বাঙ্গির মাঠে যাওয়ার ইচ্ছেটা অনেক দিনের কিন্তু সময় সুযোগ করে যাওয়া হয়ে উঠছোলো না । এবারও যখন গেলাম ততোদিনে দেরী হয়ে গেছে । তবু যেটুকু দেখলাম, যেটুকু ছবি তুললাম, তা আপনাদের সামনে উপস্থিত করার চেষ্টা করলাম ।
রায়পুরা থেকে ট্রলারে মেঘনা নদী পার হয়েই দেখলাম ভ্যন গাড়ি ভরে বাঙ্গি আনা হচ্ছে ট্রলারে করে নদীর ওপার যাবে বলে ।
তারপর আরো বাঙ্গি.........
বাঙ্গি ক্ষেত পর্যন্ত যাওয়ার আগে এমন দৃশ্যের কোন অভাব ছিলো না ।
এক সময় আমরা পৌছে গেলাম বাঙ্গি ক্ষেতে, আশা পাশে কিছু ধান ক্ষেত ব্যতীত শুধু বাঙ্গি আর বাঙ্গি ।
আমার সঙ্গী ব্লগার জে আলম
বাঙ্গি ক্ষেতের আইল ধরে হেটে যাওয়া গ্রাম্য কিশোরী ।
ক্ষেতে বাঙ্গি উঠাইতেছেন একজন চাষী ।
কাছে যেতেই তিনি আমাদেরকে বাঙ্গি দিয়ে আপ্যায়ন করছেন, গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের সেই চির চেনা রূপ ।
বাড়ি থেকে ওরা খাবার নিয়ে এসেছে, বাঙ্গি তোলার পরই কৃষকরা খাবে ।
বাঙ্গির বোঝা কিন্তু বেশ ভারী ।
বোঝা নিয়ে ওরা এগিয়ে যাচ্ছে নৌকা ঘাটার দিকে ।
এমন কাদাময় পথেই আপনাকে যেতে হবে সরু খালের যেখানে নৌকাগুলো বাধা আছে ।
নৌকায় বাঙ্গি তোলা হচ্ছে.......
পানি স্বল্পতায় এক সময় নৌকার তলা মাটিতে ঠেকে যায়, তাই ওভাবেই ঠেলতে হয় নৌকাগুলোকে ।
সব শেষে আবারো বাঙালীর আথিথেয়তার চিরচেনা রূপ । বাঙ্গির মাঠে পরিচয় হয় এক কৃষাণীর সাথে । ফেরৎ আসার সময় তিনি লোক পাঠিয়ে আমাদেরকে ওনার বাড়িতে নিয়ে বাঙ্গি দিয়ে আপ্যায়ন করে । বাঙ্গি খাওয়াটা বড় কিছু ছিলনা । কিন্তু ওনাদের আপ্যায়নে আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ, মুগ্ধ মধ্য নগর সসধারণ মানুষ গুলোর ব্যবহারে । আমি নিশ্চিত, মধ্য নগরে আমি আরো অনেক বার যাবো ।