নবম শ্রেণীর ছাত্র আমি।প্রথম সাময়িক পরিক্ষা দিতে যাচ্ছিলাম।আমাদের গ্রাম থেকে স্কুল প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ।আগানগর গ্রাম পেছনে ফেলে আলগা বাড়ির পথে পানির মটরের কাছে এসে যখন পৌঁছলাম তখন দেখতে পেলাম ধান ক্ষেতের আইল ধরে একটি মেয়ে দৌরে আসছে।আমি আমার মত বই পড়তে পড়তে হাঁটছিলাম।মেয়েটি হঠাৎ আমার সামনে এসে থেমে গেল।ওর ক্লান্ত শরীর সামান্য ওঠা-নামা করছিল।ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস,সেই সাথে হাঁপাচ্ছিল।আমি কিন্তু অবাক, জড় বস্তুত মত নিথর হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।মেয়েকে আগে কোথাও কখনো দেখেছি বলেও মনে হয় নি।মেয়েটি একটু সময় নিয়ে বলল,আচ্ছা আপনার নাম কি ............? আমার শরীরটা নড়েচড়ে ওঠল।সম্মতি সূচক জবাব দিলাম।সাথে একটা প্রশ্ন ছুড়ে মারলাম-কেন?না এমনিতেই,আপনাকে দেখার বড় শখ ছিল,আজ দেখলাম।এবার শুধু শরীরটা নয়,বুকের ভিতরটা পর্যন্ত নড়েচড়ে ওঠল।সেদিন প্রথম টের পেয়েছিলাম বুকের ভিতরে কিছু একটা আছে যার বিশালতা বুক দিয়ে মাপা যায় না।আপনার সাথে পড়াশোনা করে আপনার বন্ধু.............।ওর বাড়ির কাছেই আমার বাড়ি।ওর কাছে আপনার কথা অনেক শুনেছি।সেই থেকে আপনাকে দেখার একটা আগ্রহ জন্মেছিল।ভিতরের ঝড়টা কাটিয়ে একটু সহজ হয়ে সাহস সঞ্চয় করে জিজ্ঞেস করলাম,তোমার নাম কি?আমার নাম ............।আমি দুলা ভাইয়ের বাড়ি যাচ্ছি।দেরি হয়ে যাচ্ছে,আমি এখন যায়।চলে যাবার আগে আমার বন্ধুর নাম করে বলল,ওর সাথে একদিন আমাদের বাড়ি বেড়াতে আসবেন।বলতে বলতে মেয়েটি চলতে শুরু করল।দেখলাম মেয়েটির আসার যে গতি ছিল যাওয়ার ও ঠিক একই গতি।দৌড়ের মাঝে একবারও পিছনে ফিরে তাকাল না।যেন পিছনের মানুষটির সাথে ওর কোন কথাই হয় নি।এক সময় মেয়েটি গ্রামের অফুরন্ত সবুজের মধ্যে হারিয়ে গেল।কিন্তু ওর দেওয়া সৃতি চিহ্নটুকু আজও মনে রয়ে গেল।
৪।৪৫-১৩।১২।১২
রতন
৪৪২,সূর্যসেন হল
Comments (3)
ভুল করে ডাঙ্গায় উঠে আসা মাছদের মতোই বেঁচে থাকার তাগিদে
শেষ অবলম্বন হিসেবে পকেটে রাখা বিষগুলো তাই নিমেষে চালান করে দিই পেটে।
অনন্য