Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ইমন নাজমুল

১০ বছর আগে লিখেছেন

সান্তাহার ███▓▒░░ ঢাকা ░░▒▓███► পর্ব : এক

বাবার ইচ্ছা ছিল আমাকে ডাক্তার বানাবে। আর মায়ের ইচ্ছা ছিল আমাকে ইঞ্জিনিয়ার বানানো। ছাত্র হিসেবে আমি কোনো বেলাই (ছোট-মেঝো-বড়) খারাপ ছিলাম না। তবে এটা সত্য আমিও ছোটবেলায় ভাবতাম বড় হয়ে আমি ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হবো। আরো একটি সত্য কথা ক্লাশ টুতে ওঠার পরও আমি যানতাম না সাংবাদিকতা পেশা সম্পর্কে। এক কথায় এই পেশা আর এই পেশার মানুষদের সম্পর্কে ভালোভাবে কোনো কিছুই জানতাম না। শুধু বইয়ে পড়তাম ১৯৭১ সালে ১৪ ডিসেম্বর কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ আরো অনেক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। ছোটবেলা থেকেই আমাদের বাসায় দৈনিক পেপার রাখা হতো। তাই পেপার সম্পর্কে কিছুটা ধারনা ছিল।

ক্লাশ টুতে যখন আমি। ১৯৯৬ সালের কথা। একদিন হঠাৎ বাবাকে দেখালাম ছয় লাইনের একটা ছড়া। বললাম আমি নিজে লিখেছি। ছয় লাইনের ছড়া পড়ে বাবা আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন বেশ কিছুক্ষন। চোখ বড় বড় করে তাকানোর সে দৃশ্য আজও আমার মনে আছে। প্রথমে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিল কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম বাবা আমার ছড়াটি দেখে অবাক হয়েছেন। কিছুদিন পরে বাবা আমাকে দেখালেন আমার লেখা ছড়াটি পেপারে ছাপানোর হয়েছে। দৈনিক করতোয়া পেপারের সবুজ আসর বিভাগে ছাপানোর হয়েছে আমার নাম ঠিকানাসহ ছয় লাইনের ছড়াটি। আমি এবার বাবার দিকে তাকিয়ে রইলাম। হা করে বাবার দিকে আর পেপারের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আমি সত্যিই অবাক বাবা আমাকে কি দেখাচ্ছে। আমি কেঁদে ফেললাম এটা আপনি কি করেছেন আমার বন্ধুরা দেখলে আমাকে ভীষন টিটকেরি করবে।

সেদিন কাঁদলেও সান্তাহারের এই ছেলেটির লেখালেখি মূলত সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ সেই দিন থেকে আমার লেখালেখি শুরু। আর আজ অবধি চলছে। আমার বাবা যিনি আমাকে প্রথম সান্তাহার থেকে লেখালেখি শুরু করার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। যার আগ্রহে আজ ঢাকাতে এসেও আমি সাংবাদিকতা করছি এবং পড়ছি। বাবা আমাকে অনেক ভালবাসে। তিনি সব সময় চান, আমি যেন দেশ ও দশের কাজে কলম হতে তুলে নেই। আমি যেন সব সময় মানুষের কল্যানে লিখি। আমার লেখাতে মানুষ যেন উপকৃত হয়। তিনি আমাকে নিয়ে সব সময় স্বপ্ন দেখেন আর স্বপ্নের বীজ বুনেন। আমিও আমার বাবাকে অনেক ভালবাসি। আমিও চাই বাবার স্বপ্নপূরণ করতে।

সান্তাহার থেকে যখন লেখালেখি মোটামুটি শুরু করেছি তখন এলাকার মানুষ আমাকে টিটকেরি করতো। অনেকে অনেক কটুকথা, বঙ্গকথাও বলতো। আমি এর কোনো প্রতিবাদও করিনি, কখনো এর উত্তরও দেইনি। কারণ মফস্বল অঞ্চল এমনই। তারা এখনও সাংবাদিকতা কিংবা সাংবাদিক সম্পর্কে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারনা নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন? তারপরও তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ কারণ তাদের কটুকথা, বঙ্গকথার উপর দাঁড়িয়ে আমি আমার মতো এগিয়ে যাচ্ছি। আমি আমার মতো করে আরো এগিয়ে যাবো। আমার পক্ষে যতদূর যাওয়া সম্ভব আমি ততদূর যাবো। সান্তাহারের ছেলে আমি আর বাংলাদেশে সান্তাহার একটি ছোট্ট এলাকা। আমি চাই আমার জন্য হলেও সান্তাহারকে সারা বাংলা এমনকি সারা বিশ্বের মানুষ চিনুক এবং জানুক।

Likes Comments
০ Share

Comments (5)

  • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    যার ভাগ্যে প্রেম জোটেনি সেই অভাগা কে??

    তার জন্যে আসছে আবার ভ্যালেন্টাইন ডে!! 

    ...চিন্তাইয়ো না। বইমেলায় একটা তোমার চেয়েও বড় কিউট কেশবতী পেয়ে যাবা। দুজনে মিলে মেলা, ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস ফুর ফুর করে হাওয়ার বেগে চলবে। আনন্দেই কেটে যাবে। 

    লেখা বরাবরের মতই, ভালো লেগেছে। 

    - আহমেদ ইশতিয়াক

    আর চিন্তা ! আর প্রেম ! বয়সতো শেষই হয়ে গ্যালো প্রায় !

    যার ভাগ্যে প্রেম জোটেনি সেই অভাগা কে??

    তার জন্যে আসছে আবার ভ্যালেন্টাইন ডে!! 

    ধন্যবাদ যূথী আপু...

     

    - আল ইমরান

    এত দ্রুত হতাশ হলে হয়??

    Load more comments...