ে তার সঞ্চয় করে যাবে
তাদের কোমল ও কঠিন সমস্ত তীব্র শক্তি ও প্রতিভা।
ঘামে ও জাগরণে তারা প্রস্তুতি নিতে থাকবে
এক বরষা সকালের।
এবং প্রবল উল্লাশে একদিন বরষার আগমনে
ফেটে পড়বে শ্রান্ত মানুষের জলে পোড়া মৌন মিছিল।
তার ক্রোধের গরজন কিংবা
তার সুরের ঝঙ্কার ভেসে ভেসে
ছড়িয়ে মিশে যাবে বহুদুর থেকে বহুদুরে।
আর তাদের বিশ্বাসে ও নি:শ্বাসে-
জেগে উঠবে এক মানচিত্র শিশু
যার কোমল পরশে জেগে উঠবে সব বসত ভিটা ও
আমাদের সমস্ত ক্লান্ত ফুটপাত কিংবা নদীর কিনার।
(শিশির ভেজা শরৎ ও আমি ভিন্ন কেউ না)
Comments (11)
অনেক সুন্দর কিন্তু কবিতার ঝাঁপি নিয়ে দোরগোড়ায় প্রতিদিন চাই ।প্রেমিকার অহংকারে প্রেমিক মন এতটা আশাহত কেন হবে ?বিষাদের সায়'র হয়তো কারো না কারো ভালবাসায় পূর্ণ হবেই ।
পূর্ন ! হবে হয়ত ! শুভচ্ছা তোমাকে !
আমি নাহয় সেভাবেই হেঁটে যাবো,
ছুঁয়ে র'ব তুমিহীন প্রান্তর !
ভাল লাগল।