প্লেটোনিক বন্ধুত্ব বনাম রোমান্টিক প্রেম

ছেলে-মেয়ের নির্মোহ প্লেটোনিক বন্ধুত্ব, তাহলে তা একটি জটিল সমীকরণে গিয়ে ঠেকে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরনের সম্পর্কের পরিণতি হয় ‘বিয়ে’ না হয় ‘সম্পূর্ণবিচ্ছেদ’। আর এ সম্পর্ক আগের মতোই বজায় রাখতে প্রয়োজন আন্তরিক চেষ্টা। ছয়টি লক্ষণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন আপনাদের সম্পর্ক আর প্লেটোনিক নেই।

১. আপনি অনেক তোষামোদ করছেন

আপনাদের পরস্পরের সম্পর্কের মাঝে এ লক্ষণটি দেখা গেলে বুঝবেন পরিবর্তন হচ্ছে। আপনার মাঝে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত যৌনতার দিকে লক্ষ্য রাখুন। এরফলেই পরস্পরের সম্পর্কের দেয়াল ভেঙে যেতে পারে। লক্ষ্য রাখুন নানা যৌন লক্ষণ ও ইঙ্গিতের দিকে।

২. তার অতিরিক্ত সময় চাইছেন

প্লেটোনিক প্রেমের ব্যর্থতার একটি লক্ষণ হতে পারে এটি। আপনার প্লেটোনিক বন্ধুর কাছ থেকে আপনি যদি ক্রমেই বেশি বেশি সময় আশা করেন তাহলে বুঝতে হবে লক্ষণ ভিন্নদিকে মোড় নিচ্ছে। তার সঙ্গে অনেক সময় ব্যয় করছেন, তাকে বারবার কল করছেন, এসবই খুব বিপজ্জনক। প্লেটোনিক বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের দিকে মোড় নেওয়া বন্ধ করতে চাইলে এসব লক্ষণ দেখলেই তা থেকে সংযত হতে হবে।

৩. যৌনতার কল্পনা

প্লেটোনিক বন্ধুত্বে কখনোই যৌনতার বিষয় আনা যাবেনা। কিন্তু আপনি যদি কল্পনাতেও এর ব্যতিক্রম করেন তাহলে বুঝতে হবে ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে। এ ধরনের লক্ষণ থেকেই তা বড়হয়ে উঠতে পারে।

৪. শারীরিক বিষয়ে কথাবার্তা

দিবাস্বপ্নের চেয়েও এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যদি শারীরিক বা যৌন উত্তেজনাকর কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাহলে বন্ধুত্ব প্লেটোনিক থেকে মোড় নিতে পারে ভিন্ন কোনোদিকে। হ্যাঁ আপনি বন্ধুর সঙ্গে বিশ্বের যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। এর মধ্যে থাকতে পারে পরিবার, কাজ, রাজনীতি, সম্পর্ক ইত্যাদি। কিন্তু এখানে একটি বিষয় বাদ দিয়ে যেতে হবে, তা হল শারীরিক বা যৌনতার বিষয়। অন্যথায় বুঝতে হবে আপনার বন্ধুত্ব আর প্লেটোনিক নেই।

৫. সবার সঙ্গে আপনার ‘সেরাবন্ধু’ বিষয়ে আলোচনা

প্লেটোনিক বন্ধুকে নিয়ে ‘সেরাবন্ধু’ ইত্যাদি আলোচনা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এটা অন্যদের কাছে ভিন্ন ভাবে ব্যাখ্যা হতে পারে। আর এর ফলাফল ও হতে পারে খারাপ। বন্ধুত্ব যদি সেদিকে যেতে থাকে তাহলে বুঝতে হবে তা আর প্লেটোনিক থাকছে না।

৬. প্লেটোনিক বন্ধুত্ব বনাম রোমান্টিক প্রেমের সীমারেখা

প্লেটোনিক বন্ধুত্ব ও রোমান্টিক প্রেম দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। আপনার ভালোবাসা হতে পারে সম্পূর্ণনিষ্কাম ও কোনো কিছুর আশা না করে সমর্থন জোগানো। তবুও তা খুব অল্পসময়েই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। আবার রোমান্টিক ভালোবাসাতে তা মোড় নিলেও থাকতে পারে একে অপরকে সম্পূর্ণ সমর্থন জোগানো। কিন্তু প্লেটোনিক ভালোবাসায় তা সীমাবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে একটা সীমারেখা থাকবেই।