সংগত কারণে গতকাল রাতে ঘুম হয়নি। উঠতে হয়েছে কাকডাকা ভোর সাড়ে পাঁচটায়। দুইটি ব্যাগ নিয়ে যানজট পেরিয়ে শিক্ষালয়ে আসতে বেজে গিয়েছে সাড়ে নয়টা।
আমার বসের রুমে এসে একজন বলছে
স্যার আসবো?
স্যার:জরুরী না থাকলে পরে আসো।
কর্মচারী : স্যার খুবই জরুরী।
স্যার: তাড়াতাড়ি বল।
কর্মচারী : স্যার ছুটি লাগবে।( বিনয়ে বলল)
স্যার: যাও পরে আস ( রেগে)
আজকেই নতুন জায়গায় উঠতে হবে থাকার মত তেমন কিছু নেই। শিক্ষা অর্জন শেষ করে তুশক বালিস সহ দরকারি আসবাবপত্র।
এক বড় মনের মানুষ পঁচিশ শত টাকা ধার দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়নি,আজই না করেছে। নিরুপায় হয়ে রক্ত দিয়ে কিনলাম তুশক ও বালিস অন্য দরকারি জিনিষ কিনতে হবে পরে।
জীবনে কবে হার মেনে ছিলাম মনে নেই। হারমানার এখন আর ইচ্ছা নাই।
নতুন রুমে এসে একগাদা ময়লা পরিষ্কার করে স্নান করতে গিয়ে দেখি বাতি নেই বালতি নেই নোংরা বাথরুম।
মোবাইলের আলোয় স্নান সেরে আসার সময় ভুল ভিজিয়ে ফেলি আশিষের জুতা সরিও বলেছি। আমার জুতাও কিনতে হবে
।
স্নো দিতে গিয়ে দেখি ছোট্ট আয়না ভেংগে দুই খন্ড।একখন্ড দিয়েই স্নো দিলাম। চিরুনি নেই তাই চুল আঁচড়াতে পারলাম না।
ভাংগা আয়না দেখে মনে হল---
যেদিন আমার মন ভেংগেছে
সেদিন আমার ঘর ভেংগেছে।
এখনো খাওয়া হয়নি যাই নিচে গিয়ে দেখি কিছু পাওয়া যায় কিনা ভাত রুটি না পেলে চিড়া খাওয়ারও অবস্থা নেই প্লেট নেই বলে।
কিছু না পেলে প্রেমিকার হাতে মুক্তাঝরা সাদা ভাত মনে করে কুয়াশা খাব।