আমার সময়গুলো বাসের সিটে অথবা হেলালের বেঞ্চে বসে থাকতে বেশ পছন্দ করে। রোজ ওদের তাগিদেই বাসের পেছনে ছুটতে হয়। এই বাস আর বাস, বাস না থাকলে হয়তো আমি কখনোই এভাবে বসে বসে মনের চিন্তাকে লিখিতরূপ দিতে পারতাম না। একটা মানুষের কিভাবে এতটা বাসপ্রীতি থাকতে পারে! নিজেকে জানার সুযোগটা খুব কাছ থেকে পেয়েছিলাম বলেই এই আশ্চর্য ব্যাপারটাকে আবিস্কার করতে পেরেছি। খুব কম বললে ভুল হবে, জানাশোনা এমন কাউকে কখনো বলতে শুনিনি যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঢাকার এই জ্যামে বাসে বসে থাকতে বা উঠতে তাদের ভীষণ রকমের ভালো লাগে। সত্যি বলতে কি আমার একান্ত দায়িত্ব গুলো দিন দিন ছুটি নিচ্ছে, দূরে পালাচ্ছে, অনেক খুঁজে ফিরি পাওয়ার জন্য কিন্তু কিছুতেই আর ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এটাকে ব্যর্থতা বলবো নাকি নতুনের আগমনবার্তা ভেবে খুশি হবো, বুঝতে পারি না, কোন কিছুই আগের মতো সহজ করে নিতে পারি না। কতদিন আর লুকিয়ে লুকিয়ে থাকবো নিজের কাছ থেকে, শুধু বাস ভালোলাগা আর বাসের সাথে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া; এইটুকুন জেনে সমাজের প্রশ্নের উত্তর কখনই মিলবে না। সমাজ তোমাকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জিজ্ঞেস করবে “এই খোকা অবস্থা বলো দেখি”।। রাতে থাকার অবস্থান নয়, এটা হচ্ছে ছয় তলায় তোমার সহপাঠীর বিছানায় এক আদুরে বিড়ালের ঘুমের অবস্থা। সামাজিক জীবের দায়ভার নিতে পারি না, রাস্তার নোংরা পানিতে এখন আর পা ফেলতে পারি না, ঐ যে ভয়ে পাছে সমাজ নেচে উঠে। হে চারপাশ! এইটা আমার জীবনের বাস; সেটা সাদা কিম্বা বেগুনী যেটাই হোক তা বেসনে ডুবিয়ে তেলে ভাঁজার দায়িত্বটাও না হয় আমারই থাক।
Comments (2)
খুব সুন্দর লিখেছেন।
এত কিভাবে লিখেন?
আমি তো জানি না........মনের ভেতর যা খুসখুস করে তাই তাড়াতাড়ি ফেলে দেই। হয়তবা আপনাদের দৌয়ায়।
কবিতায় বাস্তব সমাজচিত্র উঠে এসেছে । খুব ভালো ।
জেনে ভাল লাগল কবিরুল ইসলাম কঙ্ক ভাইজান। কেমন আছেন?