Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বিষের বাঁশী

১০ বছর আগে লিখেছেন

তুমি কাপুরুষই থেকে যাবে................।।

ছোট বেলায় কোন কারণে মায়ের কথার অবাধ্য হলে কিংবা বিকেলের ঘুম ফাঁকি দিয়ে খেলতে গেলে রাতে ঘরে ফিরেই বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে ঘুমের ভাব ধরতাম। এর পরও মাঝে মাঝে মা বেশি রেগে থাকলে বাবা মাকে শান্ত করতেন এই বলে ‘ঘুমন্ত ব্যক্তিকে কখনো মারতে হয়না সে যত বড় শত্রুই হোক, ওরে এখনকার মত ছেড়ে দাও।’
এর পর থেকেই ‘ঘুমন্ত ব্যক্তিকে মারতে হয়না’ এই অজুহাত কাজে লাগিয়ে জীবনে কত শতবার যে মায়ের হাতের কানমলা হতে পারপেয়ে গেছি তার সঠিক হিসাব উইকিলিসও কোন দিন বের করতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
একটু বড় হবার পর যখন প্রাইমারি পেড়িয়ে হাই স্কুলে প্রবেশ করলাম তখন কোন এক রাতে আমি ‘জনকণ্ঠ’ কিংবা ‘ইনকিলাব’ পত্রিকায় ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতের ঘটনার বিশদ বর্ননা পড়ে বাবা কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ‘আচ্ছা সবাইতো রাতে ঘুমাচ্ছিল তাহলে পাকিস্তানিরা রাতের বেলায় মানুষ মারল কেন? সেদিন আমার প্রশ্ন শুনে বাবা বলেছিলেন, পাকিস্তানিরা কাপুরুষতো এই জন্যে।’
আরো বড় হবার পর যখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গুলো নিজে নিজে পড়তে শুরু করলাম, স্বাধীনতা আন্দোলন সম্পর্কে আরো বেশি জানতে শুরু করলাম তখন থেকে মার্চ মাসের ২৫ তারিখ আসলেই আমার মনে হয়, সে দিনও বুঝি এমন করেই সন্ধ্যা নেমেছিল, সারাদিনের হাড়ভাঙ্গা খাটুনি শেষে ক্লান্ত পূর্ব বাংলার নিরীহ, নিরস্ত্র মানুষ গুলো আহার শেষে চলে গিয়েছিল ঘুমের রাজ্যে। বাংলার সহজ-সরল মানুষগুলো স্বপ্নেও কোনদিন ভাবতে পারেনি যে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের উপর এমন বিভীষিকাময় আক্রমণ কেউ চালাতে পারে.....।
সে রাতের প্রহর যেন ফুরাতে চায় না চারদিকে লাশ আর লাশ, রক্তে ভেজা রাস্তা, চারিদিকে বারুদের গন্ধ, চিৎকার, কান্না, ভয়ার্ত মানুষের ইতস্ত ছোটাছুটি অত:পর করুণ মৃত্যু। দৃশ্য গুলো কল্পনা করতে গেলেই কেমন জানি শরীরটা গুলিয়ে ওঠে।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    আজিজ দাদা

    আপনার কবিতায় মন্তব্য করার ভাষা আমার জানা নেই

    এক স্যালুট ছাড়া কিছুই দেওয়ার নেই

    ভাল থাকুন সব সময়---

    - মাসুম বাদল

    খুব খুব ভাললাগা জানালাম।

     

    সালাম ও শুভকামনা...

    - বাঙলা বেলায়েত

    অসাধারণ ভাল লাগলো।

বিষের বাঁশী

১০ বছর আগে লিখেছেন

যেতে চাও, যাও

যদি যেতে চাও, যাও
আমি পথ হবো চরণের তলে. . .
না ছুঁয়ে তোমাকে ছোঁব
ফেরাবো না, পোড়াবোই হিমেল অনলে. . . .
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    দাদা

    সুন্দর লাগল ছন্দময় কবিতা

    - বাঙলা বেলায়েত

    ভাল। তবে মৃত্যু পর্যন্ত গড়াল।

বিষের বাঁশী

১০ বছর আগে লিখেছেন

রাষ্ট্র বনাম মেজর জলিল গং' মামলায় 'সরকার উত্খাত' ও 'সশস্ত্র বাহিনীকে বিনাশ করার চেষ্টা'।।

১৭ জুলাই, ১৯৭৬। 
'রাষ্ট্র বনাম মেজর জলিল গং' মামলায় 'সরকার উত্খাত' ও 'সশস্ত্র বাহিনীকে বিনাশ করার চেষ্টা' চালানোর দায়ে বাংলাদেশ ফৌজদারি দন্ডবিধি ১২১ (ক) ধারা এবং ১৯৭৫ সালের ১ নং রেগুলেশনের ১৩ নং সামরিক আইন বিধি বলে কর্ণেল আবু তাহেরকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। অত্যন্ত দ্রুততার সাথে মামলার দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। রায় ঘোষণার মাত্র পাঁচ ঘন্টার মধ্যে তাড়াহুড়া করে ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান মামলার সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে চলে যান বঙ্গভবনে। 
কেমন ছিল সেই 'বিশেষ সামরিক আইন ট্রাইব্যুনাল'? 
এই ট্রাইব্যুনালের সদস্য করা হয় দুজন সামরিক অফিসার এবং দুজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে। প্রচলিত রীতিতে মার্শাল ল কোর্টে বিচার বিভাগ থেকে সেশন জজ, অতিরিক্ত সেশন জজ প্রমুখদের বিচারক হিসেবে নেওয়া হলেও এই ট্রাইব্যুনালে সেরকম কিছুর চিহ্নমাত্র ছিল না। সেই সাথে জারি করা হয় আশ্চর্য এক অধ্যাদেশ যাতে বলা হয় এই ট্রাইব্যুনাল যে রায় দেবে তার বিরুদ্ধে কোন রকম আপিল করা চলবে না! বিচার চলবে রুদ্ধদ্বার কক্ষে এবং বিচার প্রক্রিয়া সর্ম্পকে তথ্য প্রকাশ হবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ! বিচারকাজ শুরুর আগে আইনজীবীদের শপথ করানো হয় সাত বছর সময়ের মধ্যে এ বিচারের চূড়ান্ত গোপনীয়তা মানতে হবে এবং এ শপথ ভঙ্গ করলে হবে কঠিন শাস্তি। জেনারেল 'খুনী' জিয়া কৃত স্বচ্ছ(!), নিরপেক্ষ(!) আর আর্ন্তজাতিক মানের ট্রাইব্যুনাল! ২০ জুলাই রাত ৪ টা ১ মিনিটে তাহেরের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ৩ দিনেই মামলা খতম!
যখন ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে তখন রায় দিয়েই খালাস। আপিল, আপিল নিস্পত্তিকরণ, ৩০ দিন, ৬০ দিন, 'নির্দেশনামূলক' কত ফ্যাকড়া! এইটা আসলেই স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ আর আর্ন্তজাতিক মানের ট্রাইব্যুনাল না! জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে যখন প্রহসনের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়, মুক্তিযুদ্ধে যখন গোটা 'বাংলাদেশকে' নির্বিচারে হত্যা করা হয় তখন আইনের (অপ)শাসন... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    ইসলাম নারীকে অনেক সম্মান দিয়েছেন এবং শিক্ষা দানে বলেছেন

     

বিষের বাঁশী

১০ বছর আগে লিখেছেন

আমি খুব বেশী সাদাসিদে মানুষ না। অশান্ত, অমনযোগী, অস্থির, অলস এরূপ কতিপয় " অ " উপসর্গ যুক্ত শব্দ আমার সাথে বেশ ভাল যায়।

Likes Comments