Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা স্তব্দ করে দিতে চলছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র

বাংলাদেশে বর্তমানে বেগমখালেদাজিয়ারনেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত তথা ২০ দলের যে আন্দোলন চলছে তাকে কোন সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষ গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলে মেনে নিতে পারে না। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে গত ৪২ দিন ধরে দেশকে ধ্বংস করে দেয়ার যে অবরোধ চলছে বিশ্বের ইতিহাসে এমন দীর্ঘদিনে অবরোধের ঘটনা বিরল। গত ৪২ দিন ধরে বিএনপি-জামায়াত ও পর্দার অন্তরালে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর যে সন্ত্রাস, নাশকতা ও যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার সহিংসতা চালিয়েযাচ্ছেতা আইএস, বোকো হারাম ও তালেবানের একটি সম্মিলিত রূপ।বাংলাদেশে বিএনপির ছায়ায় বসে জামায়াত, হিযবুত তাহরীর, ব্রাদারহুড, জেএমবিদীর্ঘদিন ধরে এর ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। এই ক্ষেত্রটি যে আন্তর্জাতিকইসলামিক জঙ্গী গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি হচ্ছেআরওএকটিকথাপরিষ্কারযেবিদেশিকোনমদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরণের সন্ত্রাস আশ্রিত আন্দোলন বেশিদিন চলতে পারে না।

 

কেন বিএনপি-জামায়াতের এ মরিয়া অবস্থান তা পর্যলোচনা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষরা বলেছেন, ২০১৫ সাল বিএনপি জামায়াতের জন্য খুবই ক্রুসিয়াল টাইম কেননা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কার্যক্রম শেষ পরিণতের দিকে যাবে২০১৫ সালেএই সময়ে কয়েকজনের  ফাঁসি হবে নিশ্চিত করে বলা যায়২৫ আগস্ট হাসিনারও দলের উপর বোমা হামলার রায় বেরোবে ২০১৫ সালেখালেদা জিয়ার দুর্নীতিমামলার কারক্রম পুরাদমে শুরু হবে ২০১৫ এজামাতকেসন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে ২০১৫ সালেখালেদার ছেলের দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমশুরু হবে ২০১৫ সালেএবং আরও অনেক গুরুতপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে মিমাংশাহবে এ বছরএসব কারণেই ২০১৫ সাল বিএনপি-জামায়াতের তথা ২০ দলীয় জোটের কাছেখুবই গুরুত্বপূর্ণ মরা-বাঁচার সংগ্রাম বলে মনে করছে বিএনপি-জামায়াতএ সময়ের মধ্যে বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে না পারলে কিছুতেই সরকারের উল্লেখিতকার্যক্রম বন্ধ করতেপারবে না।তাই সু-পরিকল্পিত ভাবেই বিএনপি-জামায়াত জোট অবরোধ হরতালের মাধ্যমে দেশ ধ্বংস ও আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মারারসন্ত্রাসী মিশনে ঝাঁপিয়ে পরেছেতারা একাই এ কাজ করছে না, তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আইএসআইই বিএনপি-জামায়াত জোটকে অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।

 

বিএনপি-জামায়াত তথা ২০ দলীয় জোট মনে করছে শেখহাসিনাকে যদি পাঁচ বছর শান্তিপূর্ণভাবে থাকতেদেয়া হয় তাহলে তিনি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান বদলে দেবেনপদ্মা সেতু শেষকরে অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে যদি তিনি এগিয়ে যান তাহলে বাংলাদেশের মানুষেরআর্থিক অবস্থা অনেক উন্নত হয়ে যাবেদেশ মধ্যআয়ের দেশে উন্নীত হবে; তখন মানুষ শেখ হাসিনার বিকল্প আর কিছুচিন্তা করবে নাতাই এ মুহূর্তে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্তব্ধ করে নাদিতে পারলে শেখ হাসিনাকে ঠেকানোর কোন পথ নেইএ কারণে যে কোন মূল্যে হোকদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে হবেতাহলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ঠেকানোযাবেতাই ২০১৫ সালকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের এ মরিয়া অবস্থান।

 

সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যথেকে জানা গেছেলন্ডনেতারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর উর্ধতনব্যক্তিবর্গের আলোচনাক্রমে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছেতাদের সিদ্ধান্ত, আইএসআইঅর্থ, ট্রেনিং ও অস্ত্রসহ সার্বিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনারসরকারের পতন ঘটাবেশেখ হাসিনার পতনের জন্যে তারেক রহমানকে দুটি কাজ করতেহবেএক. সকল প্রতিকূলতার মাঝে থেকেও তার দলকে আইএসআই-এর নির্দেশ অনুযায়ীকর্মসূচী দিতে হবেআর হাসিনা সরকারের পতনের পর যে সরকার হবে ওই সরকারকেঅবশ্যই পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন গঠন করতে বাধ্য করতে হবেতারেক এইদুটিতেই সম্মতি দিয়েছেযে কারণে আইএসআই তারেক রহমানের মাধ্যমে লন্ডন থেকেএকের পর এক কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছে বিএনপির নামেযে কর্মসূচী বিষয়ে বিএনপিনেতারাও কিছু জানেন নাতাই তারেক রহমানের নির্দেশেই দেশের অগ্রযাত্রাকে স্তব্দ করে দিতে গোপন স্থান থেকে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে চলছে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিনাশী অবরোধ ও হরতাল।

 

কেবল জঙ্গীতৎপরতা চালানোর সুবিধার জন্যে৪২ দিন ধরে আইএসআই জঙ্গী তৎপরতার সপক্ষে কর্মসূচী দিচ্ছেবিএনপি-জামায়াতের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, পেট্রোলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে মারা কৌশল দেখে এখন স্পষ্টযে, তারা চায় এই তৎপরতার ভেতর দিয়েযেনশেখহাসিনারসরকারের পতন এমনভাবে ঘটে যাতে রাষ্ট্রেরসকল নিয়ন্ত্রণ ধ্বংস হয়ে যাদেশটাকে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় জঙ্গীরা দখলকরতে পারেঅনেকটা আইএস-এর মতোতাহলে তাদের সম্মিলিত প্রতিনিধির সঙ্গেপাকিস্তানের কনফেডারেশন করা সহজ হবেতাছাড়া ভারত ও চীনের অর্থনৈতিক গতিথামাতেও এ ক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের একটি প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত আছেআছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট যে, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে এখন আর আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নেই। আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ এখন দেশে জামায়াতে ইসলাম ও বিদেশে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাতে। আর পর্দার অন্তরালে থেকে পুতুল নাচের সূতো টানছে বাংলাদেশবিরোধী আন্তর্জাতিক চক্র। এই সম্মিলিত চক্র চায় কিছুতেই যেন ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যআয়ের দেশে উন্নীত হতে না পারে। তাই বিএনপি-জামায়াতএকজোট  তথা ২০ দল একজোট হয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে স্তব্দ করে দিতে চায়। কিন্তু এ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ও অদৃশ্য শক্তির সাথে সরকারের যে অঘোষিত যুদ্ধ চলছে, শেষ পর্যন্ত এ যুদ্ধ কে জয়ী হবে; সরকার না দেশবিরোধী অপশক্তি। সবাই মনে করছে এ অঘোষিত যুদ্ধে সরকার জয়ী হলে দেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে চলে যাবে, আর সেই! শক্তি জিতলে দেশ একটি জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত হবে, দেশ চলে যাবে অন্ধকারের বিবরে। 

 

 

 

 

২ Likes ৪ Comments ০ Share ৩৫২ Views